

যুব বিশ্বকাপের আগে এশিয়া কাপকে পাখির চোখ করেছিলো ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন বাংলাদেশ। এশিয়া কাপের প্রথম দুই ম্যাচে দাপুটে পারফরম্যান্সে প্রস্তুতিটা ভালোই হচ্ছে রাকিবুল হাসানদের। নেপালের বিপক্ষে ১৫৪ রানে জয়ের পর কুয়েতের বিপক্ষে এলো ২২৭ রানের বিশাল জয়।
ওপেনার মাহফিজুল ইসলাম রবিনের সেঞ্চুরিতে অল আউট হওয়ার আগে বাংলাদেশ যুব দলের সংগ্রহ ২৯১। জবাবে মাত্র ৬৪ রানেই গুটিয়ে গেছে কুয়েত।
রবিনের ১১২ রানের ইনিংসের সাথে এস এম মেহরবের ঝড়ো ৪২ রান। অল-আউট হওয়ার আগে স্কোরবোর্ডে ২৯১ রান তোলার পথে ছোট ছোট অবদান রেখেছেন আইচ মোল্লা (২০), আরিফুল ইসলাম (২৩), তাহজিবুল ইসলাম (২৫) ও অধিনায়ক রাকিবুল হাসান (২১)।
লক্ষ্য তাড়ায় নেমে কুয়েত যুবারা যেনো দিশাহারা। ওপেনার মিট ভাবসার ছাড়া দাঁড়াতেই পারেনি আর কোনো কুয়েত ব্যাটার। টাইগার যুব দলের পেসার, স্পিনারদের তোপে ৩৪ রানে ৭ উইকেট হারিয়ে বড় লজ্জার পথেই ছিলো ভাবসারের দল।
যদিও অধিনায়ক ভাবসারের ৪৩ রানের ইনিংসে ভর করে শেষ পর্যন্ত দলীয় রান ৫০ পার করে কুয়েত। রাকিবুল হাসান, রিপন মন্ডল, এস এম মেহরবদের তোপে ৬৪ রানেই গুটিয়ে যায়। ৭৭ বলে ৫ চারে শেষ ৪৩ রান করে শেষ ব্যাটার হয়ে ফেরেন ভাবসার। এর বাইরে কেবল দুই অঙ্ক ছুঁয়েছেন ৯ নম্বরে নামা মিরাজ আহমেদ (১১)। ৮ম উইকেট জুটিতে সর্বোচ্চ ২৭ রানের জুটি ভাবসার-মিরাজের।
বাংলাদেশ যুব দলের হয়ে সর্বোচ্চ ৩ উইকেট রিপন মন্ডলের, দুইটি করে নেন এস এম মেহরব ও রাকিবুল হাসান।
এর আগে শারজাহ ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস জিতে বাংলাদেশকে ব্যাটিংয়ে পাঠায় কুয়েত। শুরুতেই ওপেনার ইফতেখার হোসেনকে (২) হারায় বাংলাদেশ যুব দল। দলীয় ৩ রানে তার বিদায়ের পর আইচ মোল্লাকে নিয়ে ৮৪ রানের জুটি আরেক ওপেনার মাহফিজুল ইসলাম রবিনের।
আইচ ২০ রান করে বিদায় নিলে ভাঙে জুটি। তার আগেই ফিফটি তুলে নেন রবিন। ১৫তম ওভারে চার মেরে ফিফটি ছুঁয়েছেন ৫০ বলে। এরপর এক পাশ আগলে রেখে আরিফুল ইসলাম ও তাহজিবুল ইসলামকে নিয়ে ৫৩ ও ৪৪ রানের দুইটি জুটি গড়েন রবিন। আরিফুল, তাহজিবুল ইনিংস লম্বা করতে না পারলেও সেঞ্চুরি তুলে নেন রবিন।
ইনিংসের ৩২তম ওভারে সিঙ্গেল নিয়ে ১০৭ বলে ছুঁয়েছেন সেঞ্চুরি। তবে এরপর টিকেননি বেশিক্ষণ, ১১৯ বলে ১২ চার, ৪ ছক্কায় ১১২ রান করে ফেরেন পঞ্চম ব্যাটার হিসেবে।
আগের ম্যাচে সেঞ্চুরি হাঁকানো প্রান্তিক নওরোজ নাবিল এদিন অবশ্য ফিরেছেন ৫ রান করে। ২০৯ রানে ৬ উইকেট হারানো বাংলাদেশকে এরপর ২৯১ রানের পুঁজি এনে দেয় এস এম মেহরবের ২৪ বলে ৫ চার ১ ছক্কায় ৪২ রান। শেষদিকে অধিনায়ক রাকিবুলের ব্যাটে ২১ রান।
বাংলাদেশ যুবাদের অলআউট করার পথে কুয়েতের আব্দুল সাদিক নেন সর্বোচ্চ ৩ উইকেট। দুইটি করে উইকেট হেনরি থমাস ও মুহাম্মদ উমরের। একটি করে নেন মিরাজ আহমেদ ও আব্দুল্লাহ ফারুকের।