

প্রায় এক যুগের আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ার, তবে থিতু হতে পারেননি কোনভাবেই। ২০১০ সালে বাংলাদেশ সফরে অভিষেক নিউজিল্যান্ড পেসার হামিশ বেনেটের। এক দশকের বেশি সময় পর আবার বাংলাদেশে এলেন, যখন ক্যারিয়ারের পড়ন্ত বেলা। আসন্ন টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের স্কোয়াডে জায়গা হয়নি, তবে বাংলাদেশে নিজের কাজটা করে রাখতে চান। যেন চোট কিংবা অন্য কোনো কারণে কেউ ছিটকে গেলে বিকল্প হিসেবে তার নামই সবার উপরে থাকে।
২০১০ সালে নিউজিল্যান্ডের জার্সিতে অভিষেকের পর সাকূল্যে খেলতে পেরেছেন ১ টেস্ট, ১৯ ওয়ানডে ও ৯ টি-টোয়েন্টি। টি-টোয়েন্টি অভিষেকই হয়েছে অবশ্য গত বছর। ৯ ম্যাচে এই ডানহাতি পেসারের উইকেট সংখ্যা ৯ টি। সর্বশেষ ম্যাচ খেলেছেন গত মার্চে বাংলাদেশের বিপক্ষেই।
নিউজিল্যান্ডের বিশ্বকাপ দলের কাউকেই পাঠানো হয়নি বাংলাদেশে। তবে আসন্ন টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ সংযুক আরব আমিরাতে বলে বাংলাদেশের কন্ডিশনে ভালো করাটা বিকল্প হিসেবে দলে ঢুকতে সাহায্য করবে বিশ্বাস হামিশ বেনেটের।
আজ (২৫ আগস্ট) ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে ৩৪ বছর বয়সী এই পেসার বলেন, ‘আমার এই বয়সে আমি শুধু নিউজিল্যান্ডের হয়ে খেলতে চাই। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের দলে আমি নাই। আমি নিশ্চিত যে ঘরোয়া ক্রিকেটের প্রত্যেকটা খেলোয়াড়ই বিশ্বকাপের স্কোয়াডে থাকতে চেয়েছিল।’
‘তাই আমি বলবো আমিই একমাত্র হতাশ ব্যক্তি নই। কিন্তু আমার সুযোগ আছে উপমহাদেশে নিজের স্কিল দেখানোর। যদি কোনো চোট সংক্রান্ত ঘটনা বা অন্য কিছু ঘটে, আশা করি একটা ফোন কল পাওয়ার জন্য আপনার নাম থাকবে সবার উপরে।’
বাংলাদেশে আসার আগে এখানকার উইকেট বিবেচনায় লিংকন ও মাউন্ট মাউঙ্গানুইতে দুই সপ্তাহের ক্যাম্প করে কিউইরা, যেটাকে আদর্শ প্রস্তুতি বলছেন বেনেট। সাথে ৩৪ বছর বয়সে নিজের ক্যারিয়ার ভাবনার কথাও জানান এই পেসার।
তিনি বলেন, ‘আমরা লিংকনে প্রস্তুতি সেরেছি ব্যবহৃত ক্লান্ত উইকেটে। যা আমাদের সেরা প্রস্তুতি নিতে সাহায্য করেছে। এর আগে পুরো শীতের মৌসুমজুড়ে আমি নিজেকে নিয়ে কাজ করেছি, যাতে আমার জীবনের পরবর্তী পর্যায়ের জন্য প্রস্তুত হতে পারি।’
‘আমার বয়স এখন ৩৪, আমি বাস্তব জীবনের জন্য প্রস্তুত হচ্ছি। আর যতটা সম্ভব বাচ্চাদের সাথে সময় কাটানোর চেষ্টা করছি। তাদের ছাড়া থাকাটা কঠিন তবে আমরা এখানে একটা কাজে এসেছি, আর নিউজিল্যান্ডের জন্য কাজটা ভালোভাবে করতে হবে আমাদের।’
গতকাল (২৪ আগস্ট) বাংলাদেশে পৌঁছে ৩ দিনের কোয়ারেন্টাইনে আছে নিউজিল্যান্ড দল। ২৭ আগস্ট থেকে সুযোগ পাবে অনুশীলনের। পাঁচ ম্যাচ টি-টোয়েন্টি সিরিজের প্রথমটি মাঠে গড়াবে ১ সেপ্টেম্বর।