
আসন্ন বিপিএলে চ্যাম্পিয়ন, রানার আপের জন্য বিসিবির ঘোষিত প্রাইজমানি নিয়ে বেশ সমালোচনা হচ্ছে। কারণ যাত্রার এক দশক পেরিয়ে গেলেও এখনো যে পেশাদারিত্বের ছাপ মেলেনি। বিপিএলের অনেক পরে শুরু হওয়া পিএসএল (পাকিস্তান সুপার লিগ), সিপিএলের (ক্যারিবিয়ান প্রিমিয়ার লিগ) প্রাইজমানিই বিপিএলের ৪ থেকে ৮ গুণ বেশি। আইপিএল তো সেখানে ধরা ছোঁয়ার বাইরেই (২৩ গুণ), বিসিবি প্রধান নির্বাহী অবশ্য বলছেন ভবিষ্যতে তারাও বড় পরিসরে করতে চান।
গতকালই জানা যায় এবারের বিপিএলে চ্যাম্পিয়ন দল পাবে ১ কোটি টাকা, রানার আপ দল পাবে ৫০ লাখ। যেখানে আইপিলের চ্যাম্পিয়ন দল পায় ২৩ কোটি টাকা। ২০১২ সালে যাত্রা শুরু করা বিপিএলের এক বছর পর যাত্রা সিপিএলের, যেখানে চ্যাম্পিয়ন দলের প্রাইজমানি ৮.৫ কোটি টাকা।
২০১৬ সালে যাত্রা শুরু করা পিএসলের চ্যাম্পিয়ন দলের প্রাইজমানি ৪.৫ কোটি টাকা। বিপিএলের মাত্র এক বছর আগে যাত্রা করা বিগ ব্যাশ লিগে (বিবিএল) প্রাইজমানিও উল্লেখযোগ্য (৪ কোটি টাকা)। এমনকি ২০১৮ সাল থেকে ভাইটালিটি টি-টোয়েন্টি ব্লাস্ট নামে যাত্রা শুরু করা ইংলিশ ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগের প্রাইজমানিও ২ কোটি টাকার।
উপরের তথ্য উপাত্ত দেশের ক্রিকেট ভক্ত সমর্থকদেরও নখদর্পনে। যে কারণে বিসিবির ঘোষিত আসন্ন বিপিএলের প্রাইজমানি নিয়ে সমালোচনা শুর হতে দেরি হয়নি।
তবে আজ (২৩ ডিসেম্বর) মিরপুরে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে বিসিবি প্রধান নির্বাহী নিজাম উদ্দিন চৌধুরী সুজন জানান এবার মাত্র এক আসরের জন্য ফ্র্যাঞ্চাইজি মালিকানা দেওয়াতে ছোট পরিসরে হচ্ছে অনেক কিছুই। ভবিষ্যতে প্রাইজমানি বাড়ানোর ব্যাপারে আছে ইতিবাচক পরিকল্পনা।
তিনি বলেন, ‘আপনারা জানেন এটা একটা ওয়ান অফ ইভেন্ট হচ্ছে। সেভাবেই এটা প্ল্যান করা। অনেক কিছু আছে, যেটা আমাদের ইতোপূর্বের যে প্ল্যান ছিলো এবং বিপিএলের নির্ধারিত মডিউল ছিলো, লং টার্ম একটা…আমাদের আগামীতে পরিকল্পনা আছে শুরু করবো। তখন হয়তো এই বিষয়গুলো আরও বড় আকারে দেখা যেতে পারে।’
বিপিএলের প্লেয়ার্স ড্রাফট অনুষ্ঠিত হবে ২৭ ডিসেম্বর। পিএসএলের কারণে এবার বিদেশী ভালো মানের ক্রিকেটার পাওয়া নিয়ে আছে সংশয়। তবে দলগুলো ড্রাফটের আগে ৩ জন করে বিদেশীর সাথে সরাসরি চুক্তি করার সুযোগ পাচ্ছে। ইতোমধ্যে বেশ কয়েকজন তারকার নামও শোনা যাচ্ছে। কিন্তু ড্রাফটে কারা আগ্রহী সে ব্যাপারে এখনো চূড়ান্ত কিছু অজানা বিসিবি প্রধান নির্বাহীর।
নিজাম উদ্দিন চৌধুরী যোগ করেন, ‘আপনারা জানেন যে বিদেশী ক্যাটাগরিতে আমরা একটা সিদ্ধান্তে এসেছি যে ড্রাফটের বাইরে প্রতিটি ফ্র্যাঞ্চাইজি ৩ জন করে বিদেশী খেলোয়াড় নেওয়ার সুযোগ রয়েছে। সুতরাং তাদের সাথে কি চুক্তি হচ্ছে কিংবা কারা আসছে এ বিষয়গুলো আমাদের যে নির্ধারিত সময় আছে ড্রাফটের তার আগেই জানতে পারবো। এটা হচ্ছে বিদেশীদের ক্ষেত্রে, ড্রাফটে কারা থাকবে বিদেশী সেটা হয়তো আমরা কালকে বুঝতে পারবো কারা থাকে, কারা উইথড্র করে। এখনই ফাইনালি কিছু বলা যাচ্ছে না।’