

নিউজিল্যান্ডের স্পিনাররা সিরিজ শুরুর আগেই মুখিয়ে ছিলেন বাংলাদেশের কন্ডিশনে বল করতে। সচরাচর কিউই মুল্লুকে স্পিন বান্ধব উইকেট যে তারা পান না। সুযোগ পেয়ে দারুণভাবে কাজে লাগিয়েছেন আজেজ প্যাটেল, রাচিন রবীন্দ্র, কোল ম্যাককঞ্চিরা। সিরিজের তৃতীয় টি-টোয়েন্টিতে তাদের তোপেই বাংলাদেশ ৭৬ রানে গুটিয়ে ম্যাচ হেরেছে ৫২ রানে। ম্যাচ সেরা প্যাটেল জানালেন তারা প্রমাণ করেছেন এমন কন্ডিশনেও তারা ভালো করতে পারেন।
১২৯ রানের লক্ষ্য তাড়ায় নেমে বাংলাদেশ অসহায় আত্মসমর্পণ করে কিউই স্পিনারদের কাছে। দেখে বোঝার উপায় ছিল না কারা স্বাগতিক দল। যে পথে প্যাটেল জোড়ায় জোড়ায় শিকার করে নেন ৪ উইকেট, ম্যাককঞ্চির শিকার তিনটি, বেশ মিতব্যয়ী রবীন্দ্রের শিকার একটি।
নিউজিল্যান্ডের বিশ্বকাপ স্কোয়াডে থাকা কোনো ক্রিকেটার আসেনি বাংলাদেশ সফরে। বেশ অনভিজ্ঞ একটি দল নিয়েই টাইগারদের মোকাবেলা করছে কিউইরা। প্রথম দুই ম্যাচ হেরে ব্যাকফুটেও ছিল। কিন্তু তৃতীয় ম্যাচে এসেই তুলে নিল দাপুটে জয়।
তবে সিরিজজুড়েই বল হাতে আলো ছড়িয়েছেন মাত্র ২ টি-টোয়েন্টির অভিজ্ঞতা নিয়ে খেলতে নামা আজেজ প্যাটেল প্রথম ম্যাচে ৪ ওভারে মাত্র ৭ রান খরচায় ১ উইকেট, দ্বিতীয় ম্যাচে ২০ রান খরচায় ১ উইকেট, তৃতীয় ম্যাচে ১৬ রানেই নিলেন ৪ উইকেট। তার শিকার সাকিব আল হাসান, মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ, আফিফ হোসেন ও শেখ মেহেদী হাসান।
ম্যাচ শেষে ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে আজাজ প্যাটেল বলেন, ‘অনেকেই দলে অভিজ্ঞতার ঘাটতির কথা বলেছে। আজ আমরা দেখিয়েছি এই কন্ডিশনে আমরাও খেলতে পারি। একই সঙ্গে আমার মনে হয়, এটা দেখিয়েছে আমরা দ্রুত কন্ডিশনের সঙ্গে মানিয়ে নিয়েছি।’
‘নিজের পারফরম্যান্সে খুশি। উইকেটে স্পিনারদের জন্য যথেষ্ট সহায়তা আছে। লাইন-লেংথ ধরে রাখা ও গতির পরিবর্তন করা এখানে গুরুত্বপূর্ণ। ব্যাটসম্যানদের পড়ার চেষ্টা করেছি।’
‘সাকিব, মেহেদী, মাহমুদউল্লাহ আমার ওপর চড়াও হওয়ার চেষ্টা করেছিল। আমরা জানি, সাকিব কতটা বিপজ্জনক। ওই বলটা আমি গতি কমিয়ে দিয়েছিলাম। ভাগ্য ভালো সেটাতে সে টাইমিং করতে পারেনি।’
সিরিজে ৩ ম্যাচে এখনো পর্যন্ত সমান ৫ উইকেট রবীন্দ্র ও ম্যাককঞ্চির। তৃতীয় টি-টোয়েন্টিতে উইকেট সংখ্যায় পার্থক্য হলেও দুজনেই দারুণ বল করেছেন। ম্যাচ সেরা আজেজ প্যাটেল প্রশংসা করেছেন তাদেরও।
বাঁহাতি এই স্পিনার বলেন, ‘স্পিনাররা সম্মিলিতভাবেই ভালো বোলিং করেছে। কোল ও রাচিন দুই জনই অসাধারণ বোলিং করেছে। মাঠে আমরা সব সময়ই কথা বলেছি। কোন বলটা কাজে লাগছে কোনটা লাগছে না, এ নিয়ে পরস্পরকে বলেছি। মাঠে স্পিনারদের মধ্যে যোগাযোগ বেশ ভালো ছিল। আমরা চিহ্নিত করতে পেরেছিলাম কোন বলটা এই উইকেটে খেলা সবচেয়ে কঠিন হবে।’