বৃষ্টি বাগড়ায় ঢাকা টেস্টের প্রথম ৩ দিনে খেলা মাঠে গড়ায়নি খুব একটা। আজ (৭ ডিসেম্বর) চতুর্থ দিনেও একই কারণে খেলা শুরু হয়েছে দেরীতে এবং শেষ হয়েছে বেশ আগেই। এর মাঝেই পাকিস্তান ৪ উইকেটে ৩০০ রান তুলে ইনিংস ঘোষণা করে, যতক্ষণ ব্যাট করেছে সফরকারীরা ছিল সাবলীল। কিন্তু বাংলাদেশ ব্যাট করতে নেমেই উল্টো চিত্র, ৭৬ রান তুলতেই হারায় ৭ উইকেট। তেড়েফুড়ে ব্যাট করার প্রবণতা ছিলো সব টাইগার ব্যাটারের মধ্যে।
বাঁহাতি ব্যাটার নাজমুল হোসেন শান্ত বলছেন ম্যাচ সহজ করতে গিয়েই সবাই নিজেদের স্বাভাবিক খেলা খেলতে চেয়েছে। এমনকি শট খেলার ক্ষেত্রেও নিজেদের সেরা শটকে বেছে নিতে দেখা যায়।
পাকিস্তান যখন ইনিংস ঘোষণা করে তখনো চতুর্থ দিনের প্রায় দেড় সেশন বাকি ছিলো। কিন্তু পাকিস্তানি স্পিনার সাজিদ খান ও নুমান আলির ঘূর্ণিতে ২৬ ওভার খেলতেই হারালো ৭ উইকেট।
নুমান আলি উইকেট না পেলেও বেশ চাপ তৈরি করেছিলেন। তবে সাজিদ নিয়েছেন ৭ উইকেটের ৬ টিই। একটি হয়েছে রান আউট। অথচ সাজিদ-নোমান দুজনেই খুব বেশি অভিজ্ঞ টেস্ট বোলার নয়।
হাতে ভালো সময় থাকা ও প্রতিপক্ষের অনভিজ্ঞ স্পিন বিভাগ স্বত্বেও টাইগার ব্যাটারদের অতি আক্রমণাত্মক খেলার পেছনে ব্যাখ্যা দিয়েছেন নাজমুল হোসেন শান্ত। সাদমান ইসলাম থেকে মুশফিকুর রহিম, নাজমুল হোসেন শান্ত সবাই রান তোলাতে দেন বাড়তি মনোযোগ। খেলেছেন কাট, ফ্লিকের সাথে প্রচুর সুইপ শট।
দলের খারাপ সময়ে সুইপ খেলতে গিয়ে আউট হন মুশফিক, কাট খেলতে গিয়ে পয়েন্টে ধরা পড়েন সাদমান। এমনকি দলের ৬ উইকেট নাই এমন অবস্থাতেও স্লগ খেলতে গিয়ে বোল্ড হন মেহেদী হাসান মিরাজ।
এমন ব্যাটিংয়ের কারণ জানাতে গিয়ে দিন শেষে সংবাদ সম্মেলনে এখনো দলের সর্বোচ্চ ৩০ রান করা শান্ত বলেন, ‘সাধারণ পরিকল্পনাই ছিল। যার যার ন্যাচারাল গেম খেলার পরিকল্পনা ছিল। ওরকম আলাদা কোনো পরিকল্পনা ছিল না। আগ্রাসী ব্যাটিংয়ের একটা কারণ ছিল- উইকেটে যত রক্ষণাত্মক খেলবেন তত কঠিন হয়ে উঠবে। এখানে রান করাও গুরুত্বপূর্ণ।’
‘এজন্য ব্যাটাররা যার যে শটে ভালো দক্ষতা আছে তারা সেই শট খেলতে চেয়েছে। এখানে রক্ষণাত্মক ভঙ্গিতে খেললে আউট হওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকবে। দুর্ভাগ্যবশত এক্সিকিউশন ওরকম হয়নি। এই উইকেটে রক্ষণাত্মক থাকলেই সমস্যা হত।’
ফলো অন এড়াতে আগামীকাল আরও ২৫ রান করতে হবে বাংলাদেশকে। ২৩ রানে সাকিব আল হাসান ও কোনো রান না করে অপরাজিত আছেন তাইজুল ইসলাম।
শান্ত এখনো হাল ছাড়তে নারাজ, ২২৪ রানে পিছিয়ে থাকা বাংলাদেশ ম্যাচ বাঁচাতে পারবে আশা এই বাঁহাতি ব্যাটারের।
তার মতে, ‘আমার মনে হয় কালকের দিনটা খুব ইম্পরট্যান্ট। সাকিব ভাই ও তাইজুল ভাই যদি পার্টনারশিপ করতে পারে, আরও কিছু রান করতে পারি তাহলে একটা ভালো অবস্থানে যাব। কাল আবার ব্যাটিংয়ের সুযোগ আছে। খুব ভালো ব্যাটিং করতে হবে।’