আকবরের চেয়ে রাকিবুলের দল যে দিক থেকে এগিয়ে

বাংলাদেশের ব্র‍্যান্ড অব ক্রিকেটে আগ্রহী কোলকাতা
Vinkmag ad

ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন হয়েই এবারের যুব বিশ্বকাপ খেলতে যাচ্ছে বাংলাদেশ। তবে করোনার প্রভাবে প্রস্তুতিটা ঠিকঠাক হয়েছে কিনা এ নিয়ে সংশয় থাকতেই পারে। যদিও সম্প্রতি ভারতের মাটিতে ত্রিদলীয় সিরিজে হয়েছে অপরাজিত চ্যাম্পিয়ন। ওয়েস্ট ইন্ডিজে অনুষ্ঠিতব্য যুব বিশ্বকাপের আগে আছে যুব এশিয়া কাপও। ফলে এখনো নিজেদের ঝালিয়ে নেওয়ার ভালো সুযোগ পাচ্ছে টাইগার যুবারা। কোচ নাভিদ নেওয়াজ জানিয়েছেন আগের বিশ্বকাপের চেয়ে এবারের বিশ্বকাপের দল কোন দিক দিয়ে এগিয়ে।

সংযুক্ত আরব আমিরাতে ২৩ ডিসেম্বর থেকে শুরু হতে যাওয়া যুব এশিয়া কাপ ও আগামী ১৪ জানুয়ারি থেকে ওয়েস্ট ইন্ডিজে অনুষ্ঠিতব্য যুব বিশ্বকাপ সামনে রেখে ইতোমধ্যে ১৫ সদস্যের স্কোয়াড দিয়েছে বিসিবি। এবারের দলটিকে নেতৃত্ব দিবেন আগেরবারও যুব দলের হয়ে বিশ্বকাপ খেলা বাঁহাতি স্পিনার রাকিবুল হাসান।

আকবর আলির নেতৃত্বাধীন যে দলটি বিশ্বকাপের গত আসরে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে সে দলটার সাথে বর্তমান দলটার পার্থক্য তুলে ধরেন কোচ নাভিদ নেওয়াজ। টাইগার যুবাদের বিশ্বকাপ জেতানো এই কোচ দুটো দলকে শক্তিমত্তার হিসেবে আলাদাই বলছেন। এবারের দলে ব্যাটিং, বোলিংয়ের সাথে অলরাউন্ডার বিভাগও শক্ত বলে জানান নেওয়াজ।

গতকাল (১২ ডিসেম্বর) মিরপুরে সংবাদ মাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে তিনি বলেন, ‘এটা সম্পূর্ণ আলাদা দুইটা দল। কিন্তু আপনি যদি শেষবারেরটা দেখেন, দু বছর ধরে আমরা খুব ভালো ব্যাটিং ইউনিট তৈরি করেছি। বোলিং ইউনিটও ভালো ছিল। কিন্তু খুব বেশি অলরাউন্ডার ছিল না শুধু শামীম পাটোয়ারী ছাড়া।’

‘এবারের দিকে যদি তাকান, আমাদের ভালো ব্যাটিং ইউনিট আছে, কিন্তু করোনার কারণে কিছুটা অনভিজ্ঞ রয়ে গেছে তারা। এটা একটা সমস্যা করোনা মহামারী যেটা মোকাবেলা করছি। কিন্তু আমাদের খুব ভালো বোলিং ইউনিট আছে। দলে কয়েক জন অলরাউন্ডার আছে, যেটা অনেক বড় সুবিধা।’

ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন হয়ে বিশ্বকাপ খেলতে গেলে বাড়তি একটা চাপ থাকে। সেক্ষেত্রে বাংলাদেশ কতটা প্রস্তুত? নেওয়াজের কাছে রাখা হয় এমন প্রশ্ন।

জবাবে তিনি বলেন, ‘আমাদের মাথায় আছে অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপে ভালো করার জন্য কেমন স্ট্যান্ডার্ড দরকার। ওই রকমভাবেই আমরা এক বছর ধরে দলটাকে তৈরি করেছি। বিশ্বকাপ জেতার কথা ভাবার আগে এটা ভাবা উচিত যে বিশ্বকাপে ভালো করতে আপনার কেমন স্কিল প্রয়োজন। অনুশীলনেও সেটার প্রয়োগ করা, আমরা এক বছর ধরে সেভাবেই দল গড়েছি, খেলোয়াড়দেরও সেভাবে তৈরি করার চেষ্টা করেছি, যারা গিয়ে পারফর্ম করতে পারে।’

‘ভেন্যুর দিক থেকেও কম্বিনেশন খুব গুরুত্বপূর্ণ। আমরা সেভাবেই খেলোয়াড়দের বাছাই করেছি, যারা ওয়েস্ট ইন্ডিজের কন্ডিশনে মানিয়ে নিতে পারবে। আমরা যখন ওয়েস্ট ইন্ডিজ যাবো, সবকিছু নির্ভর করবে নির্দিষ্ট দিনে কেমন পারফর্ম করলাম তার ওপর। আমি যেটা চাই, ১১ জনই অবদান রাখুক, একসঙ্গে দলের অনেকে অবদান রাখুক।’

‘যদি আমরা ওই দিনটা ভালো করি, অবশ্যই আমরা উপরে থাকবো। এটাই পরিকল্পনা। যদি আপনার প্রস্তুতি ও ব্যাক আপ না থাকে ওই কন্ডিশনে ভালো করার এটা বলা খুব কঠিন বিশ্বকাপ জিতবেন।’

টাইগার যুবাদের এবারের দলে আগের বিশ্বকাপের আছেন ৩ জন। অধিনায়ক রাকিবুল হাসান ছাড়া পেসার তানজিম হাসান সাকিব ও ব্যাটার প্রান্তিক নওরোজ নাবিলের অভিজ্ঞতা আছে বিশ্বকাপ জয়ের। প্রান্তিক শুরু থেকে ছিলেন বর্তমান দলটির সাথে। শেষ মুহূর্তে যোগ দেন রাকিবুল-সাকিব।

এই দুজনকে নিয়ে কোচের ভাবনা, ‘দুজনকে পাওয়া বড় এডভান্টেজ। তারা দুজন দু বছর ধরে আছে। তারা জানে কী করেছে আগের দুবছরে যেটা আমাদের সাফল্য এনে দিয়েছে। ভালো ব্যাপার হচ্ছে তারা অন্যদের অনুপ্রাণিত করছে। তারা পরিকল্পনায়ও অবদান রাখছে, তারা জানে আগে কী হয়েছে।’

৯৭ প্রতিবেদক

Read Previous

পিসিবিতে ওয়াসিমের চেয়ারে বসলেন ফয়সাল

Read Next

পন্টিং বলছেন ইংল্যান্ড হোয়াইটওয়াশ হবে, যদি না…

Total
0
Share