
টি-টোয়েন্টির ফেরিওয়ালা খ্যাত ক্রিস গেইল এবারের পাকিস্তান সুপার লিগের (পিএসএল) ড্রাফটে অবিক্রীত ছিলেন। এর আগে আইপিএলেও দল না পাওয়ার মতো ঘটনা ঘটেছিলো। মূলত বয়সের কারণেই তার পারফর্ম করার সামর্থ্য আগের মতো নেই ধারণা ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলোর। তবে সে ক্ষেত্রে ভিন্ন ভাবনা বিপিএল ফ্র্যাঞ্চাইজি চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সের।
দলের বন্ডিং ঠিক রাখা ও বিনোদন দেওয়ার ক্ষেত্রে গেইলকে ইতিবাচক শক্তি হিসেবে দেখে চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স। আসন্ন বিপিএলে দলটি গেইলের সাথে ভারতের স্পিনার হরভজন সিংকেও অন্তর্ভূক্ত করার চেষ্টা করছে।
আসন্ন বিপিএলে কারা ফ্র্যাঞ্চাইজি মালিকানা পাচ্ছে তা আনুষ্ঠানিকভাবে এখনো জানায়নি বিসিবি। তবে বিসিবির সবুজ সংকেত পাওয়া প্রতিষ্ঠানগুলো ইতোমধ্যে দল গুছাতে শুরু করেছে।
গত ১২ ডিসেম্বর পিএসল ড্রাফটে অবিক্রীত থাকেন গেইল। তাতেই বিপিএলে তাকে দলে ভেড়ানোর পথটা সহজ হয়েছে। আগের আসরে চট্টগ্রামের হয়ে খেলে যাওয়া গেইল এবারও হয়তো একই দলে খেলবেন।
আজ (১৪ ডিসেম্বর) নিজের কার্যালয়ে চট্টগ্রামের মালিকানা পেতে যাওয়া আখতার গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক রিফাতুজ্জামান বলেন,
‘আসলে অনেকে ভাবছে হয়তো তার বয়স হয়েছে। সে হয়তো আগের মতো পারফর্ম করতে পারবে কীনা এ নিয়ে সংশয় থাকে। কিন্তু আমাদের কাছে ব্যাপারটা হলো আমাদের টিমমেট হিসেবে সে দলের বন্ডিং ধরে রাখা ও বিনোদন দেওয়ার ব্যাপারে ইতিবাচক শক্তি হিসেবে কাজ করবে। তো আমরাতো অবশ্যই তাকে বিবেচনায় রাখবো।’
‘গেইলের সাথে কথা হয়েছে। সে নিজেও আমাদের আগ্রহ প্রকাশ করেছে। আমাদের টিম ম্যানেজমেন্ট যদি মনে করে তাকে রাখতে চায় তাহলে সে থাকবে।’
‘আমরাতো চিন্তা করছি, আমাদের মূল পরিকল্পনা হচ্ছে গতবারের দল থেকে যত বেশি ক্রিকেটার রাখা যায়। সেটা গেইল হোক কিংবা যত বেশি দেশী প্লেয়ার হোক।’
হরভজন প্রসঙ্গে তিনি জানান ইতোমধ্যে বিসিসিআইয়ের ক্লিয়ারেন্সও পেয়ে গেছেন ভারতের অন্যতম সেরা অফ স্পিনার।
রিফাতুজ্জামান যোগ করেন, ‘আমাদের দলের সাথে তার এজেন্টের সাথে কথা হয়েছে। তারা জানিয়েছে সে খেলার জন্য অ্যাভেইলএবল আছে। আমি যতটুকু জানি বিসিসিআই থেকে সে একটা ক্লিয়ারেন্স পেয়েছে। যারা বিসিসিআইয়ের সাথে চুক্তিবদ্ধ না তারা খেলতে পারবে।’