

মাউন্ট মঙ্গানুই টেস্টের প্রথম দুইদিন বাংলাদেশ কাটিয়েছে স্বপ্নের মতো। তবে তৃতীয় দিন শুরু থেকেই যে চ্যালেঞ্জ অপেক্ষা করছে তা অনুমেয় ছিলো। কিন্তু সে চ্যালেঞ্জ মোটামুটি প্রথম সেশনে ভালোই সামলেছে টাইগার ব্যাটাররা। লাঞ্চের আগে ২ উইকেটের বেশি হারায়নি, তাতে ৪ উইকেটে সংগ্রহ ২২০। এখনো পিছিয়ে আছে ১০৮ রানে।
প্রথম ইনিংসে নিউজিল্যান্ডের ৩২৮ রানের জবাবে বাংলাদেশ দ্বিতীয় দিন শেষ করেছিলো ২ উইকেটে ১৭৫ রান তুলে। ৭০ রানে মাহমুদুল হাসান জয় ও ৯ রানে অপরাজিত ছিলেন মুমিনুল হক।
আজ তৃতীয় দিন লাঞ্চের আগে জয় ও মুশফিকুর রহিমের উইকেট হারায় বাংলাদেশ। মুমিনুল ১৭ ও ১২ রানে অপরাজিত আছেন লিটন দাস।
সেঞ্চুরির পথে হেঁটেও অযথা তাড়াহুড়ো করতে গিয়ে আজ তৃতীয় দিন শুরুতেই বিদায় নেন জয়। দিনের শুরু থেকেই অফ স্টাম্পের বাইরের বল তাড়া করার প্রবণতা দেখা যায় এই তরুণ তুর্কির মাঝে।
নেইল ওয়াগনারের করা দিনের তৃতীয় ওভারে বিপদও ডেকে আনেন। শর্ট অফ লেংথের বাইরে বেরোনো আড়াআড়ি ডেলিভারি কাট খেলতে চান এই তরুণ, যা গালিতে দাঁড়ানো হেনরি নিকোলসের ক্যাচে পরিণত হয়। জয়কে ফিরতে হয় ২২৮ বলে ৭ চারে ৭৮ রান করে। মুমিনুলের সাথে জুটি থামে ৩২ রানেই।
এরপর ওয়াগনারের ক্রমাগত শর্ট বলে শুরুটা অস্বস্তিতেই হয় মুশফিকুর রহিমের। লাইন লেংথ বজায় রেখে কিছুটা চাপ তৈরি করেন কাইল জেমিসনও। টানা ৪ ওভারে মেডেন দিতে হয়ে ওয়াগনার-জেমিসনকে।
আর তাতেই নতুন বল নেওয়ার আগেই ফিরতে হত অধিনায়ক মুমিনুল হককে। ওয়াগনারের করা ইনিংসের ৮০তম ওভারে কিছুটা ভেতরে ঢোকা দ্বিতীয় বলটি মুমিনুলের ব্যাট ছুঁয়ে ধরা পড়ে উইকেট রক্ষকের গ্লাভসে। তবে টিভি আম্পায়ার বেশ কয়েকবার রিপ্লে দেখে নো বলের সিদ্ধান্ত দেন। যদিও এ নিয়ে রয়েছে দ্বিধা, তবে ভাগ্যবান বলতে হয় মুমিনুলকে, পেয়েছেন ‘বেনেফিট অব ডাউট’।
পরের ওভারেই নতুন বল নিয়ে হাজির ট্রেন্ট বোল্ট। প্রথম পানি পানের বিরতিতে বাংলাদেশের স্কোরবোর্ডে ৩ উইকেটে ১৯৪। মুমিনুল ৯ ও মুশফিক অপরাজিত ৭ রানে।
পানি পানের বিরতি শেষে জুটি ভাঙতে বেশিক্ষণ অপেক্ষা করতে হয়নি কিউইদের। ৮৯তম ওভারেই কিছুটা ভেতরে ঢোকানো বলে মুশফিককে (৫৩ বলে ১২) বোল্ড করেন বোল্ট। ২০৩ রানে চতুর্থ উইকেট হারায় বাংলাদেশ।
শেষ পর্যন্ত লাঞ্চের আগের বাকি সময়টুকু কোনো বিপদ ঘটতে দেননি মুমিনুল ও লিটন। দুজনে অবিচ্ছদ্য আছেন ১৬ রানের জুটিতে। মুমিনুল ৯৮ বলে ১৭ ও লিটন ১৭ বলে ১২ রানে অপরাজিত আছেন।
এই সেশনে ২৬ ওভারে ২ উইকেট হারিয়ে বাংলাদেশ তুলেছে ৪৫ রান। কিউইদের সফলতম বোলার ওয়াগনারের নামের পাশে ৩ উইকেট, ২৩ ওভারে খরচ ৪৩ রান।