

কুয়াশায় কারণে নির্ধারিত সময়ের প্রায় এক ঘণ্টা পর খেলা শুরু হয়। তবে এমন কন্ডিশনের সুবিধাটা নিতে পারেননি ওয়ালটন সেন্ট্রাল জোনের বোলাররা। বাংলাদেশ ক্রিকেট লিগের (বিসিএল) ফাইনালে ওয়ালটনের বিপক্ষে দাপট দেখায় বিসিবি সাউথ জোনের দুই ওপেনার। তবে শেষ সেশনে হাসান মুরাদের স্পিনে লড়াইয়ে ফিরেছে ওয়ালটন সেন্ট্রাল জোন।
আজ (২ জুলাই) টস জিতে বিসিবি সাউথকে ব্যাটিংয়ে পাঠান ওয়ালটনের অধিনায়ক শুভাগত হোম। দিন শেষে বিসিবি সাউথের সংগ্রহ ৫ উইকেট হারিয়ে ২৬১ রান।
শুরুতে ওয়ালটন সেন্ট্রাল জোনের বোলাররা কোনো সুবিধাই নিতে পারেনি। বরং ব্যাট হাতে রানের চাকা সচল রাখেন দুই ওপেনার পিনাক ঘোষ-এনামুল হক বিজয়।
দুজনের উদ্বোধনী জুটি ভাঙতে বেশ কঠিন সময় পার করে শুভাগতর দল। বিসিবি সাউথ জোন প্রথম সেশন কাটিয়ে দেয় কোনো উইকেট হারানো ছাড়াই। দ্বিতীয় সেশনেও পিনাক-এনামুল ব্যাটিং করে যাচ্ছিলেন সাবলীলভাবে।
হাফেসেঞ্চুরি তুলে ছুটছিলেন সেঞ্চুরির দিকে। ঠিক তখনই আঘাত হানেন হাসান মুরাদ। ৬৫ রানে বোল্ড করেন পিনাককে। দলীয় ১৫১ রানে বিসিবি সাউথ হারায় প্রথম উইকেট।
দ্বিতীয় সেশনে আরও একটি উইকেট হারায় বিসিবি সাউথ জোন। ক্রিজে এসে অমিত হাসান ১০ রানে সাজঘরে ফেরেন আবু হায়দার রনির বলে। প্রথম সেশনে কোনো উইকেট না হারালেও দ্বিতীয় সেশনে দুই উইকেট হারায় বিসিবি সাউথ জোন।
শেষ সেশন অবশ্য পুরোপুরি ওয়ালটন সেন্ট্রাল জোনের। ৭৬ রানে মুরাদের বলে এলবিডব্লিউ হয়ে সাজঘরে ফেরেন এনামুল। ৬ চার ও ১ ছয়ে এই রান করেছিলেন এই ডানহাতি ব্যাটসম্যান।
এনামুল-পিনাকরা হাফ সেঞ্চুরি পেলেও খালি হাতে ফেরেন তৌহিদ হৃদয়। মুরাদের বলে উইকেটের পেছনে ক্যাচ দেন।
এরপর খেলার হাল ধরেন জাকির হাসান ও মেহেদী হাসান। কিন্তু মেহেদীও (৯) সুবিধা করতে পারেননি। এবার জাকিরের সঙ্গী হন অধিনায়ক ফরহাদ রেজা।
দুজনে ৮০ রানের অবিচ্ছেদ্য জুটিতে দিন পার করে দেন। জাকির ৪৪ ও ফরহাদ ৪৬ রানে অপরাজিত আছেন।
দেরিতে শুরু হওয়াতে খেলা ১০ ওভার কম হয়। ওয়ালটনের হয়ে সর্বোচ্চ ৪ উইকেট নেন মুরাদ। ২১ ওভারে ৭০ রান দিয়ে এই উইকেটগুলো নেন তিনি। ১টি উইকেট নেন রনি।