নিউজিল্যান্ডে যেভাবে সফল হলেন অনভিজ্ঞ জয়

বে ওভালে ব্যাটে-বলে বাংলাদেশের স্বপ্নের এক দিন
Vinkmag ad

নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে মাউন্ট মঙ্গানুই টেস্টের তৃতীয় দিন শেষে ৭৩ রানের লিড বাংলাদেশের। নাজমুল হোসেন শান্ত, মুমিনুল হক, লিটন দাস ও মাহমদুলু হাসান জয় পেয়েছেন ফিফটি, চার জনের সামনেই ছিলো সেঞ্চুরির সুযোগ। তবে বাকিদের চেয়ে একদমই অনভিজ্ঞ বলে জয়ের ৭৮ রানের ইনিংসটি আলাদা করে নজর কেড়েছে। যুব বিশ্বকাপ জয়ী দলের এই সদস্য জানালেন কীভাবে নিউজিল্যান্ডের মতো কন্ডিশনে সফল হলেন।

যুব দলের হয়ে খেলতে গিয়েও এর আগে নিউজিল্যান্ডে সেঞ্চুরি হাঁকান জয়। সে ধারা বজায় রেখে এবার জাতীয় দলের জার্সিতেও সফল। মূল টেস্টের আগে প্রস্তুতি ম্যাচেও পেয়েছিলেন ফিফটির দেখা।

জয়ের প্রথম শ্রেণি অভিষেক হয় বাংলাদেশ ইমার্জিং দলের হয়ে গত বছর আয়ারল্যান্ড উলভসের বিপক্ষে। সর্বশেষে ঘরের মাঠে পাকিস্তান সিরিজের ঢাকা টেস্টে অভিষেকের আগে এই ব্যাটার খেলেছেন ৬ টি প্রথম শ্রেণির ম্যাচ, রান করেছেন ৪৬ গড়ে ৪৬০। মূলত এই পারফরম্যান্সই তাকে জায়গা করে দেয় টেস্ট দলে।

অভিষেকটা অবশ্য রাঙাতে পারেননি জয়, দুই ইনিংসে করেছেন ৬ রান। তবে নিউজিল্যান্ডের মতো বিরুদ্ধ কন্ডিশনেই রেখেছেন সামর্থ্যের ছাপ। প্রথম ইনিংসে নিউজিল্যান্ডের ৩২৮ রানের জবাবে বাংলাদেশ তৃতীয় দিন শেষ করেছে ৬ উইকেটে ৪০১ রান তুলে।

উদ্বোধনী জুটি হয়ে ৩ নম্বরে নামা নাজমুল হোসেন শান্তর (৬৪) সাথে ১০৪ রানের জুটি। টাইগারদের ভীতটা গড়ে দেন জয়ই, নিজে অবশ্য সেঞ্চুরির দ্বারপ্রান্তে গিয়েও হতাশ করেছেন।

দ্বিতীয় দিন ৭০ রানে অপরাজিত ছিলেন, ২১১ বল খেলে দিয়েছেন ধৈর্য্যের বার্তাও। বাংলাদেশের চতুর্থ ব্যাটার ও একমাত্র ওপেনার হিসেবে যে নিউজিল্যান্ডের মাটিতে ২০০ এর বেশি বল খেলার কীর্তি গড়েন। আজ অবশ্য নামের পাশে ৮ রানের বেশি যোগ করতে পারেননি, আউট হয়েছেন ২২৮ বল খেলে।

জয় ফিরলে অধিনায়ক মুমিনুল হকের ৮৮ ও লিটন দাসের ৮৬ রানের ইনিংসে ভর করে বাংলাদেশ তৃতীয় দিন লিড নিলো ৭৩ রানের।

নিজের ইনিংস নিয়ে আজ (৩ জানুয়ারি) সংবাদ সম্মেলনে জয় বলেন, ‘নিউজিল্যান্ড দলের পেস বোলিং আক্রমণ বিশ্বসেরা। ওরা টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের শিরোপাজয়ী দল। আমি এক্ষেত্রে আমার স্বাভাবিক খেলাটাই খেলার চেষ্টা করেছি। ওদের বোলারদের নাম না খেলে বল দেখে খেলার চেষ্টা করেছি।’

‘আমার পরিকল্পনা ছিল রানের দিকে না গিয়ে বেশি বেশি বল খেলার। আমি বেশি বল খেলতে পারলে রান এমনিতেই আসবে। আমার সঙ্গী যারা ছিল, সাদমান ভাই, শান্ত ভাই, মুমিনুল ভাই – সবাই একই কথা বলেছে। এটাই ছিল উইকেটে শান্ত থাকার কারণ।’

‘পরিকল্পনা তেমন কিছু ছিল না। মূল ম্যাচের আগে যে প্রস্তুতি ম্যাচটা খেলেছি, সেটা অনেক কাজে দিয়েছে। সেখানে আমি খেলার সুযোগ পাই এবং মোটামুটি ভালোই করি। সেখান থেকেই আমি আত্মবিশ্বাস পাই যেটা মূল ম্যাচে মোটামুটি পারফর্ম করতে সাহায্য করেছে।’

ড্রেসিং রুমে সতীর্থ কিংবা টিম ম্যানেজমেন্ট সবাই জয়কে জুগিয়েছেন সাহস। নিজের মাত্র দ্বিতীয় টেস্ট খেলতে নেমেও এই ডানহাতি ব্যাটার যে কারণে অনুভব করেননি চাপ।

এই তরুণ তুর্কি যোগ করেন, ‘দলের অভিজ্ঞ ক্রিকেটার কাছ থেকে দারুণ সমর্থক পেয়েছি। আমি যে নতুন দলে এসেছি সেই চাপটা আমি অনুভব করিনি। টিম ম্যানেজমেন্টের সবাই আমাকে সাহায্য করেছে।’

৯৭ প্রতিবেদক

Read Previous

আন্তর্জাতিক ক্রিকেটকে বিদায় বললেন মোহাম্মদ হাফিজ

Read Next

খালেদ মাহমুদের চোখে টেস্ট ক্রিকেটে বাংলাদেশের অন্যতম সেরা দিন

Total
5
Share