

বর্ণবিদ্বেষের অভিযোগে আনুষ্ঠানিক শুনানির তলব করা হয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকার কিংবদন্তি দুই ক্রিকেটার গ্রায়েম স্মিথ ও মার্ক বাউচারকে। সোমবার ক্রিকেট দক্ষিণ আফ্রিকা (সিএসএ) এ ঘোষণা দেয়।
ভারতের বিপক্ষে বক্সিং ডে টেস্টের ৬ দিন আগে এ ঘোষণা আসে।
বর্তমানে সিএসএ-এর ক্রিকেট পরিচালকের দায়িত্ব পালন করছেন স্মিথ। অন্যদিকে জাতীয় দলের কোচ হিসেবে নিযুক্ত আছেন বাউচার।
শুনানির পূর্ব পর্যন্ত প্রত্যেকে স্ব স্ব কর্মক্ষেত্রে দায়িত্বে থাকবেন বলে সিএসএ জানিয়েছে।
স্মিথ ও বাউচার ছাড়াও অভিযোগ করা হয়েছে সদ্য অবসর নেওয়ার এবি ডি ভিলিয়ার্সের নামেও। অভিযোগপত্র দাখিল করেছেন সোশাল জাস্টিস অ্যান্ড ন্যাশনাল বিল্ডিংয়ের (এসজেএন) ন্যায়পাল অ্যাডভোকেট ডুমিসা সেবেজা।
সেবেজার অনুসন্ধানী প্রতিবেদনকে স্বীকৃতি দিয়েছে সিএসএ। এছাড়া এ অভিযোগে আরও কয়েকজন ব্যক্তির নামও যুক্ত আছে। গত সপ্তাহে প্রাথমিক প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়, যেখানে অবশ্য সঠিক কারণ খুজে পাননি সেবেজা।
‘এসজেএনের প্রতিবেদন অনুযায়ী সিএসএ-এর কর্মচারি, সংগ্রাহক ও ঠিকাদারদের ব্যাপারে সাধারণ অনুসন্ধান করবে বোর্ড,’ সিএসএ এক বিবৃতিতে জানায়।
‘বর্ণবাদ ও বৈষম্যের ব্যাপারে বোর্ড সবসময় কঠোর অবস্থানে থাকে এবং এ বিষয়ে দক্ষিণ আফ্রিকার শ্রম আইন ও সংবিধান অনুযায়ী স্বচ্ছতা আনয়ন ও সঠিক দায়িত্ব পালনে বদ্ধপরিকর।’
সিএসএ-এর চেয়ারপার্সন লসন নাইডু বলেন, ‘আশা করি উভয় পক্ষের ক্ষেত্রে স্বচ্ছতা আসবে এবং আমরা সঠিক তথ্য জানতে পারবো। সমাধানের পর আমরা প্রয়োজনীয় অ্যাকশন নিবো।’
যদিও সেবেজার অনুসন্ধানের তুমুল সমালোচনা করেছেন স্মিথের উকিল ডেভিড বেকার।
‘কিছু তথ্য খুবই অগ্রহণযোগ্য ছিল। আমার মতে সেবেজা প্রমাণের কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয় আড়াল করেছে,’ জানান বেকার।
এছাড়া এসজেএনের শুনানিতে সেবেজার অনুসন্ধানী যে প্রতিবেদন দাখিল করা হয়েছে, তা পরীক্ষিত নয় বলে দাবি করেন বেকার। এক্ষেত্রে কোন সাক্ষীও নেই বলে জানান তিনি।
স্মিথ ও বাউচার দুইজনেরই ১০০ এরও বেশি টেস্ট খেলার অভিজ্ঞতা আছে। বোর্ডের সাথে স্মিথের চুক্তি শেষ হবে আগামী বছরের মার্চে। এছাড়া ২০২৩ সালের বিশ্বকাপ পর্যন্ত কোচের দায়িত্বে থাকবেন বাউচার।