

কথা বলা কিংবা শোনা কোনোটাই পারেন না সিলেটের পেসার আকসার আহমেদ। তবে বল হাতে গতির ঝড়ে কাঁপন ধরাতে পারেন ব্যাটারদের। ঘন্টায় প্রায় ১৪০ কিলোমিটার বেগে ছুঁড়তে পারেন বল, আছে বাউন্স, ইনসুইং, আউটসুইংয়ের মতো দক্ষতা। উচ্চতা প্রায় ৬ ফুট, একজন আদর্শ পেসারের সব উপকরণই রয়েছে এই ডানহাতির মাঝে। তবে বাঁক ও শ্রবণ শক্তি যখন তার প্রতিবন্ধকতা তখনই এগিয়ে এলো বিপিএল ফ্র্যাঞ্চাইজি চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স।
স্বপ্ন তার জাতীয় দলের জার্সিতে বাংলাদেশকে প্রতিনিধিত্ব করা। আর সেই স্বপ্ন পূরণে আকসারকে পথ দেখাচ্ছে আখতার গ্রুপের মালিকানাধীন চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স। নির্বিঘ্নে অনুশীলন চালিয়ে যাওয়ার জন্য আকসারকে পৃষ্ঠপোষকতা করছে দলটি। ড্রাফটে নাম না থাকায় স্কোয়াডে অন্তর্ভূক্ত করা না গেলেও বিপিএলের এবারের আসরে আকসার থাকছেন চ্যালেঞ্জার্সের নেট বোলার হিসেবে।
শুধু তাই নয়, আগামী এক বছর তার অনুশীলনের প্রয়োজনে যাবতীয় অর্থ ব্যয় করবে বিপিএল ফ্র্যাঞ্চাইজিটি।
চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এ কে এম রিফাতুজ্জামান নিজের কার্যালয়ে আজ (২৯ ডিসেম্বর) সাংবাদিকদের বলেন, ‘আকসার আহমেদ এক বিস্ময় প্রতিভা। অমিত সম্ভাবনার এসব প্রতিভা অনেক সময়ই অযত্ন আর অবহেলায় হারিয়ে যায়। সবচেয়ে বড় বাধা হয় পৃষ্ঠপোষকতা। আমরা এমন সম্ভাবনা হারিয়ে যেতে দিতে পারি না। আমাদের দায়বদ্ধতার জায়গা থেকেই আকসারের পাশে থাকার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।’
আপ্লুত আকসার তার কোচের মাধ্যমে চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানান। আকসারের স্বপ্ন পূরণে এই উদ্যোগ বড় অনুপ্ররেণা হিসেবে কাজ করবে জানিয়েছেন তার কোচ।
সিলেটের গোলাপগঞ্জের বাদেপাশা ইউনিয়নের মোল্লারচকে জন্ম ও বেড়ে উঠা আকসারের। মাত্র ২ বছর বয়সে বাবাকে হারান। বরাবরই ক্রিকেটের প্রতি দারুণ ঝোঁক আকসারের। স্বপ্নবাজ ছেলেকে ক্রিকেটার বানাতে তাই নিজের সর্বস্ব উজাড় করছেন মা দিলারা বেগম। পরিবারে এক বোন ও দুই ভাইয়ের মধ্যে আকসার সবার ছোট। দুই ভাই বাকপ্রতিবন্ধী।