

সেপ্টেম্বরে সমান ৩ ম্যাচ ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলতে বাংলাদেশে আসার কথা ছিল ইংল্যান্ডের। তবে সেটি দুই বোর্ডের সম্মতিতে পিছিয়ে গেছে ২০২৩ সালের মার্চে। ধারণা করা হচ্ছিল ইংলিশ ক্রিকেটারদের আইপিএল অংশ গ্রহণ নিশ্চিতেই এমন সমঝোতা। কিন্তু আজ (১১ আগস্ট) বিসিবি প্রধান নির্বাহী নিজাম উদ্দিন চৌধুরী জানিয়েছেন বাংলাদেশের খেলোয়াড়দের বিশ্রামের কথা ভেবেই এই ফাঁকা সময় বের করা।
বর্তমানে যে পরিমাণ ব্যস্ত ক্রিকেট সূচি বাংলাদেশের তা স্বাভাবিক সময়েও অবসাদ, ক্লান্তির কারণ হতে যথেষ্ট। কিন্তু কোভিড পরিস্থিতিতে বায়ো-বাবলে থেকে ক্রিকেট চালিয়ে যাওয়া হয়ে উঠেছে আরও কঠিন।
গত বছর ঘরোয়া টুর্নামেন্ট দিয়ে শুরু এরপর ঘরোয়া ও আন্তর্জাতিক মিলিয়ে ব্যস্ততা যেন পিছু ছাড়ছেনা টাইগারদের। ওয়েস্ট ইন্ডিজ, নিউজিল্যান্ড, শ্রীলঙ্কা, জিম্বাবুয়ে, অস্ট্রেলিয়া, নিউজিল্যান্ডের পর টানা খেলার অংশ হিসেবে ছিল ইংল্যান্ড সিরিজ। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ঠিক আগের এই সিরিজটিই ক্রিকেটারদের বিশ্রাম দিতে পিছিয়ে নেয় দুই বোর্ড।
জিম্বাবুয়ে থেকে ফিরে সরাসরি অস্ট্রেলিয়া সিরিজের বায়ো-বাবল। এরপর দিন কয়েকের ছুটি শেষে ২৪ আগস্ট থেকে ফের নিউজিল্যান্ড সিরিজের বায়ো-বাবলে প্রবেশ করবে টাইগাররা।
তাদের বিশ্রামের ব্যাপারে বিসিবির ভাবনা জানতে চেয়ে সাংবাদিকের করা প্রশ্নের জবাবেই বিসিবি প্রধান নির্বাহী জানান ইংল্যান্ড সিরিজ পেছানোর কারণ।
মিরপুরে সাংবাদিকদের তিনি বলেন,
‘আপনারা ইতোমধ্যে দেখেছেন যে ইংল্যান্ড সিরিজটা আমরা রিশিডিউল করেছি ইংল্যান্ড ক্রিকেট বোর্ডের সাথে কথা বলে। মূলত মেন্টাল বলেন বা ফিজিক্যাল, খেলোয়াড়দের একটা রেস্ট দিতেই আমরা এই গ্যাপটা বের করেছি।’
‘আপনারা জানেন কোভিড সিচুয়েশনে ঘরোয়া ক্রিকেট দিয়ে আমরা খেলায় ফিরে আসি। এবং পরবর্তীতে ওয়েস্ট ইন্ডিজ বাংলাদেশ সফরে আসে, এরপর আমাদের দল নিউজিল্যান্ড যায়, সেখান থেকে এসে শ্রীলঙ্কায় যায়।’
‘এরপর আমরা আবার শ্রীলঙ্কাকে হোস্ট করি এবং তারপরেই দল চলে যায় জিম্বাবুয়েতে, সেখান থেকে এসেই জয়েন করে অস্ট্রেলিয়া সিরিজে। এরপর নিউজিল্যান্ড সিরিজ আছে।’