

আগামীকাল (২১ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় যুব এশিয়া কাপ ও বিশ্বকাপ খেলতে দেশ ছাড়বে বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ দল। তার আগে আনুষ্ঠানিক সংবাদ সম্মেলনে দলের কোচ নাভিদ নেওয়াজ বলছেন ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন হয়ে বিশ্বকাপ খেলতে যাওয়ার সুবিধাটাই কাজে লাগাতে চান তারা। যদিও এখনই বিশ্বকাপের শেষ নিয়ে ভাবতে নারাজ, আগের আসরেই বাংলাদেশকে শিরোপার স্বাদ দেওয়া এই কোচ।
আগামী ২৩ ডিসেম্বর সংযুক্ত আরব আমিরাতে পর্দা উঠছে এশিয়া কাপের। অন্যদিকে ওয়েস্ট ইন্ডিজে ১৪ জানুয়ারি থেকে মাঠে গড়াচ্ছে আসন্ন যুব বিশ্বকাপ। করোনার কারণে গত যুব বিশ্বকাপের পর থেকেই প্রস্তুতি নিতে পারেনি দলগুলো। তবে বাংলাদেশ সে দিক থেকে কিছুটা এগিয়েই আছে।
গত কয়েক মাসে খেলেছে আফগানিস্তান, শ্রীলঙ্কা ও ভারতের বিপক্ষে সিরিজ। ভারতে ত্রিদলীয় সিরিজেতো ভারতের দুইটি দলকে হারিয়ে হয়েছে অপরাজিত চ্যাম্পিয়নও। শ্রীলঙ্কা সফরে ৫ ম্যাচ সিরিজে ধবল ধোলাই হলেও, ঘরের মাঠে আফগানিস্তানের বিপক্ষে সিরিজ জিতেছে ৩-২ ব্যবধানে।
সাথে বিশ্বকাপের আগে এশিয়া কাপ নিশ্চিতভাবেই প্রস্তুতির অন্যতম মঞ্চ হতে যাচ্ছে। আজ মিরপুরে সংবাদ সম্মেলনে কোচ নাভিদ নেওয়াওজও সেটিই সামনে আনলেন। এশিয়া কাপের সর্বোচ্চ ফায়দা নিতে চান বলেও জানান এই শ্রীলঙ্কান।
তার মতে, ‘এটা (এশিয়া কাপ) আমাদের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ টুর্নামেন্ট কারণ এটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ এশিয়া কাপের পর মোমেন্টাম তৈরি করে বিশ্বকাপে যাওয়া। আর আমি মনে করি এটাই মূল কারণ যে এশিয়ান ক্রিকেট কাউন্সিল বিশ্বকাপের আগে এশিয়ার দলগুলোকে বেশি ম্যাচ খেলার সুযোগ করে দিতে চেয়েছে। এখন এটা আমাদের উপর, যার সর্বোচ্চ ফায়দা নিয়ে মোমেন্টাম তৈরি করে ওয়েস্ট ইন্ডিজে বিশ্বকাপ খেলতে যাওয়া।’
ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন হয়ে বিশ্বকাপ খেলতে যাওয়াকে অবশ্য চাপ না ভেবে সুবিধা হিসেবে দেখতে চান নাভিদ নেওয়াজ। বিশ্বকাপে বাংলাদেশের প্রথম ম্যাচ ১৬ জানুয়ারি ইংল্যান্ডের বিপক্ষে। ‘এ’ গ্রুপে বাংলাদেশের বাকি প্রতিপক্ষ অবশ্য তুলনামুলক সহজই, ইংল্যান্ড ও সংযুক্ত আরব আমিরাত।
বিশ্বকাপের চপ নিয়ে নেওয়াজ যোগ করেন, ‘না ঠিক তা নয় (চাপ নয়)। কারণ এই কোভিডের মাঝেও আমরা গত এক বছর ধরে এক সাথে আছি, কোচিং স্টাফ সহ সবাই বুঝতে পারছি আমরা কেমন ক্রিকেট খেলতে যাচ্ছি। আর ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন হয়ে খেলতে যাওয়াটা একটা সুবিধা, আমরা সে সুবিধাটা কাজে লাগাতে চাই।’
‘কোনো অসুবিধা সামনে এনে চাপ বাড়াতে চাই না। সুতরাং আমি মনে করি এটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ যে টুর্নামেন্টে যাওয়ার আগে আমরা শিরোনামকে একটি নাম হিসেবে ব্যবহার করছি। কিন্তু এটা ঠিক যে এখনই আমরা টুর্নামেন্টের শেষ নিয়ে ভাবছিনা।’
‘আমাদের নিশ্চিত করতে হবে প্রতিটি ম্যাচ ধরে ধরে এগোনোর ব্যাপারটি। আর এটাই হবে টুর্নামেন্টে প্রবেশের আগে আমাদের জন্য অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ বিষয়।’
এখনই বিশ্বকাপের শেষ পর্যন্ত না ভাবলেও শিরোপা ধরে রাখার ব্যাপারে আত্মবিশ্বাসী টাইগার যুবাদের কোচ, ‘আমরা খুবই আত্মবিশ্বাসী। যেমনটা আমি আগে বলেছি, আমরা এখনই শেষ নিয়ে ভাবছি না। কিন্তু আমাদের একটা পরিকল্পনাতো অবশ্যই আছে যে আমরা অমন মঞ্চে কীভাবে এগোচ্ছি। আমরা সব ধরণের কম্বিনেশন সাজিয়ে রেখেছি, সুতরাং আমরা এটার (শিরোপা) জন্যই যাচ্ছি।’