

১৬ আগস্ট থেকে চট্টগ্রামে শুরু হচ্ছে হাই পারফরম্যান্স (এইচপি) ইউনিটের ৫৫ দিনের ক্যাম্প। ক্যাম্প সামনে রেখে এবারের এইচপি স্কোয়াড এখনো ঘোষণা হয়নি। ক্যাম্পে জাতীয় দলের টেস্ট ও ওয়ানডে ক্রিকেটারদের বিপক্ষে সীমিত ও লঙ্গার ভার্সনের ম্যাচ খেলবে এইচপি।
অক্টোবর-নভেম্বরের বিশ্বকাপ সামনে রেখে জাতীয় দল বর্তমানে ব্যস্ত টি-টোয়েন্টি নিয়ে। অস্ট্রেলিয়ার পর নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে খেলবে পাঁচ ম্যাচ সিরিজ।
এদিকে ইংল্যান্ডের বাংলাদেশ সফর পিছিয়ে গেছে দুই বছর। ফলে চলতি বছরের নভেম্বর-ডিসেম্বরের আগে টেস্ট ও আগামী বছর ফেব্রুয়ারির আগে সূচিতে ওয়ানডে নেই টাইগারদের।
যে কারণে শুধু টেস্ট কিংবা ওয়ানডের জন্য বিবেচিত হন এমন ক্রিকেটারদের প্রস্তুতিতে পড়ছে বিরতি। তাদের মধ্যে আছে মুমিনুল হক, সাদমান ইসলাম, আবু জায়েদ রাহি, এবাদত হোসেন, মেহেদী হাসান মিরাজরা।
আর সে ভাবনা থেকেই এইচপির সাথে ৩ টি একদিনের ও ২ টি চারদিনের ম্যাচ খেলবে তারা। যে দলকে ক্রিকেট পরিচালনা বিভাগ ‘এ’ দল হিসেবে উল্লেখ করেছে।
এ প্রসঙ্গে জাতীয় দলের নির্বাচক আব্দুর রাজ্জাক ‘ক্রিকেট৯৭‘ কে বলেন,
‘আসলে আমাদের ওয়ানডে ও টেস্ট দলের খেলোয়াড়দের নিয়ে একটা দল তৈরি করা হবে। আমাদের জাতীয় দলতো বর্তমানে বিশ্বকাপ ভাবনায় টি-টোয়েন্টি নিয়ে বেশি ব্যস্ত। টেস্ট ও ওয়ানডে দলের খেলা নেই। তাই যারা শুধু ওয়ানডে ও টেস্ট খেলে তাদের নিয়ে একটা দল তৈরি হবে তারা এইচপির সাথে ম্যাচ খেলবে।’
গতবছর এইচপির জন্য ২৫ জনের স্কোয়াড ঘোষণা করেছিল নির্বাচকরা। সুযোগ পেয়েছিল যুব বিশ্বকাপ জয়ী দলের বেশিরভাগ ক্রিকেটার। কোচ টবি রেডফোর্ডের অধীনে বেশ কিছু ক্যাম্পও পরিচালিত হয়।
প্রতি বছরই এইচপির জন্য আলাদা দল দেয় নির্বাচকরা। এবারের দল ঘোষণা হবে ২-৩ দিনের মধ্যে। বয়সের সাথে পারফরম্যান্সের কারণেও বাদ পড়বেন কেউ কেউ।
এবারের অঘোষিত স্কোয়াড প্রসঙ্গে আব্দুর রাজ্জাক বলেন,
‘এইচপি স্কোয়াড নতুন করে তৈরি হচ্ছে। কারণ গত বছরের যে স্কোয়াড সেখান থেকে অনেকে বয়সের কারণে বাদ পড়বে। এরপর পারফরম্যান্স মূল্যায়ন তো থাকছেই।’
উল্লেখ্য, ১৬ আগস্ট থেকে ক্যাম্প শুরু হলেও ম্যাচগুলো অনুষ্ঠিত হবে সেপ্টেম্বরের শুরুর দিকে। ক্যাম্প ও ম্যাচ সবই পরিচালিত হবে চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে।