

ফিট থাকা সত্ত্বেও ব্রিসবেন টেস্টে সুযোগ না পাওয়ায় হতাশ ইংল্যান্ডের পেসার স্টুয়ার্ট ব্রড। তবে অ্যাশেজের বাকি টেস্টগুলোতে তারা যেন সুস্থভাবে খেলতে পারে, সেটা তিনি বুঝতে পেরেছেন।
ব্রড এবং তার সহযোগী জেমস অ্যান্ডারসন মিলে আন্তর্জাতিক টেস্ট ক্রিকেটে ১১৫৬ উইকেট নিয়েছেন, কিন্তু প্রথম টেস্টে তাদের কেউই ছিলেন না। সে টেস্টে ৯ উইকেটে জিতে ১-০ ব্যবধানে এগিয়ে গেছে অস্ট্রেলিয়া।
‘বর্তমান করোনা মহামারীর মাঝেও গত ১২ মাস ধরে আমি ও অ্যান্ডারসন দুইজনেই নিজেদের সুস্থ রাখার সম্পূর্ণ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। অস্ট্রেলিয়ায় যেন ৫টি টেস্টই খেলতে পারি, সেজন্য পূর্ণ প্রস্তুতি নিচ্ছিলাম। আমি মনে করি আমরা সুস্থ আছি,’ ডেইলি মেইলে নিজের কলামে লেখেন ব্রড।
‘তবে ইংল্যান্ডের বাছাই প্রক্রিয়া খেলোয়াড়দের হাতে নেই। এটা তাদের দায়িত্ব, যারা কন্ডিশন অনুযায়ী খেলোয়াড় নির্বাচন করে ও ভারসাম্যপূর্ণ দল তৈরি করে। এখন আমাদের কাজ বাকি ৪ টেস্ট ভালোভাবে খেলা এবং অ্যাডিলেডে পরভর্তী টেস্টের জন্য প্রস্তুত থাকা।’
‘বিভিন্ন কারণে আমি দল থেকে বাদ পড়েছি। মাঝেমধ্যে আমি বিস্মিতও হয়েছি। তবে কাফ ইনজুরির জন্য ভারতের বিপক্ষে আগের টেস্ট সিরিজ খেলতে পারিনি।’
৩৫ বছর বয়সী ব্রড জানান, ব্রিসবেনের বোলিং পরিবেশে তিনি থাকলে ভিন্ন কিছু হতে পারতো।
‘অবশ্যই, আমি না খেলতে পারায় হতাশ। তবে আমি মনে করি এই সিরিজ একটা ম্যারাথন, দ্রুত দৌড়ের মত না।’
‘টানা ৫ টেস্ট খেলাটা কষ্টসাধ্য বটে। বাস্তবিকপক্ষে কোন পেসার পুরো ৫ টেস্ট খেলবে, এটা আমি মনে করি না।’
‘হোবার্টে ৫ম টেস্টে আমার কী বিশেষ কিছু করার সুযোগ আছে? অবশ্যই সেরাটা দেওয়ার চেষ্টা থাকবে আমাদের,’ জানান ব্রড।
বৃহস্পতিবার অ্যাডিলেডে শুরু হবে ২য় টেস্ট।