

মিরপুরে চলমান বাংলাদেশ-অস্ট্রেলিয়া সিরিজে দুই দলের পার্থক্য গড়ে দিচ্ছে বোলাররা। দুই দলই ব্যাট হাতে খাবি খাচ্ছে, তবে টাইগার বোলাররা অল্প পুঁজিতেও দাপট দেখিয়ে ইতোমধ্যে টানা ৩ জয় এনে দিয়েছে। সিরিজ জয়ের পর বাকি দুই ম্যাচে অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের চাওয়া ব্যাটিংয়ে উন্নতি।
সর্বশেষ জিম্বাবুয়ে সিরিজে বাংলাদেশ টি-টোয়েন্টি সিরিজ জিতেছে ২-১ ব্যবধানে। হারারে স্পোর্টস ক্লাবে ব্যাটিং বান্ধব উইকেটে দুই ম্যাচেই জয়ের পথে ভূমিকা ব্যাটসম্যানদের। জিতেছে ১৯৩ রান তাড়া করেও।
তবে ঘরের মাঠে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে মিরপুরের মন্থর উইকেটে মূল কাজটা করছে বোলাররা। ৩ ম্যাচেই বল হাতে গুরু দায়িত্ব কাঁধে নেন মুস্তাফিজুর রহমান, শরিফুল ইসলাম, নাসুম আহমেদ, শেখ মেহেদী হাসান, সাকিব আল হাসানরা।
প্রথম ম্যাচে আগে ব্যাট করে ১৩১ রানেই আটকে যায় বাংলাদেশ। বোলারদের কল্যাণে জয় ২৩ রানের। দ্বিতীয় ম্যাচে আগে বল করে ১২১ রানেই আটকে দেয় অজিদের। নিজেরাও ৬৭ রান তুলতে ৫ উইকেট হারিয়ে বসে, তবে আফিফ হোসেন ও নুরুল হাসান সোহানের ব্যাটে শেষ পর্যন্ত জয়ের বন্দরে পৌঁছায়।
গতকাল (৬ আগস্ট) তৃতীয় ম্যাচেও আগে ব্যাট করে আটকে যায় ১২৭ রানে। বোলাররা এই পুজিতেও দল জেতান ১০ রানে। ইতিহাস গড়ে প্রথমবার অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে বাংলাদেশ কোনো সিরিজ জয় নিশ্চিত করে। ৩ ম্যাচে দুই দল পেয়েছে মোটে একটি করে ফিফটির দেখা।
প্রথম দুই ম্যাচে ছিল না কোনো ফিফটি। গতকাল অজিদের হয়ে মিচেল মার্শ ৫১ ও বাংলাদেশ কাপ্তান মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ খেলেন ৫২ রানের ইনিংস। ম্যাচ সেরার পুরষ্কার জেতা রিয়াদ বলছেন সিরিজ জয়ের পর বাকি দুই ম্যাচে লক্ষ্য এখন ব্যাটিং উন্নতি।
ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, ‘জিম্বাবুয়েতে যেরকম কন্ডিশন ছিল সেখানে ব্যাটসম্যানদের দায়িত্বটা বেশি ছিল। আমার মনে হয় যেরকম উইকেটে খেলা হচ্ছে এখানে বোলারদের দায়িতত্বটাই বেশি। ব্যাটিংটা আমাদের আরও ভালো করা উচিত। শেষ দুই ম্যাচে ব্যাটিংয়ে উন্নতি চাই। ব্যাটিংয়ে আমাদের দায়িত্ব নিতে হবে। আমাদের সেই সামর্থ্য আছে। কন্ডিশনের সঙ্গে মানিয়ে ব্যাটিংটা আরেকটু ভারো করতে পারি।’
‘কোনেভাবে ১০-১২ রান, একটা চার, কয়েকটা দুই বা সিঙ্গেলের মাধ্যমে বের করতে পারি তাহলে দলের ব্যাটিং ইউনিট খুশি হবো। এটা বোলারদেরও আত্মবিশ্বাস বাড়াবে। তাহলে তারা ডিফেন্ড করতে পারবে। আমরা ৩-০ তে আছি। সিরিজ জিতেছে। আমাদের সুবর্ণ সুযোগ আগামীকালও (আজ) একটা ম্যাচ জেতার।’