

বর্ণবাদ বিতর্ক দক্ষিণ আফ্রিকাকে আবারো গ্রাস করেছে। গত কয়েক মাস ধরে এ বিতর্কে ইংল্যান্ডের ক্রিকেটে তোলপাড় হয়েছে। এবার সেটি ফিরেছে দক্ষিণ আফ্রিকায়। কঠিন এই অভিযোগে নাম জড়িয়েছে গ্রায়েম স্মিথ, মার্ক বাউচার ও এবি ডি ভিলিয়ার্সের মতো কিংবদন্তি ক্রিকেটারদের।
ক্রিকেট সাউথ আফ্রিকা (সিএসএ) এ বছরের শুরুতে খেলার মধ্যে জাতিগত বৈষম্যের বিষয়ে শুনানির জন্য একটি কমিশন গঠন করেছিল। সেই কমিশনে ৫ জুলাই থেকে শুরু হওয়া ৩৫ দিনের শুনানির পর একটি চূড়ান্ত প্রতিবেদন তৈরি করেছে। ২৩৫ পৃষ্ঠার ওই প্রতিবেদনে পরিষ্কার লেখা আছে, দেশটির ক্রিকেট বোর্ড কর্তা, নামজাদা ক্রিকেটারসহ অনেকেই বর্ণবিদ্বেষ চালিয়েছেন।
অভিযোগের আঙুল তোলা হয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকা বোর্ডের বর্তমান পরিচালক গ্রায়েম স্মিথ, প্রধান কোচ মার্ক বাউচার এবং কিংবদন্তি ক্রিকেটার এবি ডি ভিলিয়ার্সের দিকে। বলা হয়েছে, এরা বিভিন্ন সময় বর্ণবৈষম্যকে প্রশ্রয় দিয়েছেন। তিনজনই কোনো না কোনো সময় দেশের হয়ে অধিনায়কত্ব করেছেন। সে সময় দল নির্বাচন করেছেন বর্ণের ভিত্তিতে।
অভিযোগে আরো বলা হয়, ২০১১-এর পর থেকে দক্ষিণ আফ্রিকা বোর্ড, স্মিথ এবং নির্বাচকরা মিলে অনেক কৃষ্ণাঙ্গ ক্রিকেটারের ক্যারিয়ার শেষ করে দিয়েছিলেন। স্মিথের বিরুদ্ধে অভিযোগ, থামি সোলেকিলেকে ২০১২ সালে না খেলানো নিয়ে। ডি ভিলিয়ার্সের বিরুদ্ধেও একই ধরনের অভিযোগ। ২০১৫ সালে ভারত সফরের সময় খায়া জন্ডোকে খেলাননি তিনি। জন্ডোর পরিবর্তে একাদশে সুযোগ পেয়েছিলেন শ্বেতাঙ্গ ক্রিকেটার ডিন এলগার। জেপি ডুমিনির ইনজুরির কারণে জন্ডো স্কোয়াডে ঢুকেছিলেন।
অন্যদিকে মার্ক বাউচার স্বীকার করেছেন, সতীর্থ স্পিনার পল অ্যাডামসের (অশ্বেতাঙ্গ) একটা বিশেষ নামকরণ হয়েছিল তার বর্ণের ভিত্তিতে। আর সেই নামকরণের নেপথ্যে তিনিও ছিলেন। তবে বাউচার দাবি করেন, তিনি কোনোদিন কোনো ক্রিকেটারের বর্ণের বিচারে সিদ্ধান্ত নেননি, নিয়েছেন দলের স্বার্থের কথা ভেবে।
কমিশনের ন্যায়পাল ডুমিসা সেবেজা দক্ষিণ আফ্রিকা বোর্ডে চিরস্থায়ী রদবদলের নির্দেশ দিয়েছেন। পাশাপাশি বোর্ডে বর্ণবৈষম্য যাতে আর না হয়, সেটা দেখার জন্য নতুন পদ সৃষ্টি করে তাতে নিয়োগ দিতে বলা হয়েছে।