

বিসিবির ক্রিকেট পরিচালনা বিভাগের প্রধান আকরাম খানের স্ত্রী গতকাল (২০ ডিসেম্বর) ফেসবুক স্ট্যাটাস দিয়ে জানান আকরাম পদ ছাড়তে যাচ্ছেন। তবে এ নিয়ে সংবাদ মাধ্যমে গতকাল পর্যন্ত আনুষ্ঠানিক কোনো মন্তব্য করেননি আকরাম। সাবেক এই অধিনায়ক পারিবারিক সিদ্ধান্তের কথা স্বীকার করে আজ সন্ধ্যায় জানালেন এ ক্ষেত্রে তিনি অনুসরণ করবেন বিসিবি সভাপতির পরামর্শ।
আকরামের স্ত্রী সাবিনা আকরাম গতকালই কয়েকটি সংবাদ মাধ্যমকে জানান তারা পারিবারিকভাবে এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। টানা ৮ বছর বোর্ডের ক্রিকেট পরিচালনা বিভাগে থাকায় পরিবারকে খুব একটা বাড়তি সময় দিতে পারেননি।
আকরাম নিজে অবশ্য চেয়েছেন বোর্ড সভাপতি নাজমুল হাসান পাপনের সাথে আলাপ করেই সংবাদ মাধ্যমে জানাতে। আজ দুপুর ফোন করেও পাননি পাপনকে। তবে সংবাদ কর্মীদের কৌতুহল মেটাতে গিয়ে তার বাসভবনে আজ সন্ধ্যায় এ নিয়ে মুখ খোলেন। শর্ত ছিলো কোনো প্রশ্ন করা যাবেনা,কেবল তিনি নিজে তার বিবৃতি দিবেন।
আকরাম বলেন, ‘আসলে আমি আজ কথা বলতে চাইনি। আপনারা এখানে চলে এসেছেন, তাই কিছু বলতে হবে। আমরা পারিবারিকভাবে একটি সিদ্ধান্ত নিয়েছি আমার ব্যাপারে। যেহেতু গত ৮ বছর ক্রিকেট অপারেশন্সের দায়িত্বে ছিলাম।’
‘গত ৮ বছরে আমাদের মাননীয় বোর্ড সভাপতি, যিনি আমার অভিভাবক, তার কাছ থেকে সবচেয়ে বেশি সবচেয়ে বেশি সহযোগিতা পেয়েছি। যত খারাপ বা ভালো সময় গিয়েছে সবসময় তিনি আমার সাথে ছিলেন। উনার সাথে আলাপ করে কালকের মধ্যে সিদ্ধান্ত জানিয়ে দিব।’
‘বোর্ড সভাপতির সাথে কথা বলার আগে আমি আনুষ্ঠানিকভাবে আপনাদের কিছু বলতে পারব না। আপনারা এখানে এসেছেন, আপনাদের এটাই বলার আছে। আমি তিনটার দিকে একবার কল করেছি। উনি সাড়া দেননি। হয়ত যেকোনো সময় কল ব্যাক করবেন। কল ব্যাক করলেই আমি আলোচনা করে নিব।’
‘কালকে বোর্ডে তো উনার সাথে দেখা হবেই। হ্যাঁ, পারিবারিক কারণেই। অনেক বছর ধরে এখানে ছিলাম। এখানে মানসিক-শারীরিক স্ট্রেন্থের দরকার আছে। সবকিছু মিলিয়েই একটু ব্রেক চাচ্ছি।’
নাজমুল হাসান পাপন অনুরোধ করে আবারও পদে বহাল থাকার অনুরোধ করলে থাকবেন কীনা এমন প্রশ্নেও আকরামের কৌশলী উত্তর।
তিনি বলেন, ‘(পাপন ভাই রিকুয়েস্ট করলে) এটা উনার সাথে আলাপ করে। এখন এ ব্যাপারে কিছু বলতে চাই না। উনার সাথে আলাপ করেই আপনাদের জানাব।’
উল্লেখ্য, গুঞ্জন আছে বিসিবির সর্বশেষ নির্বাচনের পর এখনো বন্টন না হওয়া স্ট্যান্ডিং কমিটিতে আকরামের ক্রিকেট পরিচালনা বিভাগে থাকার সম্ভাবনা কমই ছিলো। অন্যদিকে টিম ডিরেক্টর হিসেবে খালেদ মাহমুদ সুজনকে নিয়োগ দিয়ে ক্রিকেট পরিচালনা বিভাগের কাজের পরিসর ছোট করাতেও কিছুটা অসন্তুষ্ট ছিলেন আকরাম।