

রেকর্ডময় ম্যাচে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে হোয়াইটওয়াশ করল পাকিস্তান। নিজেদের টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটের ইতিহাসে সর্বোচ্চ রান তাড়া করে ৭ উইকেটে জিতেছে তারা। এছাড়াও এক পঞ্জিকা বর্ষে সবচেয়ে বেশি টি-টোয়েন্টি ম্যাচ জয় এখন পাকিস্তানের পক্ষে।
রান প্রসবা ম্যাচে ২০৮ রানের টার্গেটে খেলতে নেমে মিস্টার কন্সিসটেন্ট মোহাম্মদ রিজওয়ান ও অধিনায়ক বাবর আজমের ব্যাটিংয়ে পাকিস্তানকে জয় নিয়ে বিন্দুমাত্র ভাবতে হয়নি। আগের ম্যাচে ১ বছরে সর্বোচ্চ টি-টোয়েন্টি রান ও ১ম ব্যক্তি হিসেবে ১ বছরে ১ হাজারি রানের মালিক হয়েছিলেন রিজওয়ান। এদিন সেই ধারাবাহিকতা বজায় রাখেন তিনি। এ বছরে ১১ তম অর্ধশতরান রানও আদায় করেছেন এ ম্যাচে।
তাকে যোগ্য সহায়তা দেন বাবর। এ দুইজন মাত্র ৯১ বলে ১৫৮ রানের জুটি গড়লে পাকিস্তানের জয়ের রাস্তা সহজ হয়ে যায়। বাবর ৫৩ বলে ৯ চার ও ২ ছয়ে ৭৯ রান করে আউট হন। সেঞ্চুরি থেকে মাত্র ১৩ রান দূরে থাকতে হলেও ম্যাচ সেরার পুরস্কার ঠিকই বাগিয়ে নিয়েছেন রিজওয়ান। তার ইনিংসে ছিল ১০ চার ও ৩ ছয়।
শেষদিকে আসিফ আলির ৭ বলে অপরাজিত ২১ রানের ঝড়ো ইনিংসে ৭ বল বাকি থাকতে জয় পেয়ে যায় পাকিস্তান।
ক্যারিবিয়ানদের পক্ষে রোমারিও শেফার্ড, ডমিনিক ড্রেকস ও ওডিন স্মিথ ১টি করে উইকেট পান।
এর আগে টসে জিতে ব্যাট হাতে নামা ওয়েস্ট ইন্ডিজ টপ অর্ডারের ব্যাটসম্যানদের আক্রমণাত্নক ব্যাটিংয়ে ৩ উইকেটে ২০৭ রানের বড় স্কোর গড়ে। মাত্র ৩৭ বলে ২ চার ও ৬ ছয়ে সর্বোচ্চ ৬৪ রান করেন অধিনায়ক নিকোলাস পুরান। এছাড়া দুই ওপেনার শামার ব্রুকস ৪৯ এবং ব্রেন্ডন কিং মাত্র ২১ বলে ৪৩ রান করেন। ড্যারেন ব্রাভোর ব্যাট থেকে আসে অপরাজিত ৩৪ রান।
পাকিস্তানের পক্ষে মোহাম্মদ ওয়াসিম ২টি ও শাহনেওয়াজ দাহানি ১টি উইকেট পান।
সংক্ষিপ্ত স্কোরঃ
ওয়েস্ট ইন্ডিজঃ ২০৭/৩ (২০),কিং ৪৩, ব্রুকস ৪৯, পুরান ৬৪, ব্রাভো ৩৪*, পাওয়েল ৬*; দাহানি ৪-০-২৩-১, ওয়াসিম ৪-০-৪৪-২
পাকিস্তানঃ ২০৮/৩ (১৮.৫), রিজওয়ান ৮৭, বাবর ৭৯, ফখর ১২, আসিফ ২১*, ইফতিখার ১*; শেফার্ড ৩.৫-০-৫৩-১, ড্রেকস ৪-০-৩৭-১, স্মিথ ৩-০-৩৪-১
ফলাফলঃ পাকিস্তান ৭ উইকেটে জয়ী
ম্যাচ সেরাঃ মোহাম্মদ রিজওয়ান (পাকিস্তান)।