

হেডিংলি টেস্ট এখন যেখানে দাঁড়িয়ে সেখান থেকে ভারতের হার এড়ানো কেবল মিরাকলই বলা যায়। প্রথমদিন পেসারদের দাপটে ভিরাট কোহলির দলকে ৭৮ রানে গুটিয়ে দিয়ে ইংল্যান্ডের দুই ওপেনার দিন শেষ করে অবিচ্ছেদ্য থেকে। দ্বিতীয় দিন বিচ্ছেদ হয় শুরুতেই, ররি বার্নস ও হাসিব হামিদের জুটি থামে ১৩৫ রানে। দুজনে ফিরে গেলেও অধিনায়ক জো রুটের রেকর্ডে মোড়ানো আরও এক সেঞ্চুরিতে ৩৪৫ রানের লিড ইংলিশদের।
বিনা উইকেটে ১২০ রান নিয়ে দ্বিতীয় দিন শুরু করেছিল ইংল্যান্ড, লিড ৪২ রানের। জো রুটের ১২১ রানের ইনিংসে ভর করে ৮ উইকেটে ৪২৩ স্বাগতিকদের স্কোরবোর্ডে। প্রথম ইনিংসে হাতে ২ উইকেট নিয়ে লিড ৩৪৫ রানের।
৫২ রান নিয়ে বার্নস ও ৬০ রান নিয়ে দিন শুরু করে হাসিব হামিদ। দিনের ১০ম ওভারের শেষ বলেই বার্নসকে বোল্ড করে ফেরান মোহাম্মদ শামি। ৬১ রানে থামতে হয় এই বাঁহাতিকে। বেশিক্ষণ টিকেননি হাসিব হামিদও, রবীন্দ্র জাদেজার স্পিন বুঝতে না পেরে বোল্ড হন ৬৮ রানে।
২ উইকেটে ১৫৯ থেকে অধিনায়ক জো রুট ও ডেভিড মালানের ১৩৯ রানের জুটি। দুই বছর পর টেস্ট খেলতে নামা মালান ফিরলে ভাঙে জুটি। ততক্ষণে নামের পাশে ১২৮ বলে ১১ চারে ৭০ রান।
মালান সেঞ্চুরির সুযোগ মিস করলেও ১০৪ তম ওভারে ইশান্ত শর্মাকে ফ্লিক করে চার মেরে ক্যারিয়ারের ২৩তম সেঞ্চুরি জো রুটের। ফলে অ্যালিস্টার কুককে (৩৮) ছাড়িয়ে সব ফরম্যাট মিলিয়ে সর্বোচ্চ সেঞ্চুরির মালিক বনে গেলেন রুট (৩৯*)।
তৃতীয় ইংলিশ ব্যাটসম্যান হিসেবে পেলেন এক পঞ্জিকাবর্ষে সর্বোচ্চ ৬ সেঞ্চুরির দেখা। যদিও চলতি বছর অন্তত আরও ৫ টি টেস্ট খেলার সম্ভাবনা আছে বলে নিজেকে ছাড়িয়ে যাওয়ার সুযোগ থাকছে রুটের।
ভারতের বিপক্ষে এ নিয়ে রুটের সেঞ্চুরি ৮ টি, যা ভারতের বিপক্ষে কোন নির্দিষ্ট খেলোয়াড়ের সর্বোচ্চ। তালিকায় আছে আরও চারজন।
চলতি বছর এখনো পর্যন্ত জো রুটের রান ১৩৯৮, যেখানে আর কারও নেই ১ হাজার রানও। যা ইতোমধ্যে ইংলিশ অধিনায়ক হিসেবে এক পঞ্জিকাবর্ষে সর্বোচ্চ রান। ২০০৬ সালে পাকিস্তানি কিংবদন্তী মোহাম্মদ ইউসুফের করা ১৭৮৮ রানের বিশ্ব রেকর্ডের পথে ভালোভাবেই আছেন ইংলিশ কাপ্তান।
মালানের বিদায়ের পর জনি বেয়ারস্টোর সাথে রুটের জুটি ৫২ রানের। ২৯ রান করা জনি ফিরেছে মোহাম্মদ শামির বলে স্লিপে কোহলিকে ক্যাচ দিয়ে। এরপর রুট সহ নিয়মিত বিরতিতে পড়েছে আরও ৪ উইকেট। জাসপ্রীত বুমরাহর দুর্দান্ত এক ডেলিভারিতে রুট ফিরেছেন বোল্ড হয়ে। নামের পাশে ১৬৫ বলে ১৪ চারে ১২১ রান।
শেষ পর্যন্ত ৮ উইকেটে ৪২৩ রান ইংলিশদের বোর্ডে, ২৪ রানে ক্রেইগ ওভারটন ও কোন রান না করে অপরাজিত ওলি রবিনসন। ভারতের হয়ে শামির শিকার সর্বোচ্চ ৩ উইকেট। ২ টি করে নেন মোহাম্মদ সিরাজ ও রবীন্দ্র জাদেজার।
ভিরাট কোহলির অধীনে এটিই (৩৪৫) প্রথম ইনিংসে প্রতিপক্ষের সর্বোচ্চ রানের লিড। আগেরটি ছিল ২০১৮ সালে লর্ডসে ইংল্যান্ডেরই ২৮৯ রান।