

প্রথম দুই টি-টোয়েন্টিতে বাংলাদেশ-অস্ট্রেলিয়া দুই দলের বোলাররাই ছিলেন দুর্দান্ত। তবে ব্যাটিংয়ে খানিক এগিয়ে থেকে দুই ম্যাচই জিতে নিল বাংলাদেশ। অচেনা কন্ডিশন, স্পিনারদের দাপটের সাথে মুস্তাফিজুর রহমান, শরিফুল ইসলামদের স্লোয়ার-কাটারে বিধ্বস্ত অজি ব্যাটসম্যানরা। উইকেট ধরে রেখে ইনিংসের শেষ পর্যন্ত যাওয়াকেই সমাধান বলছেন অজি অলরাউন্ডার অ্যাশটন আগার।
প্রথম ম্যাচে ১৩২ রানের লক্ষ্যে খেলতে নেমে ১০৮ রানেই অলআউট। দ্বিতীয় ম্যাচে আগে ব্যাট করে অজিদের স্কোরবোর্ডে ৭ উইকেটে ১২১। যা ৫ উইকেট ও ৮ বল হাতে রেখে জিতে নেয় বাংলাদেশ।
প্রথম ম্যাচের চেয়ে দ্বিতীয় ম্যাচে ভালো শুরু পেয়েছিল অজিরা। ২ উইকেটে ৮৮ রান তুললেও শেষদিকে খেই হারায়। মুস্তাফিজ-শরিফুল টানা স্লোয়ার-কাটারে বিভ্রান্ত করেন। উইকেট বিবেচনায় দুজনই করেছেন নিয়ন্ত্রিত বোলিং।
সফরে নিজেদের অভিজ্ঞ বেশ কয়েকজন ব্যাটসম্যানকে পাচ্ছে না অজিরা। তবে বোলিং বিভাগে মিচেল স্টার্ক, জশ হ্যাজেলউড, অ্যাডাম জাম্পা, অ্যান্ড্রু টাই, অ্যাশটন আগাররা ভালোই পরীক্ষা নিচ্ছে বাংলাদেশের।
১২১ রানের পুঁজি নিয়েও গতকাল ৬৭ রানেই বাংলাদেশের ৫ উইকেট তুলে নেয় সফরকারীরা। সেখান থেকে আফিফ হোসেন ও নুরুল হাসান সহানের ঠান্ডা মাথার অসাধারণ এক জুটিতে শেষ পর্যন্ত পরাজয় নিয়েই মাঠ ছাড়ে অস্ট্রেলিয়া।
আজ (৫ আগস্ট) এক ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে স্পিনার অ্যাশটন অ্যাগার বলেন নিজেদের বোলিং নিয়ে সন্তুষ্ট তারা। তবে প্রথম দুই ম্যাচের মত পরের ম্যাচগুলোতে ব্যাটিং ব্যর্থতা থেকে বের হতে চায়।
তিনি বলেন, ‘দুই দলের বোলাররাই দারুণ বোলিং করছে। আমাদের বোলিং আক্রমণের পারফরম্যান্সেও আমরা খুশি। বোলিং কোনো সমস্যাই নয়। স্রেফ ব্যাটিংয়ে আঁটসাঁট হতে হবে আমাদের। এক ম্যাচে আমাদের টপ অর্ডার ব্যর্থ হয়েছে, আরেক ম্যাচে নিচের দিকের ব্যাটসম্যানরা। আশা করি, পরের ম্যাচে আমরা ঠিকঠাক করতে পারব।’
‘খেলাটাকে যতটা সম্ভব গভীরে নিয়ে যেতে হবে। উইকেট হাতে রেখে ইনিংসের শেষ দিকে যেতে হবে। এটাই আমার মনে হচ্ছে সবচেয়ে সেরা পথ আপাতত। ঝুঁকি নেওয়ার জন্য এই উইকেট খুবই কঠিন। তবে পাওয়ার প্লেতে আমরা মোটামুটি মানের শুরু পেলে, সেটাও কাজে দেবে। কালকে শুরুটা খারাপ হয়নি, তবে পরে সেটা ধরে রাখতে পারিনি। তবে এভাবেই খেলতে হবে।’