

নিউজিল্যান্ড সিরিজে মুশফিকুর রহিম ও নুরুল হাসান সোহানের উইকেট কিপিং ভাগাভাগি বাংলাদেশ ক্রিকেটে হট টপিক। তবে উইকেট কিপিং ভাগাভাগিতে দলে নেতিবাচক কোনো প্রভাব পড়েনি বলছেন অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ।
দেশের অন্যতম সেরা উইকেট রক্ষক বলা হয় সোহানকে। অন্যদিকে জাতীয় দলে প্রায় দেড় যুগ ধরে উইকেট রক্ষক ভূমিকায় মুশফিক। মুশফিক অবশ্য ইতোমধ্যে টেস্টে উইকেট কিপিং ছেড়েছেন।
সাদা পোশাকে উইকেট কিপিং ছাড়লেও রঙিন পোশাকে উইকেটের পেছনে মুশফিকই ছিলেন নিয়মিত। তবে জিম্বাবুয়ে ও অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে লিটন দাস ও মুশফিকের অনুপস্থিতিতে দায়িত্ব সামলান সোহান। নিজের নামের প্রতি সুবিচার করে গ্লাভস হাতে উইকেটের পেছনে ছিলেন দুর্দান্ত।
আর তাতেই মুশফিক-লিটন নিউজিল্যান্ড সিরিজে ফেরার পরেও কে উইকেট কিপিং করবে সেটা নিয়ে দ্বিধা দ্বন্ধ তৈরি হয়। গতকাল (৩০ আগস্ট) সমাধান দিয়েছেন কোচ রাসেল ডোমিঙ্গো। প্রথম দুই ম্যাচ মুশফিক ও পরের দুই ম্যাচে কিপিং করবেন সোহান। পারফরম্যান্স মূল্যায়ণ করে নির্ধারিত হবে পঞ্চম ম্যাচের উইকেট কিপার।
১৫ বছর জাতীয় দলে উইকেট কিপিং করা মুশফিককে পারফরম্যান্স দেখিয়ে কিপিং পজিশন পেতে হবে ব্যাপারটিকে অনেকেই নেতিবাচক হিসেবে দেখেছেন।
তবে সিরিজ শুরুর আগেরদিন আজ (৩১ আগস্ট) অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ রিইয়াদ ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে জানিয়েছেন এ নিয়ে মুশফিকের নেই কোনো অভিযোগ।
তিনি বলেন, ‘মুশফিক দলের একজন সদস্য। সে দারুণ একজন সতীর্থ। সোহানের সাথে কিপিং ভাগাভাগি করতে পেরে সে খুশি। সবকিছু ঠিকাছে। মুশফিক খুশি, সোহানও খুশি। সোহান ইদানীং অনেক ভালো করছে। মুশফিক তো কয়েক বছর ধরেই ভালো করছে। কাজের চাপ ভাগাভাগি করে নিলে দলের জন্যই ভালো হবে।’
‘কোনো অসুবিধা নেই। দুইজনই খুশি আছে। টিম ম্যানেজমেন্টও খুশি আছে। এই জিনিস নিয়ে আমাদের খুব একটা ভাবনা নেই। লিটনের কিপিংয়ের কথা তো এখনও বলাই হয়নি! সবাই সমানভাবে ভালো করছে। পুরো দলই এ ব্যাপারে ইতিবাচক।’