

বেশ কয়েকজন সিনিয়র ক্রিকেটার ছাড়াই বাংলাদেশে এসেছিল অস্ট্রেলিয়া। যদিও স্কোয়াডে অভিজ্ঞ ক্রিকেটারের সংখ্যাও নেহাত কম ছিলনা। ৪-১ ব্যবধানে টি-টোয়েন্টি সিরিজ হারের পর অধিনায়ক ম্যাথু ওয়েড নিজেদের ব্যর্থতা ঢাকেননি। তরুণদের আগলে রেখে দায় বর্তিয়েছেন নিজের সহ বাকি সিনিয়রদের কাঁধে।
ডেভিড ওয়ার্নার, স্টিভ স্মিথ, গ্লেন ম্যাক্সওয়েল, অ্যারন ফিঞ্চদের মত ব্যাটসম্যানদের ছাড়া খেলতে হয়েছে অস্ট্রেলিয়াকে। তবে বোলিং বিভাগে ছিলেন মিচেল স্টার্ক, জশ হ্যাজেলউড, অ্যাডাম জাম্পা, অ্যাশটন আগার, ড্যান ক্রিশ্চিয়ান, অ্যান্ড্রু টাই, মিচেল সুইপসনরা। যারা সিরিজে নামের প্রতি সুবিচার করেছেনও।
কিন্তু অজিদের ভরাডুবি হয়েছে ব্যাটিং বিভাগে ভরসা করা অভিজ্ঞ ম্যাথু ওয়েড, অ্যালেক্স ক্যারি, ময়সেস হেনরিকস, অ্যাশটন টার্নারদের ব্যর্থতায়। অনভিজ্ঞ জশ ফিলিপ, অ্যাশটন টার্নার, বেন ম্যাকডারমটরাও সুযোগ কাজে লাগাতে ব্যর্থ।
তবে অধিনায়ক ম্যাথু ওয়েড অনভিজ্ঞদের দোষ দিচ্ছেন না এতটুকুও। সিরিজ শুরুর আগেই বলেছেন ব্যাটিং বিভাগে দায়িত্ব নিতে হবে তাকে। সে দায়িত্ব পালনে ব্যর্থ হয়েছেন নিজে। ৫ ম্যাচে করতে পারেননি ৪২ রানের বেশি, কোন চার না মারতে পারলেও হাঁকিয়েছেন কেবল দুইটি ছক্কা। অ্যালেক্স ক্যারি ৫ ম্যাচে করেছেন মাত্র ৩৫ রান, ময়সেস হেনরিকস ৫ ম্যাচে ৪০!
সিরিজের শেষ ম্যাচে গতকাল (৯ আগস্ট) হেরেছে ৬০ রানের বিশাল ব্যবধানে। ১২৩ তাড়া করতে গিয়ে অল আউট ৬২ রানে, যা নিজেদের টি-তোয়েন্টি ইতিহাসের সর্বনিম্ন দলীয় সংগ্রহ।
ম্যাচ শেষে ম্যাথু ওয়েড বলছেন দায়টা দলের অভিজ্ঞদেরই নিতে হবে। তরুণদের আগলে রেখেছেন এই উইকেট রক্ষক ব্যাটসম্যান।
তিনি বলেন, ‘আমি তরুণ ক্রিকেটারদের একটুও দোষ দিব না। আমি, ময়সেস হেনরিকস, ড্যান ক্রিশ্চিয়ান আমরা সবাই অভিজ্ঞ খেলোয়াড় এবং আমাদের আরও ভালো করতে হত। তরুণ ছেলেরা অভিজ্ঞতা নেওয়ার সুযোগ পেয়েছে এসব কন্ডিশনে আর যদি তারা এটাকে শিক্ষা হিসেবে নেয়, যেটা আমাদের সবার নেওয়া উচিৎ তাহলে অন্তত আমরা কিছু শিখেছি।’
‘আমি অনেক ক্রিকেট খেলেছি আর এগুলো ছিল আমার খেলা সবচেয়ে চ্যালেঞ্জিং টি-টোয়েন্টি উইকেট। এখানে তারা যা দেখেছে তা তাদের সামনের দিনগুলোর জন্য মূল্যবান। কিন্তু আমরা যারা অভিজ্ঞ ছিলাম তাদের আরও ভালো করতে হত। যদি ব্যাটসম্যানরা কিছু বাড়তি রান করার পথ খুঁজে পেত তবে তা আমাদের আরও ভালো অবস্থায় রাখতো।’