

মাউন্ট মঙ্গানুই টেস্টে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে চতুর্থ দিন শেষেও এগিয়ে বাংলাদেশ। হাতে ৫ উইকেট নিয়ে নিউজিল্যান্ডের দ্বিতীয় ইনিংসে লিড ১৭ রানের। ম্যাচের বর্তমান পরিস্থিতিতে চালকের আসনেই আছে টাইগাররা বলাই যায়, কিন্তু চতুর্থ দিন যেভাবে রিভিউ নষ্ট করেছে টাইগাররা তাতে প্রশ্নের সম্মুখীন হওয়া স্বাভাবিকই। দিন শেষে লিটন দাসকে উত্তরও দিতে হয়েছে তা নিয়ে, তিনি জানান উইকেটের খোঁজে তাড়াহুড়ো করতে গিয়েই এমনটা হয়েছে।
প্রথম ইনিংসে বাংলাদেশ লিড পেয়েছিলো ১৩০ রানের। জবাবে নিজেদের দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করতে নামা নিউজিল্যান্ড দিন শেষ করে ৫ উইকেটে ১৪৭ রান নিয়ে। তবে এই সময়ে নিজেদের ৩ টি রিভিউ নষ্ট করে বাংলাদেশ, ছিলো ক্যাচ মিসও।
দ্বিতীয় সেশনে বাংলাদেশ নষ্ট করে দুইটি রিভিউ। এবাদতের করা ১৭তম ওভারে ২১ রানে ব্যাট করা ইয়াংয়ের বল থাই প্যাড ছুঁয়ে উইকেট রক্ষক লিটন দাসের গ্লাভসে জমা হয়। কিন্তু বেশ আত্মবিশ্বাসের সাথে কট বিহাইন্ডের আবেদনে সাড়া না পেয়ে রিভিউ নিয়েছিলো টাইগাররা যদিও বিফলে যায়।
এবাদতের করা ২৯তম ওভারে আরেক দফা রিভিউ নষ্ট করে বাংলাদেশ। টেইলরের খালি চোখে দেখা যাওয়া ব্যাট-বলের ফাঁককেই অবিশ্বাস্যভাবে কট বিহাইন্ডের আবেদন করে বসেন এবাদত। অতি আত্মবিশ্বাসের সাথে রিভিউ নিতেও বাধ্য করেন। তবে লাভ হয়নি কিছুই।
তাসকিনের করা ইনিংসের ৩৭তম ওভারে টেইলরের বিপক্ষে এলবিডব্লিউর আবেদন করে বাংলাদেশ। খালি চোখেই দেখা যাচ্ছিলো ইয়র্কার লেংথের বলটি টেইলর ব্যাট দিয়েই ডিফেন্স করেন সাবলীলভাবে।
তবে অতি আত্ববিশ্বাসী হয়ে নিজেদের শেষ রিভিউটিও নষ্ট করে বাংলাদেশ। এমন কিছুতে হাস্যরসের খোরাক জন্মায় ধারাভাষ্য কক্ষেও।
Review for Bat Before Wicket? 🤔 https://t.co/IOnk8TZ20L
— DK (@DineshKarthik) January 4, 2022
রিভিউ প্রসঙ্গে সংবাদ সম্মেলনে লিটন দাস বলেন, ‘না আসলে অতি উত্তেজনা না, প্রথমটার কথাই বলি, আমি যখন রিভিউ নিলাম, আমি পেছনে ছিলাম, আমার মনে হয়েছে কনফার্ম আউট। কিন্তু নেয়ার পর সেটি নষ্ট হল। দ্বিতীয়টা আমরা নেওয়ার পর সফল হয়েছিলাম। কনওয়ের উইকেট। ওটাতে কিন্তু সাদমান, মিরাজ, শান্ত, রাব্বি, যতগুলা প্লেয়ার সামনে ছিল, তাদের কল ছিল। আমি পেছনে থাকায় বুঝতে পারিনি ইনার এজ হয়েছিল।’
নষ্ট হওয়া শেষ দুই রিভিউতেই প্রভাব ছিলো মেহেদী হাসান মিরাজের। বিশেষ করে তাসকিনের বলে টেইলরের রিভিউতে বেশ জোর দিয়েছিলেন এই অফ স্পিনার।
মিরাজের আত্মবিশ্বাস নিয়ে লিটন বলেন, ‘এটা হয় অনেক সময় হয়, আপনি রিভিউতে সফল হবেন, কখনো হবেন না। পরেরটায় মিরাজ আত্মবিশ্বাসী ছিল বিষয়টা নিয়ে। আমরা তাকে ব্যাক করেছি। কারণ প্রতিটা খেলোয়াড়ের দায়িত্ব ফিডব্যাক নেয়া। আমরা সেগুলো নেই। অনেক কিছু আমি পেছন থেকে বুঝতে পারিনা।’
‘লাস্ট কল যেটা ছিল তাসকিনের, ও অনেকটা নিশ্চিত ছিল যে বুটে লেগেছে। আমি পেছন থেকে বুঝতে পারছিলাম না। আমারা তো চাচ্ছিলাম একটা উইকেট পড়ুক। এই জন্যই আমরা চান্স নিয়েছি।’