

১৬ রানে ৪ উইকেট হারানোর পর যখন বিপর্যস্ত হওয়ার আশঙ্কা তখনই মোহাম্মদ মিঠুন ও শুভাগত হোমের ব্যাটে পথ খুঁজে পায় ওয়ালটন সেন্ট্রান জোন। দুজনের ব্যাটে আজ (৪ জানুয়ারি) বাংলাদেশ ক্রিকেট লিগের (বিসিএল) ফাইনালের তৃতীয় দিন বিসিবি সাউথ জোনের বিপক্ষে ৫১ রানের লিডও পেয়ে যায় দলটি। শুভাগত হোম সেঞ্চুরির পর থামলেও প্রথম শ্রেণির ক্যারিয়ারের প্রথম ডাবল সেঞ্চুরি তুলে নেন মোহাম্মদ মিঠুন।
প্রথম ইনিংসে বিসিবি সাউথ জোনের ৩৮৭ রানের জবাবে মিঠুনের ২০৬ রানের সাথে শুভাগত হোমের ১১৬ রানে ভর করে ৪৩৮ রানের সংগ্রহ ওয়ালটন সেন্ট্রাল জোনের। ৫১ রানে পিছিয়ে থেকে দ্বিতীয় ইনিংস শুরু করা বিসিবি সাউথ জোন দিন শেষ করে ১ উইকেটে ৪৩ রান তুলে।
আজ ৪ উইকেটে ১৮৪ রান নিয়ে দিন শুরু করে ওয়ালটন সেন্ট্রাল জোন। মিঠুন ১০২ ও শুভাগত অপরাজিত ছিলেন ৬৭ রানে। দুজনে আগেরদিন অবিচ্ছেদ্য ছিলেন ১৬৮ রানে।
আজ তৃতীয় দিন দুজনে সেটিকে টেনে নেন আরও অনেক দূর। যোগ করেন ১১৫ রান, সবমিলিয়ে জুটি ২৮৩ রানের। শেখ মেহেদী হাসানের শিকার হয়ে ২১৯ বলে ১২ চারে ১১৬ রান করা শুভাগত আউট হলে ভাঙে জুটি।
শুভাগত বিদায় নিলেও জাকের আলি অনিককে নিয়ে আরও ৭৫ রানের জুটি গড়েন মিঠুন। ততক্ষণে পেয়ে যান প্রথম শ্রেণিতে নিজের প্রথম ডাবল সেঞ্চুরি। সেঞ্চুরি ও ডাবল সেঞ্চুরিতে পৌঁছেছেন প্রায় একইভাবে। ৮৮ রান থেকে সেঞ্চুরিতে পৌঁছতে তিন চার মেরেছিলেন।
এবার ১৮৮ রানে থাকতে স্পিনার মেহেদীকে চার মারেন। এরপর পেসার রানাকে টপ এজে আরেকটি চার। ১৯৬ রানে নাসুম আহমেদের বলে এক রান নেন। এরপর মেহেদীর বলে একটি ডাবল। পরের বলেই এক রান নিয়ে মিঠুন পেয়ে যান কাঙ্ক্ষিত ডাবল সেঞ্চুরি।
২৮৭ বলে ডাবল ছুঁয়ে মিঠুন আউট হন রিশাদ হোসেনের বলে এলবিডব্লিউর ফাঁদে পড়েন। তবে আম্পায়ারের সিদ্ধান্তে অসন্তোষ প্রকাশ করে ক্রিজ ছেড়েছেন এবারের বিসিএল দিয়ে ফের ওপেন করা মিঠুন। শেষ পর্যন্ত তার নামের পাশে ৩০৬ বলে ২৭ চার ৩ ছক্কায় ২০৬ রান।
মূলত জাতীয় জাতীয় দলের কোচ রাসেল ডোমিঙ্গো, টেস্ট অধিনায়ক মুমিনুল হক ও টিম ডিরেক্টর খালেদ মাহমুদ সুজনের পরামর্শেই ওপেনিংয়ে ফেরেন মিঠুন। তার ডাব সেঞ্চুরি হাঁকানো দিনে নির্বাচক হাবিবুল বাশার সুমনও বলেছেন মিঠুনের জাতীয় দলের ফেরার বিকল্প পজিশন বেড়েছে। এখন তাকে দলে ফেরানো যাবে ওপেনার কিংবা মিডল অর্ডার ব্যাটার হিসেবে।
মিঠুন আউট হওয়ার পর জাকের আলি অনিকের ৫৩, রবিউল হকের ৩৪ রানে ওয়ালটন সেন্ট্রাল জোনে থেমেছে ৪৩৮ রানে। ততক্ষণে লিড ৫১ রানের। বিসিবি সাউথ জোনের হয়ে সর্বোচ্চ ৪টি করে উইকেট ফরহাদ রেজা ও কামরুল ইসলাম রাব্বির।
৫১ রানে পিছিয়ে থাকা বিসিবি সাউথ জোন এদিন ১১ ওভার ব্যাট করার সুযোগ পায়, স্কোরবোর্ডে ১ উইকেটে ৪৩ রান। এখনো পিছিয়ে আছে ৮ রানে। দলীয় ৬ রানে এনামুল হক বিজয়কে (০) খালি হাতে ফিরতে হয় হাসান মুরাদের বলে। দিনের বাকি সময় অবশ্য পিনাক ঘোষ ও অমিত হাসান কাটান কোনো বিপদ ছাড়া। পিনাক ২২ ও অমিত ২০ রানে অপরাজিত আছেন।