

মাউন্ট মঙ্গানুইতে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে দাপট দেখাচ্ছে সফরকারী বাংলাদেশ। প্রথম দুইদিনে এগিয়ে থাকার পর তৃতীয় দিন প্রথম সেশনকে ভাবা হচ্ছিলো টাইগারদের জন্য মহা চ্যালেঞ্জিং। সে চ্যালেঞ্জ উতরে চালকের আসনে বসতে যাচ্ছে মুমিনুল হকের দল। লিটন দাসের সাথে শতরানের জুটিতে দ্বিতীয় সেশন পুরোটাই করে নিয়েছে নিজেদের।
৪ উইকেটে ২২০ রান নিয়ে লাঞ্চে যাওয়া বাংলাদেশ চা বিরতিতে গেলো ৪ উইকেটে ৩০৭ রান নিয়ে। লিটন-মুমিনুল দুজনেই পেয়েছেন ফিফটির দেখা। মুমিনুল ৬১ ও লিটন অপরাজিত আছেন ৫১ রানে। দুজনে অবিচ্ছেদ্য ১০৪ রানের জুটিতে।
প্রথম ইনিংসে নিউজিল্যান্ডের ৩২৮ রানের জবাবে বাংলাদেশ দ্বিতীয় দিন শেষ করেছিলো ২ উইকেটে ১৭৫ রান নিয়ে। মাহমুদুল হাসান জয় ৭০ ও মুমিনুল অপরাজিত ছিলেন ৮ রানে।
আজ আর ৮ রান যোগ করেই বিদায় নেন জয়, বাইরের বলে বাউন্ডারি হাঁকানোর তাড়না দেখা যায় শুরু থেকে। শেষ পর্যন্ত দিনের তৃতীয় ওভারেই ফিরেছেন ওয়াগনারের বলে পয়েন্টে হেনরি নিকোলসকে ক্যাচ দিয়ে।
লাঞ্চের আগে বাংলাদেশ হারায় মুশফিকুর রহিমের (১২) উইকেটও। ট্রেন্ট বোল্টের বলে বোল্ড হয়েছেন মিস্টার ডিপেন্ডেবল। লাঞ্চের আগে ১৭ রানের জুটিতে অবিচ্ছেদ্য লিটন দাস ও মুমিনুল হক। মুমিনুল ১৭ ও ১২ রানে অপরাজিত ছিলেন লিটন।
লাঞ্চের পর লিটন-মুমিনুল সাবলীল হয়েছেন, কিউই বোলারদের উপহার দিয়েছেন কঠিন সময়। গত বছর সদা পোশাকে দুর্দান্ত ফর্মে থাকা লিটন দাস নতুন বছরের প্রথম ইনিংসেই মুগ্ধ করেছেন। ওয়েগনার, জেমিসন, সাউদিদের বাউন্ডারি হাঁকিয়েছেন পুল, স্কয়ার কাট, স্ট্রেইট ড্রাইভে।
লাঞ্চের আগে দেখেশুনে খেলে ধৈর্য্যের পরীক্ষা দেওয়া মুমিনুলও লিটনের সঙ্গে রান তোলাতে যোগ দেন লাঞ্চের পর। প্রথম ১০০ বলে ১৮ রান করা মুমিনুল ফিফটি ছুঁয়েছেন ১৪৭ বলে। এটি তার ক্যারিয়ারের ১৫তম টেস্ট ফিফটি।
১১৯তম ওভারে রাচীন রবীন্দ্রকে কাট করে ২ রান নিয়ে ৯৩ বলে ফিফটি ছুঁয়েছেন লিটন। ততক্ষণে দলীয় সংগ্রহ পার হয়েছে ৩০০, মুমিনুলের সাথে জুটিতে উঠে গেছে ১০০ এর বেশি রান।
চা বিরতির আগের সেশনে কোনো উইকেট না হারিয়ে ৮৭ রান তোলে বাংলাদেশ। লিটন-মুমিনুলের ব্যাটে লিড নেওয়ার অপেক্ষায় সফরকারীরা। হাতে ৬ উইকেট নিয়ে এখনো পিছিয়ে ২১ রানে।