

বিপিএল ড্রাফটের আগের রাতে সামনে আসে ফ্র্যাঞ্চাইজি মালিকানা নিয়ে বিতর্ক। যেখানে নির্ধারিত সময়ে গ্যারান্টি মানি জমা না দেওয়ায় বাদ পড়তে হয়েছে প্রাথমিকভাবে ঢাকার মালিকানা পাওয়া রুপা ও মার্ন গ্রুপকে। এমন কান্ডে বোর্ডের পেশাদারিত্বের জায়গা নিয়ে প্রশ্ন উঠে। এখনো পর্যন্ত দলটির পরিচালনায় আছে বোর্ড, তবে আজ (২৭ ডিসেম্বর) ড্রাফট শেষে বিপিএল গভর্নিং কাউন্সিলের সদস্য সচিব ইসমাইল হায়দার মল্লিক জানালেন দলটির মালিকানা নিয়ে ভবিষ্যতে কি হতে পারে।
মল্লিক জানালেন বোর্ড এখনো দলটি নিজেদের নিয়ন্ত্রণে রেখে ড্রাফট শেষ করলেও দলের জন্য মালিকানা কিংবা আলাদা স্পন্সর নেওয়া হবে। অর্থাৎ ইতোমধ্যে দল গুছানো হয়ে গেলেও অন্য কোনো প্রতিষ্ঠান হয়তো এই প্রস্তুত দলটিই কিনে নিতে পারে।
আজ প্লেয়ার্স ড্রাফট শেষে মল্লিক সাংবাদিকদের বলেন, ‘যখন আমরা বিপিএলের টেন্ডারে যাই তখন প্রায় ১০-১২ টি দল আমাদের কাছে আগ্রহ প্রকাশ করে। পুরো প্রক্রিয়া শেষ করে আমরা ৮ জন মালিককে নির্বাচন করি যে তারা মালিক হিসেবে থাকতে পারবে। তার থেকে আমরা শর্ট লিস্ট করে ৬ টা দিই।’
‘৫ জন নির্ধারিত সময়ে টাকা জমা দিয়েছে, একজন ডেড লাইনের মধ্যে টাকা জমা দিতে পারেনি। ইভেনচুয়ালি উনি পায়নি, আর গতকাল রাতে আরেকজন, যিনি আগে নিতে চেয়েছিলো। আমরা চিন্তা করেছি বোর্ড আগে দলটা তৈরি করে ফেলুক। তৈরি করার পর আমরা হয় স্পন্সরশিপ নাহয় মালিকানা ব্যানারে হোক এটা আমরা দিয়ে দিবো।’
বিপিএল আয়োজনের এতো বছরেও পেশাদারিত্বের জায়গা দাঁড়াতে না পারা নিয়েও প্রশ্নের সম্মুখীন হতে হয় বিপিএল গভর্নিং কাউন্সিলের সদস্য সচিবকে। নিজের মতো করে ব্যাখ্যাও দিয়েছেন মল্লিক। যেখানে দায় চাপানো হয়েছে ফ্র্যাঞ্চাইজি মালিকানা কেনা প্রতিষ্ঠানগুলোকে।
তিনি বলেন, ‘আপনারাতো বিসিবির সাথে অনেকদিন ধরে কাজ করেন। জানেন এখানকার ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলো যে সব নিয়ম কানুন মানতে চায় তা কিন্তু না। আপনি যদি দেখেন আমাদের আগের বিপিএলের সাথে মেলাতে গেলে যেটা বড় পরিসরে হতো, অন্তত আর্থিক দিক আমলে নিলে এবার কিন্তু ছোট পরিসরেই হচ্ছে।’
‘তার মধ্যে আমাদের যে আর্থিক নিয়ম কানুন গুলো ছিলো বা অন্য যেগুলো ছিলো সেগুলো কিন্তু আমরা কঠোরভাবে অনুসরণ করতে চাই। সুতরাং এটা যে পাচ্ছিনা তা না, আমাদের হাতে মালিকানা ও স্পন্সর পেতে চায় এমন নাম আছে কিন্তু আমরা দিই নাই।’
‘যাচাই বাছাই করে দিচ্ছি বলেইতো উনাদের বাদ দিয়ে দিলাম। আমাদের টাইম ফ্রেমের মধ্যে হয়নি বলেই…এটাতো একটা দিক থেকে প্রশংসা পাওয়ার যোগ্য যে বোর্ড শুধু টাকার জন্য দল দিয়ে দেয়নি।’
মালিকানা চূড়ান্ত না হলেও ঢাকা দলে ভিড়িয়েছে তামিম ইকবাল, মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ, মাশরাফি বিন মর্তুজার সাথে রুবেল হোসেন, নাইম শেখের মতো জাতীয় দলের তারকা ক্রিকেটাররা। দলের কোচ হিসেবে ইতোমধ্যে পাকা হয়েছে মিজানুর রহমান বাবুল।
মালিকানা ছাড়াই ভারসাম্যপূর্ণ একটি দল গড়ে বিসিবি বলছে তারা অপেক্ষায় অন্য কাউকে মালিকানা হস্তান্তর করতে কিংবা বারটি স্পন্সর নিতে।
মল্লিক যোগ করেন, ‘মালিকানা না দিলেও আপনি যদি দেখেন তামিম, রিয়াদ, মাশরাফি, নাইম শেখের মতো জাতীয় দলের ক্রিকেটারদের নিয়ে গড়া ঢাকা দল কিন্তু সেরাদের একটা। অবশ্যই গতকাল রাতে আমাদের মাননীয় সভাপতি দিক নির্দেশনা দিয়ে দিয়েছে যে এটা হয়তো স্পন্সরশিপ বা মালিকানা দিয়ে দিবো।’
‘ঢাকা দলের কোচ মিজানুর রহমান বাবুল। উনি ওখান থেকে যুক্ত ছিলেন। অধিনায়ক এখনো ঠিক হয়নি, যেহেতু এটা বোর্ডের টিম…মাননীয় বোর্ড সভাপতির সাথে কথা বলে… কালকে রাতে এভাবেই ছিলো, আজকে তো রিয়াদ, তামিম, মাশরাফিরা যোগ দিয়েছে, এটা দেখতে হবে তাদের সাথে কথা বলে।’
ঢাকা স্কোয়াড-
মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ, ইসুরু উদানা, নাজিবউল্লাহ জাদরান, কায়েস আহমেদ, তামিম ইকবাল, রুবেল হোসেন, মাশরাফি বিন মর্তুজা, শুভাগত হোম, মোহাম্মদ শেহজাদ, ফজলে হক ফারুকি, নাইম শেখ, আরাফাত সানি, ইমরানুজ্জামান, শফিউল ইসলাম, জহুরুল ইসলাম, শামসুর রহমান, এবাদত হোসেন।