

বয়স ৩৮ পেরিয়েছে, সর্বশেষ কোনো প্রতিযোগিতামূলক ম্যাচ খেলেছেন ২০২০ সালের ডিসেম্বরে। তবে নামটা মাশরাফি বিন মর্তুজা বলেই আরেক বার মাঠে ফেরার পুরোদমে প্রস্তুতি নিচ্ছেন। আসন্ন বিপিএল দিয়ে ফেরার অপেক্ষা, খেলবেন ঢাকা প্রিমিয়ার ডিভিশন ক্রিকেট লিগের (ডিপিএল) আগামী আসরও। মাশরাফি বিপিএল খেললে টুর্নামেন্টের চাপটাই বেড়ে যায় বলছেন বিসিবির ক্রিকেট পরিচালন বিভাগের প্রধান আকরাম খান।
বিপিএলের সাথে মাশরাফির দুর্দান্ত একটা রসায়ণ। এখনো পর্যন্ত মাঠে গড়ানো ৭ আসরে চারবারই শিরোপা উঠেছে তার নেতৃত্বাধীন দলে। বল হাতে পারফরম্যান্সও তার হয়ে কথা বলবে দারুণভাবে। ৮৭ ম্যাচে ৮১ উইকেট নিয়ে আছেন বিপিএল ইতিহাসের সর্বোচ্চ উইকেট শিকারির তালিকায় ৩ নম্বরে। ওভারপ্রতি রান খরচ করাতেও বেশ কৃপণ দেশের ক্রিকেট ইতিহাসের অন্যতম সেরা এই পেসার, ইকোনোমি মাত্র ৬.৯৩।
করোনা প্রভাবে বিপিএলের গত মৌসুম মাঠে গড়ায়নি তবে স্থানীয় ক্রিকেটারদের নিয়ে বিসিবি আয়োজন করেছিলো বঙ্গবন্ধু টি-টোয়েন্টি কাপ। যেখানে জেমকন খুলনার হয়ে খেলেছেন লম্বা বিরতি দিয়েই। তবে মাঠে সেটা বুঝতে দেননি, গাজী গ্রুপ চট্টগ্রামের বিপক্ষে তো ৩৫ রানে ৫ উইকেট নেওয়ার কীর্তিও গড়েন।
এবারের বিপিএলে একজন করে দেশী ক্রিকেটার ড্রাফটের আগেই সরাসরি চুক্তিবদ্ধ করতে পারবে ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলো। মাশরাফির দিক থেকে যতটুকু তথ্য তাতে কোনো দল এখনো আগ্রহ প্রকাশ বা যোগাযোগ করেনি। তবে ড্রাফটের বাইরে না হলেও মাশরাফিকে ড্রাফট থেকে দলে নিতে চাইবে ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলো সেটা বলার অপেক্ষা রাখেনা।
বিসিবির ক্রিকেট পরিচালনা বিভাগের প্রধান আকরাম খান তো সংবাদ মাধ্যমকে আজ (১৫ ডিসেম্বর) জানালেন মাশরাফি খেললে বিপিএলেরই চাপ বেড়ে যাবে।
তিনি বলেন, ‘একজন খেলোয়াড় হিসেবে, একজন অধিনায়ক হিসেবে মাশরাফি বাংলাদেশের জন্য সম্পদ। আমি মনে করি ওর সাথে খেলাটাও অনেক সৌভাগ্যের ব্যাপার। কারণ ও খুব অভিজ্ঞ, ও অনেকদিন বাংলাদেশ দলকেও সেবে দিয়েছে। ও খেলা মানে বিপিএলে চাপটা বেড়ে যায়। আমার মনে হয় যারা ওর সাথে খেলবে তারা অনেক ভাগ্যবান।’