
করোনায় জর্জরিত ওয়েস্ট ইন্ডিজ ক্রিকেট দল বর্তমানে পাকিস্তানে আছে। সেই ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে নিজেদের জয়ের ধারা অব্যাহত রাখতে চান পাকিস্তানের অধিনায়ক বাবর আজম।
বামহাতি ফাস্ট বোলার শেলডন কটরেল, অলরাউন্ডার রস্টন চেজ ও কাইল মায়ের্স করোনায় আক্রান্ত হয়ে ইতোমধ্যে টি-টোয়েন্টি সিরিজ থেকে ছিটকে গেছেন। করাচিতে ১০ দিনের আইসোলেশনে আছেন তারা। দলের ডাক্তারের পর্যবেক্ষণে আছেন। সুস্থ হলে টেস্ট সিরিজে ফিরতে পারেন তারা।
৩ ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজের পাশাপাশি ৩ ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজও মিস করবে তারা। করাচিতে অনুষ্ঠিত হবে ম্যাচগুলো। হ্যামস্ট্রিং ইনজুরির কারণে বিশ্বকাপের পর থেকে দলে নেই সীমিত ওভারের ক্রিকেটে অধিনায়ক কাইরন পোলার্ড। এছাড়া আন্দ্রে রাসেল ব্যস্ত আছেন বিহ ব্যাশ নিয়ে।
‘টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ থেকে শুরু হওয়া মোমেন্টাম আমরা ধরে রাখার ব্যাপারে আশাবাদী,’ রবিবার ভিডিও কনফারেন্সে প্রতিবেদকদের জানান বাবর।
‘ওয়েস্ট ইন্ডিজকে হালকা করে দেখার সুযোগ নেই, কেননা তাদের দলে বাঘা বাঘা ক্রিকেটাররা আছে। তারা সিপিএল খেলার পাশাপাশি আন্তর্জাতিক ম্যাচও খেলেছে। তাই তাদের বিপক্ষে জয়ের জন্য আপনাকে শতভাগ উজাড় করে দিতে হবে।’
বিশ্বকাপের গ্রুপ পর্বে টানা ৫ জয়ের পর সেমিতে অবশ্য অস্ট্রেলিয়ার কাছে হেরে যায় পাকিস্তান। এরপর বাংলাদেশের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টিতে ৩-০ ব্যবধানে জয়ের পর ২ ম্যাচের টেস্ট সিরিজেও হোয়াইটওয়াশ করে তাদের।
অন্যদিকে সময়টা বড্ড কঠিন যাচ্ছে ওয়েস্ট ইন্ডিজের জন্য। গতবারের চ্যাম্পিয়ন হলেও এবার তারা সেমিতেই উঠতে পারেনি। এছাড়া অধিনায়ক পোলার্ডের অনুপস্থিতিতে টি-টোয়েন্টিতে নিকোলাস পুরান ও ওয়ানডে সিরিজে দায়িত্ব পালন করবেন শাই হোপ।
করোনায় ওয়েস্ট ইন্ডিজের ৩ ক্রিকেটার আক্রান্ত হওয়ায় দুঃখ প্রকাশ করেছেন বাবর। এছাড়া এসময় আইসোলেশনে থাকাটাও ক্রিকেটারদের জন্য কঠিন বলে মনে করছেন তিনি।
‘কোন খেলোয়াড় করোনা পজিটিভ হলে দলের জন্য দুঃসময়। আইসোলেশনে থাকাটা বেশ কষ্টসাধ্য হয়ে যায়। আমাদের দলও এর মধ্য দিয়ে গেছে। আপনি একাকী ঘরে থাকলে অনেক নেতিবাচক চিন্তা মাথায় আসে। এছাড়া দলের কম্বিনেশনেও ব্যাঘাত ঘটে,’ জানান বাবর।
করোনা মহামারীর পর এই প্রথম পাকিস্তানের পুরো স্টেডিয়ামজুড়ে থাকবে দর্শক। তারা মানসম্মত ক্রিকেট দেখবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন বাবর।
‘এটি আমাদের হোম সিরিজ এবং সবচেয়ে বড় বিষয় গ্যালারির পূর্ণ অংশ জুড়ে দর্শকরা থাকবে।’