

বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশ ক্রিকেট লিগ (বিসিএল) এর ২০২০-২১ এর দ্বিতীয় রাউন্ডের প্রথম দিনে মিরপুরে সুবিধা জনক অবস্থায় ওয়ালটন সেন্ট্রাল জোন। পেসার আবু হায়দার রনির ৫ উইকেট শিকারের দিনে ইসলামী ব্যাংক ইস্ট জোন ২৪৫ রানে গুটিয়ে যায়। মাত্র ১ ওভার ব্যাট করে কোনো উইকেট না হারিয়ে ৪ রান তোলে ওয়ালটন সেন্ট্রাল জোন, পিছিয়ে আছে আরও ২৪১ রানে।
ইসলামী ব্যাংক ইস্ট জোনের হয়ে সর্বোচ্চ ৭২ রানের ইনিংস খেলেন শাহাদাত হোসেন দিপু। ৪০ রানে অপরাজিত ছিলেন নাইম হাসান, ইমরুল কায়েসের ব্যাটে ৩২ ও প্রীতম কুমার করেছেন ৩০ রান।
প্রথম রাউন্ডে জয় পাওয়া ওয়ালটন সেন্ট্রাল জোন আজ টস জিতে ফিল্ডিং নেয়। শুরুতেই পেসার রবিউল হকের বলে খালি হাতে ফেরেন ওপেনার মোহাম্মদ আশরাফুল। এরপর ইসলামী ব্যাংক ইস্ট জোনের হাল ধরার চেষ্টা ইমরুল কায়েস ও শাহাদাত হোসেন দিপুর।
দুজনে মিলে গড়েন ৫১ রানের জুটি। কিন্তু ৬০ বলে ৩২ রান করা অধিনায়ক কায়েসকে ফিরিয়ে টানা দুই উইকেট শিকার রবিউলের। কায়েসের বিদায়ের পর কেবল দিপুই কিছুটা প্রতিরোধ গড়তে পারেন। ইরফান শুক্কুরকে (১৪) ফিরিয়ে প্রথম উইকেট শিকার বাঁহাতি পেসার আবু হায়দার রনির। দ্রুত ফেরেন আফিফ হোসেন ধ্রুবও (০)।
৯৪ রানেই ৪ উইকেট নেই ইসলামী ব্যাংক ইস্ট জোনের। সেখান থেকে ৩৯ রান যোগ করেন নাদিফ চৌধুরী ও শাহাদাত হোসেন দিপু। এ দফায় জুটি ভাঙে বাঁহাতি স্পিনার হাসান মুরাদের বলে দিপু এলবিডব্লিউর ফাঁদে পড়লে। ১৩২ বলে ১০ চারে ৭২ রানের ইনিংস সাজান যুব বিশ্বকাপ জয়ী দলের এই সদস্য।
এরপর নাদিফকেও (২৬) ফেরান রনি। যে উইকেট নিয়ে কিছুটা বিতর্কও রয়েছে। লেগ স্টাম্পের খানিক বাইরে দিয়ে চলে যাওয়া শর্ট বলে দ্বিধায় ভোগেন নাদিফ। বোলারের আবেদনে কট বিহাইন্ডের সিদ্ধান্ত দেন আম্পায়ার। এ নিয়ে ইসলামী ব্যাংক ইস্ট জোনের অধিনায়ক ইমরুল কায়েস মাঠের বাইরে তৃতীয় আম্পায়ারের সাথেও বেশ কিছুক্ষণ আলাপ করেন।
নাদিফ ফিরলে দলকে টেনে নেওয়ার চেষ্টা করেন নাইম হাসান ও প্রীতম কুমার। ৩০ রান করা প্রীতমকেও উইকেটের পেছনে ক্যাচে পরিণত করেন রনি। ১ রানের ব্যবধানে এনামুল হক শিকার হন হাসান মুরাদের।
সেখান থেকে তানভীর ইসলামকে নিয়ে ৯ম উইকেটে নাইমের ৫৯ রানের জুটি। তবে একই ওভারে তানিভীর (২০) ও আসাদুজ্জামান পিয়ালকে (০) ফিরিয়ে নিজের ৫ উইকেট তুলে নেন রনি। তাতে ইসলামী ব্যাংক ইস্ট জোন অলআউট ২৪৫ রানে। নাইম হাসান অপরাজিত ছিলেন ৪০ রানে।
৫ উইকেট শিকারের পথে অবশ্য কিছুটা খরুচেই ছিলেন রনি। এই বাঁহাতি পেসার ২০.৫ ওভারে ৯৩ রান খরচ করেন। তিনটি উইকেট নেন হাসান মুরাদ। দুইটি শিকার রবিউল হকের।
জবাবে নিজেদের প্রথম ইনিংসে ব্যাট করতে নামা ওয়ালটন সেন্ট্রাল জোন ১ ওভারের বেশি খেলার সুযোগ পায়নি। কোনো উইকেট না হারিয়ে ৪ রান তুলে দিন শেষ করে। আগের ম্যাচে সেঞ্চুরি হাঁকানো মোহাম্মদ মিঠুন ও মিজানুর রহমান দুজনেই অপরাজিত আছেন ২ রানে।
সংক্ষিপ্ত স্কোর (১ম দিন শেষে):
ইসলামী ব্যাংক ইস্ট জোন ১ম ইনিংসে ২৪৫/১০ (৮৩.৫), ইমরুল ৩২, আশরাফুল ০, দিপু ৭২, শুক্কুর ১৪, ধ্রুব ০, নাদিফ ২৬, প্রীতম ৩০, নাইম ৪০*, এনামুল ১, তানভীর ২০, পায়েল ০; রবিউল ১৬-৭-২৯-২, রনি ২০.৫-৫-৯৩-৫, মুরাদ ২১-৮-৪৭-৩
ওয়ালটন সেন্ট্রাল জোন ১ম ইনিংসে ৪/০ (১), মিজানুর ২*, মিঠুন ২*
ওয়ালটন সেন্ট্রাল জোন ২৪১ রানে পিছিয়ে।