

বাংলাদেশ ক্রিকেটে সময়টা খুব একটা ভালো যাচ্ছে না। জাতীয় দলের পারফরম্যান্স খারাপে পুরো পরিবেশ হয়ে পড়েছে অস্থির। তবে সেসব পাশ কাটিয়ে আসন্ন বিপিএলের উন্মাদনায় মেতেছে সংশ্লিষ্টরা। আর এতে জাতীয় দলের খারাপ সময়ের পাশাপাশি ক্রিকেট কার্যক্রমের অনেক কিছুর খবরই হাওয়া হতে চলেছে। যেখানে আছে ‘এ’ দল, ছায়া দল, বিসিবি নির্বাচন শেষে এখনো কমিটি বন্টন না করার মতো গুরুত্বপূর্ণ ইস্যু গুলো।
৪ কোটি টাকার বাংলাদেশ টাইগার্স ছায়া দলের ছায়াও মাড়ানো যায়নি ৬ মাসেঃ
গত ১৫ জুন বোর্ড সভা শেষে বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন ঘোষণা দেন জাতীয় দলের আশেপাশে থাকা, বাদ পড়া কিংবা চোটে পড়া ক্রিকেটারদের সঠিক পরিচর্যা করতে গঠন করা হবে বাংলাদেশ টাইগার্স নামক ছায়া দল। ২০২১-২২ অর্থ বছরে বিসিবি ৪ কোটি টাকা বাজেটও রাখে ছায়া দলের জন্য। দায়িত্ব দেওয়া হয় বিসিবি পরিচালক কাজী এনাম আহমেদ ও খালেদ মাহমুদ সুজনকে। দুজনেই দেশের ক্রিকেট অবকাঠামো, তৃণমূলের ক্রিকেট উন্নয়নে দারুণ কাজ করা লোক।
তবে অদ্ভুত কারণে বাংলাদেশ টাইগার্স নিয়ে দুজনে খুব বেশি এগোতে পারেননি ৬ মাসেও। বিসিবি সভাপতির ঐ ঘোষণার পর সংবাদ সম্মেলন করে কীভাবে বাংলাদেশ টাইগার্স কাজ করবে তার রূপ রেখা তুলে ধরা পর্যন্তই শেষ।
কাজী এনামের সাথে যোগাযোগ করতে এই প্রতিবেদক কয়েক দফা চেষ্টা করেও ব্যর্থ হন। এমনকি হোয়াটসঅ্যাপে পাঠানো বার্তা দেখলেও তার উত্তর দেননি।
আশ্বাসের ৬ মাসেও দৃশ্যমান অগ্রগিত নেই ‘এ’ দলেরঃ
‘এ’ দল নিয়ে বিসিবি পরিচালক খালেদ মাহমুদ সুজন ও আকরাম খানের মাঝে মনোমালিন্যের ঘটনাও সবার স্মৃতি থেকে সরে যাচ্ছে। সময়টাও যে কম না, প্রায় ৬ মাস হতে চলল। আর বাংলাদেশ ‘এ’ দল সর্বশেষ ম্যাচ খেলেছে কবে তা মনে করতে স্মৃতি হাতড়াতে হবে আরও কিছুক্ষণ। ২০১৯ সালে সর্বশেষ ম্যাচ খেলেছিলো ‘এ’ দল।
চলতি বছরের মাঝামাঝি সময়ে ‘এ দলের কার্যক্রম নিয়ে একটা ভালো সরগরম পরিস্থিতি তৈরি হয়। ‘এ’ দলের দেখভাল করে মূলত ক্রিকেট পরিচালনা বিভাগ। যে বিভাগের চেয়ারম্যানের ভূমিকায় ছিলেন আকরাম খান। কিন্তু ক্রিকেট পরিচালনা বিভাগের ভাইস চেয়ারম্যান হলেও কোনো কিছু জানানো হয়না বলে অভিযোগ করেন খালেদ মাহমুদ সুজন।
সাথে তার দাবি ‘এ’ দলের কার্যক্রম অনিয়মিত হওয়ার পেছনে আকরাম খানের খামখেয়ালীপনা দায়ী। কিন্তু জুন মাসের ঐ ঘটনায় নিজের পক্ষে যুক্তিও উপস্থাপন করেন আকরাম। ৩০ জুন সংবাদ মাধ্যমের সাথে আলাপে জানিয়েছেন নভেম্বরেই শ্রীলঙ্কা সফর করবে ‘এ’ দল। অথচ নভেম্বর পেরিয়ে চলছে ডিসেম্বর, ‘এ’ দল নিয়ে কোথাও নেই কোনো আওয়াজও।
আড়াই মাসেও বন্টন হয়নি বিসিবির নতুন স্ট্যান্ডিং কমিটিঃ
গত ৬ অক্টোবর নির্বাচনের মধ্য দিয়ে আরেক দফা বোর্ড সভাপতি হন নাজমুল হাসান পাপন। সাথে পরিচালক পদের জায়গা হয় ২৫ জনের। তবে প্রায় আড়াই মাস কেটে গেলেও বন্টিত হয়নি স্ট্যান্ডিং কমিটি। পুরোনো স্ট্যান্ডিং কমিটির মেয়াদ শেষ হলেও নিজ নিজ পদে বহাল আছেন আগের কমিটির সদস্যরা, দায়িত্বও পালন করছেন পুরোনো বিভাগ থেকে।
আগের মেয়াদে বেশ কিছু বিভাগ নিজেদের কাজ যথাযথভাবে করার চেষ্টা করলেও একদই মূল্যায়ণের অবস্থায় নেই কিছু বিভাগ। রদবদল টা কেমন হবে সেটার উপর নির্ভর করছে দেশের ক্রিকেটের ভবিষ্যত পরিকল্পনা কতটা সুসংগঠিত হবে। যদিও নতুন স্ট্যান্ডিং কমিটি না হলেও থেমে নেই গুরুত্বপূর্ণ বিভাগের কাজ। বিশেষ করে ক্রিকেট পরিচালনা বিভাগ, গেম ডেভেলপমেন্ট ও উইমেন উইংস।