ক্রিকেট আধুনিক হয়েছে, বদলে গেছে পুরোনো অনেক ধারণা। আধুনিক ক্রিকেটে যোগ্যতা প্রমাণে প্রতিপক্ষের শক্তিমত্তা, দুর্বলতার বাইরে গিয়েও পারফর্ম করতে হয়। তবে বাংলাদেশ দলের টিম ম্যানেজমেন্ট এখনো ডানহাতি–বাঁহাতি কম্বিনেশনকেদেখেন ক্রিকেটে সাফল্যের মহা গুরুত্বপূর্ণ সূত্র হিসেবে। যদিও ব্যাটার নাজমুল হোসেন শান্ত এমন ভাবনাকে সমর্থন করতে পারছেন না একদমই।
ইনিংস ওপেন করা কিংবা প্রতিপক্ষ ব্যাটার বিবেচনায় বোলিং আক্রমণ সাজানোতে বাংলাদেশ দলের অধিনায়করা ডানহাতি–বাঁহাতি কম্বিনেশনে জোর দেন। কোচ রাসেল ডোমিঙ্গো দায়িত্ব নেওয়ার পর এই সূত্র বেশ ভালোভাবে মানার চেষ্টা করেন টি–টোয়েন্টি অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ ও টেস্ট কাপ্তান মুমিনুল হক।
পাকিস্তানের বিপক্ষে প্রথম টি–টোয়েন্টিতে লেগ স্পিনার আমিনুল ইসলাম বিপ্লবকে ১৯তম ওভার পর্যন্ত বলই দেননি অধিনায়করিয়াদ। মূলত পাকিস্তানের দুই বাঁহাতি ব্যাটার ফখর জামান ও খুশদিল শাহ ক্রিজে ছিলেন বলেই। অথচ বর্তমানে বাঁহাতি ব্যাটারদের বিপক্ষে লেগ স্পিনাররা বল করছেন হরহামেশাই।
ঢাকা টেস্ট শুরুর আগেরদিন অধিনায়ক মুমিনুল হক ওপেনিং জুটিতে ডানহাতি–বাঁহাতি কম্বিনেশনকে অগ্রাধিকার দিয়েছেন।ম্যাচে দেখা যায় তার প্রতিফলন। বাঁহাতি ওপেনার সাদমান ইসলামের সাথে ইনিংস শুরু করেন অভিষিক্ত ডানহাতি মাহমুদুল হাসান জয়। আর প্রতিপক্ষের বাঁহাতি ব্যাটার থাকলে বাংলাদেশের অধিনায়করা বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই অবলম্বন করেন মুখস্থসূত্র। যেমন বোলিংয়ে তখন বাঁহাতি স্পিনার ব্যবহারে খুব হিসেবি হতে দেখা যায়।
ডানহাতি–বাঁহাতি কম্বিনেশনের পথে হাঁটলেও সাফল্য আসেনি কোনো ক্ষেত্রেই। টিম ম্যানেজমেন্ট, অধিনায়করা এখনো বিষয়টি অনুধাবন করেছেন কিনা বলা মুশকিল। তবে ব্যাটার শান্ত জানালেন আধুনিক ক্রিকেটে এসব সূত্র খুব একটা কাজে দেয়না।টিকে থাকতে, সাফল্য পেতে প্রতিপক্ষের সব শক্তির জায়গার বিপক্ষেই দক্ষ হতে হয়।
আজ (৭ ডিসেম্বর) পাকিস্তানের বিপক্ষে ঢাকা টেস্টের চতুর্থ দিন শেষে সংবাদ সম্মেলনে শান্ত বলেন, ‘বিশ্ব ক্রিকেটে ভালো খেলতে হলে সবারই ভালো করার সামর্থ্য থাকতে হবে। ডানহাতি–বাঁহাতি পরিবর্তন করে ব্যাটিংয়ে যাওয়া বা ডানহাতি ব্যাটার থাকলে বাঁহাতি স্পিনারকে বল দিতে হবে– এমন কিছু আমার মনে হয় না। যারা খেলে সবাই মানসম্পন্ন। এর ভেতরেই ভালো করতে হবে।‘