

বাংলাদেশ ক্রিকেটে সিনিয়রদের আধিক্যতা কমতে শুরু করেছে। মাশরাফি বিন মর্তুজা আছেন অনেকটা অঘোষিত অবসরে। সাকিব আল হাসান, তামিম ইকবাল, মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ, মুশফিকুর রহিমকেও একসাথে পাওয়া যায় না নিয়মিত। আর তাতে তরুণদের ভূমিকাও ধীরে ধীরে সামনে আসতে শুরু করেছে। অলরাউন্ডার সাকিবের মতে তাদের বিদায়ে এক সময় কেউ না কেউ হাল ধরবে। ইতোমধ্যে তরুণদের মানসিকতায় হয়েছেন মুগ্ধ, কৃতিত্ব দিয়েছেন বিপিএলকে।
সাকিব আল হাসানের মতে বয়স কম হলেও এখনকার টাইগার তরুণ তুর্কিরা বেশ পরিণত। এমনকি তারা সিনিয়রদের চেয়েও বেশি জানেন বলছেন টাইগার অলরাউন্ডার। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের নানা চ্যালেঞ্জ উতরে যেতে তাদের মানসিকতা দৃঢ় হওয়ার পেছনে কাজ করেছে বিপিএল।
গতকাল (২৯ আগস্ট) ই-কমার্স সাইট দারাজের একটি লাইভে অংশ নিয়ে সাকিব বলেন, ‘আমার কাছে মনে হয় ওদের বয়স কম হলেও ওরা অনেক বেশি পরিণত। আমাদের চেয়ে অনেক বেশি জানে অন্তত। কারণ বিপিএল খেলার ফলে অনেক চাপ নিয়ে ওরা অভ্যস্ত ইতোমধ্যে।’
‘সুতরাং এ কারণে চাপটা অনেক কম বলে আমি মনে করি যখন ওরা আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে আসে। ওরা যখন আসছে ওরা জানে যে কি কি চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করতে পারে। ঐ জায়গা থেকে আমি বললাম যে তারা সবাই পরিণত। যারা অনেক ভালো এ ধরণের পরিস্থিতি সামলে নিতে পারে।’
এদিকে জীবনের বাস্তবতা মেনেই সাকিব, তামিম, মুশফিকরা যুখন অবসরে যাবে তখন বাংলাদেশ দলের হালটা কারা ধরতে পারে এমন প্রশ্নে সাকিব দিয়েছেন কৌশলী উত্তর। তার মতে কারও জন্যই কোনো কিছু থেমে থাকেনা। দলে আসা তরুণদের উপর প্রবল বিশ্বাস সাকিবের।
তিনি বলেন, ‘দেখুন কোন কিছুই কোন কিছুর জন্য অপেক্ষা করেনা। একজন যাবে আরেকজন আসবে। সে হয়তো আরও ভালো করবে, এটাই নিয়ম। ক্রিকেট বা অন্য যেকোনো খেলাতে এরকমই হয়ে আসছে। দুই একজন ব্যতিক্রম থাকে, এ ছাড়া বাকিদের ক্ষেত্রে এমনই হতে থাকে।’
‘তো আমার মনে হয়না এটা কখনোই সমস্যা হবে বাংলাদেশ ক্রিকেটে। এবং ভবিষ্যতে যারা আসবে তারা বাংলাদেশকে সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যাবে বলে আমি মনে করি।’
‘নতুন যারাই আসছে তারা সবাই অনেক প্রতিভাবান। তাদের মধ্যে ভালো কিছু করার অনেক সম্ভাবনা আছে। আমি দুই একজনের নাম নিতে চাইনা কারণ যারাই জাতীয় দলে এসেছে তাদেরই এটা প্রাপ্য। তারা সবাই প্রতিভাবান, এ কারণেই তারা দলে এসেছে। তা না হলেতো তারা দলে আসতোনা। তো সবারই সম্ভাবনা আছে।’