

টানা দুই পরাজয়ের পর বাংলাদেশের ক্রিকেট কন্ডিশনকে ‘এলিয়েন কন্ডিশন’ হিসেবেই আখ্যা দিলেন অজি অলরাউন্ডার ময়সেস হেনরিকস। বাংলাদেশের মতো এমন কন্ডিশন আর কোথাও দেখেননি তিনি, সামনে পাবেন বলেও মনে হচ্ছে না হেনরিকসের। বাংলাদেশের কন্ডিশন অস্ট্রেলিয়ার জন্য সুখকর নয়। স্লো এবং স্পিনিং উইকেটে খেলতে রীতিমতো বেগ পেতে হচ্ছে, এরমধ্যেই ফুটে ওঠেছে ব্যর্থতার করুণ চিত্র।
বাংলাদেশের আবহাওয়াকে ‘এলিয়েন কন্ডিশন’ এর সঙ্গে তুলনা করেছেন অজি অলরাউন্ডার ময়সেস হেনরিকস। অস্ট্রেলিয়ার ক্রিকেটবিষয়ক গণমাধ্যম ‘ক্রিকেট.কম.এইউ’-কে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে হেনরিকস এসব কথা বলেন।
উপমহাদেশের কন্ডিশন এবং উইকেট এশিয়ার বাইরের দলগুলোর জন্য সব সময়ই বড় চ্যালেঞ্জ। স্লো উইকেট এবং হোম-কন্ডিশন বাংলাদেশ দলকে বাড়তি সুবিধা দেবে অজিদের পক্ষে এমন ভাবনা করা তো স্বাভাবিক। তবে বাংলাদেশের বর্তমান টি-টোয়েন্টি দলের পেস-স্পিন দুই বিভাগই ভারসাম্যপূর্ণ। আর নিজেদের সেরাটা খেলতে পেরেছে বলেই হোম কন্ডিশনের সুবিধা কাজে এসেছে টাইগারদের। হেনরিকসের কথায়,
‘আসলে আমার মনে হয় বাংলাদেশ আমাদের চেয়ে অনেক বেশি স্মার্ট ছিল। ওদের ক্রিকেট বুদ্ধিমত্তা বেশি ছিল। বর্ষার সময়ে ওরা এরকম উইকেটে বেশি খেলেছে। সেই অভিজ্ঞতা তাদের কাজে লেগেছে।’
কন্ডিশন অস্ট্রেলিয়ার তরুণ ক্রিকেটারদের জন্য কঠিন চ্যালেঞ্জের জানিয়ে হেনরিকস বলেন,
‘আইপিএলে আমি ৬০ ম্যাচ খেলেছি। কিন্তু এই উইকেটে খেলে মনে হচ্ছে এটাই সবচেয়ে কঠিন, প্রতিকূল। তরুণদের নিয়ে আমরা এসেছি এখানের অনেকেই অস্ট্রেলিয়ার হয়ে ভবিষ্যৎকালে খেলবে। আমার মনে হয় না এরচেয়ে কঠিন কন্ডিশন তাঁরা পাবে।’
উপমহাদেশের উইকেট মানেই স্পিনারদের স্বর্গ। প্রতিপক্ষকে ঘূর্ণি উইকেটে ফেলে বিভ্রান্ত করা তো পুরোনো কৌশল। তবুও অস্ট্রেলিয়ার এই দলের কাছে এ সবকিছুই যেন নতুন। অজিদের এতো, এতো পড়াশোনার পরও মিরপুরের উইকেটে পরীক্ষায় মিলছে না পাশ মার্ক। সবই যেন বিপরীতে। বাংলাদেশের এমন কন্ডিশন আর কোথাও পাবেন না বলেই আশা করছেন ময়সেস হেনরিকস,
‘আসলে এখানে (বাংলাদেশে) আমাদের দ্রুত মানিয়ে নিতে হবে, অজুহাতের কিছু নেই। তবে এই পরীক্ষাটা আমাদের জন্য দারুণ কাজে আসবে। আমার মনে হয় না দেশের বাইরে এরচেয়ে কঠিন কন্ডিশন আমরা আর পাব।’
উইকেটের অদ্ভুত আচরণে বিস্মিত অজি অলরাউন্ডার ময়েসেস হেনরিকস। অতিথিপরায়ণ বাংলাদেশ যদি এমন আত্মঘাতী উইকেট সিরিজের বাকি অংশেও বানায় তবে তা রুখে দিতে প্রস্তুত অস্ট্রেলিয়া। কারণ গত দুই ম্যাচ থেকে উইকেটের আচরণ যে বেশ ভালোই রপ্ত করেছে ম্যাথু ওয়েডের দল।
‘বাংলাদেশ পাওয়ার-প্লেতে স্পিন করিয়েছে। উইকেটের আচরণ জানত, সেই সুবিধা তাঁরা পেয়েছে। আমরা ভাবতেই পারিনি, উইকেট এমন হবে। তবে এখন উইকেট সম্পর্কে জানা হল। আমাদের পারফরম্যান্স পর্যালোচনা করা দরকার। এমন পরিকল্পনা নিতে হবে যাতে লক্ষ্যটা ছুঁতে পারি।’