

বাংলাদেশের কন্ডিশন সম্পর্কে নিউজিল্যান্ড সবচেয়ে ভালো বোঝার কথা। সর্বশেষ দুই সফরে টানা ৭ ওয়ানডে হেরেছে কিউইরা। তার উপর অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে বাংলাদেশের সাম্প্রতিক পারফরম্যান্স আরও গভীরে গিয়ে ভাবতে বাধ্য করেছে কিউইদের। বাংলাদেশে আসার আগে সেভাবে প্রস্তুতিও নিয়েছে টম ল্যাথামের দল। তবে কোচ গ্লেন পকন্যাল মনে করেন কতটা সফল হবে সেটা সময়ই বলে দিবে।
নিজেদের কন্ডিশনের সুবিধা নিয়ে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ৪-১ ব্যবধানে সিরিজ জিতেছে বাংলাদেশ। যেখানে অজি ব্যাটসম্যানদের নাকানি চুবানি খাইয়েছে টাইগার বোলাররা। বিশেষ করে স্পিনারদের সাথে উইকেটের সাহায্য পেয়ে পেসার মুস্তাফিজুর রহমান ও শরিফুল ইসলাম দেখিয়েছেন কাটার ও স্লোয়ার ভেলকি।
সব কিছু জেনে বুঝেই বাংলাদেশের কন্ডিশনের আদলে মাউন্ট মাউঙ্গানুই ও লিংকনে অনুশীলন ক্যাম্প করেছে নিউজিল্যান্ড দল। দ্বিতীয় সারির দলটিতে নেই টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের কোনো সদস্য। এমনকি নিয়মিত কোচের পরিবর্তে ভারপ্রাপ্ত কোচ হিসেবে পাঠানো হয় গ্লেন পকন্যালকে।
নিউজিল্যান্ডে ক্যাম্পের পর বাংলাদেশে এসেও দুইদিন অনুশীলন সেরে নিয়েছে কিউইরা। ১ সেপ্টেম্বর প্রথম টি-টোয়েন্টি মাঠে গড়ানোর আগে পাচ্ছে আরও দুইদিন সময়। পকন্যাল মনে করেন নিজেদের দিক থেকে সেরা প্রস্তুতি নিয়েই মাঠ নামতে যাচ্ছেন। যদিও সাফল্যের সম্ভাবনা জানতে অপেক্ষায় সময়ের।
আজ (২৮ আগস্ট) সংবাদ সম্মেলনে কিউই কোচ বলেন, ‘সময় বলে দেবে (বাংলাদেশের কন্ডিশনে সফল হবে কিনা), তবে আমরা খুব ভালো প্রস্তুতি নিয়েছি। আমরা নিউজিল্যান্ডে দুইটি ক্যাম্প করেছি, এখানে যেমন কন্ডিশন মোকাবেলা করবো সেটার আদলেই অনুশীলন হয়েছে। আমরা এখানেও অনুশীলনের জন্য আরও দুই দিন সময় পাচ্ছি যা আমাদের সেরা প্রস্তুতি নিতে সাহায্য করবে।’
‘দিন শেষে এসবই আমাদের নিয়ন্ত্রণে কেবল। আমরা যতটা সম্ভব নিজেদের সেরা প্রস্তুতি নেওয়ার চেষ্টা করছি যা মাঠে আমাদের পারফর্ম করতে সাহায্য করবে। আমরা মাঠে পারফর্ম করতে চাই এবং বাংলাদেশের সাথে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে চাই।’
অস্ট্রেলিয়া সিরিজ থেকে শিক্ষা নেওয়ার বিষয়ে কিউই কোচ যোগ করেন, ‘আমরা বেশ কিছু ভিডিও ব্যবস্থা করেছি ইউটিউব থেকে। বাংলাদেশে নিউজিল্যান্ডেও গিয়েছে, যদিও সেটি ভিন্ন কন্ডিশন ছিল। এর বাইরে আমরা বেশ কিছু তথ্য পেয়েছি যে তারা আমাদের বিপক্ষে কীভাবে খেলতে যাচ্ছে।’