

মাউন্ট মাউঙ্গানুইয়ে বল হাতে দ্বিতীয় দিনে কাজটা দারুণভাবে সেরেছে বাংলাদেশের বোলাররা। ২৫৮ রানে ৫ উইকেট নিয়ে ১ম দিনের খেলা শেষ করা নিউজিল্যান্ডকে ৩২৮ রানে গুটিয়ে দিয়েছে টাইগাররা।
১ম দিনে ৮৭.৩ ওভার ব্যাট করে নিউজিল্যান্ড। ৫ উইকেট হারিয়ে তারা স্কোরবোর্ডে জমা করে ২৫৮ রান। ৩২ রান নিয়ে অপরাজিত ছিলেন হেনরি নিকোলস। টিম ব্লান্ডেল দিনের শেষ বলে আউট হয়েছিলেন, আজ ব্যাট হাতে নিকোলসের সঙ্গে শুরু করেন রাচিন রবীন্দ্র।
দ্বিতীয় দিনের শুরুর দিকেই ফেরেন রাচিন রবীন্দ্র। ১৮ বলে ৪ রান করে শরিফুল ইসলামের বলে সাদমান ইসলামকে ক্যাচ দেন রাচিন। স্পিন বোলিং অলরাউন্ডার রাচিন রবীন্দ্রের মত দ্রুতই (৬ রান করে) আউট হন পেস বোলিং অলরাউন্ডার কাইল জেমিসন, জেমিসনকে ফেরান মেহেদী হাসান মিরাজ।
রাচিন-জেমিসনদের সাজঘরে ফেরা দেখলেও অবিচল ছিলেন হেনরি নিকোলস, তুলে নেন ফিফটিও। তবে কনওয়ের মত আর সেঞ্চুরি পুর্ণ করা হয়নি তার। ৭৫ রানের মাথায় সাদমান ইসলামকে ক্যাচ দিয়ে মুমিনুল হকের দ্বিতীয় শিকারে পরিণত হন তিনি। এর আগে টিম সাউদি (৬) ও নেইল ওয়েগনারকে (০) ফেরান মেহেদী হাসান মিরাজ।
১০৮.১ ওভারে ৩২৮ রান করে অলআউট হয় নিউজিল্যান্ড। বাংলাদেশের পক্ষে ৩ টি করে উইকেট নেন শরিফুল ইসলাম ও মেহেদী হাসান মিরাজ। ২ উইকেট নেন মুমিনুল হক, ১ শিকার এবাদত হোসেনের।
লাঞ্চের আগেই ব্যাট করতে নামে বাংলাদেশ। ৩ ওভারে ৫ রান তুলে লাঞ্চ বিরতিতে যান দুই টাইগার ওপেনার মাহমুদুল হাসান জয় ও সাদমান ইসলাম।
সংক্ষিপ্ত স্কোর (২য় দিন, ১ম সেশন শেষে):
নিউজিল্যান্ড ৩২৮/১০ (১০৮.১), ল্যাথাম ১, ইয়াং ৫২, কনওয়ে ১২২, টেইলর ৩১, নিকোলস ৭৫, ব্লান্ডেল ১১, রাচিন ৪, জেমিসন ৬, সাউদি ৬, ওয়েগনার ০, বোল্ট ৯*; শরিফুল ২৬-৭-৬৯-৩, এবাদত ১৮-৩-৭৫-১, মিরাজ ৩২-৯-৮৬-৩, মুমিনুল ৪.১-০-৬-২
বাংলাদেশ ৫/০ (৩), সাদমান ১*, জয় ৩*।