

মাউন্ট মঙ্গানুই টেস্টের চতুর্থ দিনের দ্বিতীয় সেশনটাও বাংলাদেশের। ১৩০ রানে পিছিয়ে থাকা নিউজিল্যান্ড ৬৮ রান তুলতেই হারিয়েছে ২ উইকেট। চা বিরতির আগে স্বাগতিকরা এখনো পিছিয়ে ৬২ রানে।
প্রথম ইনিংসের সেঞ্চুরিয়ান ডেভন কনওয়ে ১৩ রানের বেশি করতে পারেননি। উইল ইয়াং ৩২ ও রস টেইলর অপরাজিত আছেন ১৩ রানে।
৬ উইকেটে ৪০১ রান নিয়ে দিন শুরু করা বাংলাদেশ লাঞ্চের আগে গুটিয়ে যায় ৪৫৮ রানে। আগের দিনের ৭৩ রানের লিডকে ১৩০ পর্যন্ত টেনে নিতে পারে মেহেদী হাসান মিরাজ (৪৭), ইয়াসির আলি রাব্বিরা (২৬)।
জবাবে দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে লাঞ্চের আগে মাত্র ৩ ওভার খেলতে পারে কিউইরা। কোনো উইকেট না হারিয়ে স্কোরবোর্ডে তোলে ১০ রান। টম লাথামের ব্যাট থেকেই এসেছিলো এই ১০ রান।
তবে লাঞ্চের পর লাথামকে ফিরিয়ে টাইগার শিবিরে আনন্দের উপলক্ষ্য এনে দিতে দেরি করেননি তাসকিন আহমেদ। তাসকিনের করা ইনিংসের ৯ম ওভারে অফ স্টাম্পের খানিক বাইরের বল স্টাম্পে টেনে এনে বোল্ড হন ১৪ রান করে।
এরপর অবশ্য সাবলীল প্রথম ইনিংসের মতো ডেভন কনওয়ে ও উইল ইয়াং। এবাদত হোসেনের করা ১৭তম ওভারে বাংলাদেশ নষ্ট করে রিভিউও। ২১ রানে ব্যাট করা ইয়াংয়ের বল থাই প্যাড ছুঁয়ে উইকেট রক্ষক লিটন দাসের গ্লাভসে জমা হয়। কিন্তু বেশ আত্মবিশ্বাসের সাথে কট বিহাইন্ডের আবেদনে সাড়া না পেয়ে রিভিউ নিয়েছিলো টাইগাররা।
তবে আগের ইনিংসে সেঞ্চুরি হাঁকানো কনওয়েকে বেশি দূর যেতে দেননি এবাদতই। ২৫তম ওভারে গালিতে সাদমান ইসলামের দারুণ এক ক্যাচে পরিণত করেন। শুরুতে আম্পায়ার আউট না দিলেও রিভিউ নিয়ে সফল বাংলাদেশ, ব্যাট-প্যাড হয়ে সাদমানের হাতে যায় বল। ১৩ রানে থামেন কনওয়ে, ইয়াংয়ের সাথে জুটি হয়েছে ৩৪ রানের।
উইকেটে এদিন কিছুটা স্পিন ধরছিলো, টাইগার স্পিনার মেহেদী হাসান মিরাজ উইকেটের দেখা পেতে পারতেন ২৬তম ওভারেই। ৩১ রানে ব্যাট করা ইয়াংয়ের ক্যাচ উইকেটের পেছনে গ্লাভস বন্দী করা সম্ভব হয়নি লিটন দাসের।
এবাদতের করা ২৯তম ওভারে আরেক দফা রিভিউ নষ্ট করে বাংলাদেশ। রস টেইলরের খালি চোখে দেখা যাওয়া ব্যাট-বলের ফাঁককেই অবিশ্বাস্যভাবে কট বিহাইন্ডের আবেদন করে বসেন এবাদত। অতি আত্মবিশ্বাসের সাথে রিভিউ নিতেও বাধ্য করেন। তবে লাভ হয়নি কিছুই।
শেষ পর্যন্ত ওই ওভার পরেই চা বিরতিতে যায় কিউইরা, স্কোরবোর্ডে ২ উইকেটে ৬৮ রান। বাংলাদেশের চেয়ে এখনো পিছিয়ে ৬২ রানে।