

টানা দুই মেয়াদে বিসিবি সভাপতির দায়িত্ব পালন করছেন নাজমুল হাসান পাপন। চলতি বছরেই শেষ হচ্ছে দ্বিতীয় মেয়াদ। তবে এতদিনেও ছিল না বোর্ডে তার একজন সহ সভাপতি। তবে আজ (২৬ আগস্ট) চলতি মেয়াদের শেষ বার্ষিক সাধারণ সভা শেষে পাপন জানালেন বোর্ডে এমন কোর টিম তৈরি করেছেন যে ভবিষ্যতে শুধু সহ সভাপতি নয় সভাপতিরও হয়তো প্রয়োজন হবেনা।
গঠনতন্ত্র অনুযায়ী প্রতি বছরই একটি বার্ষিক সাধারণ সভা আয়োজন করতে হত বিসিবিকে। তবে কোনো বোর্ডের অধীনেই নিয়মিত হয়নি বার্ষিক সাধারণ সভা। আজ রাজধানীর রেডিসন ব্লু হোটেলে আয়োজিত বার্ষিক সাধারণ সভাটি ছিল প্রায় ৪ বছর পর।
চলতি বছরের শেষদিকেই অনুষ্ঠিত হবে পরবর্তী বিসিবি নির্বাচন। টানা দুই মেয়াদে সভাপতি নাজমুল হাসানের ছিল না কোনো সহ সভাপতি। তবে পদ অনুযায়ী লোক নিয়োগ দিয়ে দেখানোর চাইতে কাজের লোক দিয়ে বোর্ড পরিচালনাতেই বিশ্বাসী পাপন।
আজ বার্ষিক সাধারণ সভা শেষে সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, ‘সত্যি কথা বলতে যে জিনিসটা প্রথম দিক থেকে আমার ইচ্ছে ছিল একটা পেশাদার জায়গা তৈরি করা। আপনারা দেখবেন অনেকগুলো স্ট্যান্ডিং কমিটির কমিটিও নেই। তবে কাজ কিন্তু কোনোটাই বন্ধ ছিল না, কাজ হয়নাই এরকম কখনো হয়নি।’
‘বর্তমান বোর্ডে একটা কোর টিম তৈরি হয়ে গেছে যে কারণে এ জিনিসটা আমরা ফিল করিনা। এখন লোক নিয়োগ দিয়ে দেখাতে পারি আপনাকে কিন্তু কাজের মানুষ ওগুলোই। কাজের মানুষদের খুঁজে বের করে একটা কোর টিম তৈরি করে দিয়েছি। আমার মনে হয় ভবিষ্যতে বোর্ড সভাপতিরও প্রয়োজন নাই। এমনিতেই চলবে।’
উল্লেখ্য, এদিন ভিন্ন এক প্রশ্নের জবাবে নাজমুল হাসান পাপন ইঙ্গিত দেন আসন্ন নির্বাচনে হয়তো তাকে নাও দেখা যেতে পারে। মূলত বিসিবির বাইরেও নানা কাজে ব্যস্ত থাকতে হয় বলে সময় বের করা কঠিন হিসেবে দেখিয়েছেন যুক্তি।
আরও পড়ুনঃ
তবে কি পরবর্তী নির্বাচনে অংশ নিচ্ছেন না নাজমুল হাসান পাপন?
চলতি বছরই একই সময়ে বাংলাদেশের দুইটি জাতীয় দল খেলবে
সর্বসাধারণের খেলার জন্য মাঠ কিনবে বিসিবি
৩ বছরেই বিসিবি আয় করেছে আগের ৬ বছরের প্রায় সমান