

শেষ টি-টোয়েন্টিতে অস্ট্রেলিয়াকে ৬০ রানের বড় ব্যবধানে হারিয়ে ৪-১ ব্যবধানে এগিয়ে থেকে সিরিজ শেষ করলো বাংলাদেশ। সিরিজ সেরার পুরষ্কার জেতা সাকিব আল হাসান বলছেন তামিম ইকবাল, মুশফিকুর রহিমকে ছাড়া এমন অর্জন টাইগার ক্রিকেটের বাড়তি পাওয়া। বড় দলগুলোর মত স্কোয়াডে সুযোগ পেতে ক্রিকেটারদের লটড়াইয়ের শুরুটাও এখান থেকে হতে পারে বিশ্বাস টাইগার অলরাউন্ডারের।
প্রথম ৩ ম্যাচ জিতেই সিরিজ নিশ্চিত হয়েছিল বাংলাদেশের। মাঝে চতুর্থ ম্যাচে লড়াই করে হারলেও পঞ্চম ম্যাচে অজিদের লজ্জা উপহার দিয়েই ব্যবধান বাড়িয়ে নিল স্বাগতিকরা।
বাংলাদেশ পুরো সিরিজে দলগত পারফরম্যান্সে সাফল্য পেয়েছে। কখনো মুস্তাফিজুর রহমান, শরিফুল ইসলাম তো কখনো সাকিব আল হাসান, নাসুম আহমেদ, শেখ মেহেদীরা বিধ্বস্ত করেছেন অজিদের। ব্যাট হাতেও সাফল্যের গল্পগুলো দলীয়, কখনো অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ, কখনো আফিফ হোসেন, নুরুল হাসান সোহানরা।
সিরিজে অজিরা নিজেদের বেশ কয়েকজন গুরুত্বপূর্ণ ক্রিকেটারকে পায়নি। বাংলাদেশও পায়নি মুশফিকুর রহিম, তামিম ইকবাল, লিটন দাসের মত ক্রিকেটারদের। বিশেষ করে তামিম, মুশফিকের মত অবিচ্ছেদ্য ক্রিকেটার ছাড়া এমন দাপুটে সিরিজ জয়কে বড় পাওয়া বলছেন সাকিব।
ম্যাচ শেষে ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, ‘অবশ্যই এটা আমাদের বড় একটা প্লাস পয়েন্ট যে বেশ কজন নিয়মিত ক্রিকেটার ছাড়াও আমরা সিরিজটি জিততে পেরেছি। এটা আমাদের আরও বেশি মোটিভেট করবে এবং তারা যখন ফিরে আসবে দলে, তখন এই দলের শক্তি আরও অনেক বেড়ে যাবে।’
‘স্বাভাবিকভাবেই এটা আমাদেরকে অনেক বেশি কম্পিটিটিভ করে তুলবে দলের ভেতরে এবং যে স্বাস্থ্যকর প্রতিযোগিতা দরকার একটা বড় দল হয়ে ওঠার জন্য, সেটা আমার মনে হয় এখন থেকে শুরু হবে।’
অস্ট্রেলিয়া, ইংল্যান্ড, ভারতের মত বড় দলগুলো বাংলাদেশ সফরে আসে খুব কমই। সে ক্ষেত্রে যখনই সুযোগ আসে কাজে লাগাতে পারাটা অনুপ্রাণীত করে বলছেন সাকিব।
টাইগার অলরাউন্ডার যোগ করেন, ‘বাড়তি অনুপ্রেরণা থাকে যখন বড় বড় দলগুলির সঙ্গে খেলা হয়, যারা নরম্যালি আমাদের দেশে সফরে আসে না নিয়মিত, তাদের সঙ্গে খেলা হলে একটু বাড়তি অনুপ্রেরণা তো থাকেই।’
‘যেহেতু আমাদের জিম্বাবুয়েতে একটা ভালো সিরিজ গিয়েছে এবং সবাই খুব অনুপ্রাণিত ছিল যে এই সিরিজটাও আমাদের ভালো করতে হবে, যেহেতু আমরা অস্ট্রেলিয়ার সঙ্গে কখনও সিরিজ জিতিনি এবং এটা একটা সুযোগ ছিল, তাই আমরা সবাই চেয়েছিলাম যেন দলগতভাবে ভালো করতে পারি। সেটাই হয়েছে।’