

টেস্ট অভিষেকের ১০ ম্যাচ পরও এবাদত হোসেন সামর্থ্যের প্রমাণ দিতে পারেননি। বল হাতে কখনোই হতে পারেননি প্রতিপক্ষের জন্য হুমকি। অবশেষে এবাদত দলের প্রয়োজনে ভূমিকা রাখলেন। নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে মাউন্ট মঙ্গানুই টেস্টের চতুর্থ দিন বাংলাদেশ চালকের আসনে তার দুর্দান্ত এক স্পেলে। দিন শেষে এবাদত জানালেন নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে জয়ই এখন তাদের লক্ষ্য।
প্রথম ইনিংসে নিউজিল্যান্ডের সংগ্রহ ৩২৮, জবাবে বাংলাদেশ তোলে ৪৫৮ রান। ১৩০ রানে পিছিয়ে থেকে নিজেদের দ্বিতীয় ইনিংসে ৫ উইকেটে ১৪৭ রান তুলে চতুর্থ দিন শেষ করেছে কিউইরা। হাতে ৫ উইকেট নিয়ে লিড ১৭ রানের।
৬৩ রানে ২ উইকেট হারানো নিউজিল্যান্ডকে টেনে নেয় রস টেইলর ও উইল ইয়াংয়ের ৭৩ রানের জুটি। দুজনে প্রায় দিন শেষ করার পথেই ছিলেন।
কিন্তু এবাদত হোসেনের শেষ ঘন্টার এক স্পেলে বিপর্যস্ত কিউই ব্যাটিং লাইন আপ। টেইলর-ইয়াংয়ের ৭৩ রানের জুটি ভাঙেন এবাদত। ভেতরে ঢোকানো গুড লেংথের বলে বোল্ড করেন ১৭২ বলে ৭ চারে ৬৯ রান করা ইয়াংকে।
এক বলের ব্যবধানে এবাদত বোল্ড করেন হেনরি নিকোলসকেও (০)। নিজের পরের ওভারেই এলবিডব্লিউর ফাঁদে ফেলেন টম ব্লান্ডেলকে (০)। এবাদতের ৬ ওভারের এই স্পেলটি ছিলো এমন ৬-২-১৪-৩।
প্রথম ইনিংসে সেঞ্চুরি হাঁকানো ডেভন কনওয়েকেও ভয়ংকর হওয়ার আগে ফেরান এবাদত। সব মিলিয়ে ইনিংসে এখনো পর্যন্ত এবাদতের বোলিং ফিগার ১৭-৪-৩৯-৪। যা তার ক্যারিয়ার সেরা বোলিং ফিগারও।
টেস্ট ক্রিকেটে নাজুক বাংলাদেশ আরও বিবর্ণ বিদেশের মাটিতে। নিউজিল্যান্ডের মাটিতেই যেমন এর আগে ৯ টেস্টে হেরেছে সবকটিতে। যার ৫ টি আবার ইনিংস ব্যবধানে হার।
এবার প্রথম টেস্ট প্রথম থেকে চতুর্থ দিন পর্যন্ত দাপট বাংলাদেশেরই। দিন শেষে এবাদত বলছেন বর্তমান বাংলাদেশ দল ভিন্ন কিছু দিতে চায়, সে চেষ্টাই করছে মুমিনুল হকের দল।
এবাদত বলেন, ‘আমরা চেষ্টা করছি। আমাদের সতীর্থরা ও সাপোর্ট স্টাফটা সবাই খুব সাহায্য করেছে। নিউজিল্যান্ডে আমাদের আগের ম্যাচগুলোতে এতো ভালো করতে পারিনি। এই দলটাই চাচ্ছে নতুন কিছু দিতে, নতুনভাবে দেশের প্রতিনিধিত্ব করতে, দেশের জন্য ভালো কিছু করতে। কিন্তু কাউকে না কাউকে তো ভালো কিছু দিতেই হবে। এই দলের চেষ্টাই এটা যে বিদেশের মাটিতে জেতা শুরু করব।’
দেশে কিংবা বিদেশে এবাদত ছিলেন নির্বিষ। তবে প্রতিনিয়ত শিখে চলেছেন এই পেসার এমনটাই জানালেন।
কিউইদের বিপক্ষে চলতি টেস্টে দুর্দান্ত বোলিং শেষে এবাদত বলেন, ‘দেশে ও দেশের বাইরে দুই কন্ডিশনেই আমি খেলেছি। দেশে আমাদের উইকেট একটু ব্যাটিং সহায়ক থাকে। ফ্ল্যাট থাকে। সেখানেও আমরা চেষ্টা করছি কিভাবে উইকেট বের করা যায়। বিদেশের মাটিতে প্রথম দিন, প্রথম দুই ঘন্টা সাহায্য থাকে।’
‘তারপর কিছুটা ফ্ল্যাট হয়ে যায়। আমরা এখনো শিখছি কিভাবে দুই জায়গায় বল করা যায়। বল পুরোনো হলে কিভাবে রিভার্স করা যায়। আমরা এখনো শিখছি। আমরা চেষ্টা করব আগামীকাল যেন দেশকে জিতিয়ে আসতে পারি।’