

প্রথম দুই টি-টোয়েন্টি জিতে পাঁচ ম্যাচ সিরিজে ২-০ ব্যবধানে এগিয়ে গেল বাংলাদেশ। যেখানে দুই ম্যাচে বোলাররাই কাজ সহজ করে দিয়েছে। পেস-স্পিনের দারুণ সমন্বয় দেখা গিয়েছে দুই ম্যাচেই। গতকাল (৪ আগস্ট) দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতে জয়ের নায়ক আফিফ হোসেন জানালেন ঘরের মাঠের পুরো ফায়দা লুটেই সফল হচ্ছে টাইগার বোলাররা।
প্রথম ম্যাচে ১৩১ রানের পুঁজি নিয়েও ২৩ রানে জয় পেয়েছে বাংলাদেশ। স্পিনারদের ৬ উইকেটের বিপরীতে পেসারদের শিকার ৪ উইকেট। দ্বিতীয় ম্যাচে আগে ব্যাট করা অজিদের ১২১ রানে আটকে রাখতে কার্যকর ভূমিকা রেখেছেন দলের পেস, স্পিন দুই বিভাগই।
মিরপুরের মন্থর উইকেটে সাকিব আল হাসান, নাসুম আহমেদ, শেখ মেহেদী হাসানদের সাথে দারুণ কাজ করেছে পেসার মুস্তাফিজুর রহমান ও শরিফুলের স্লোয়ার, কাটার। দ্বিতীয় ম্যাচে অজিদের হারানো ৭ উইকেটের ৫ টি মুস্তাফিজ (৩) ও শরিফুলের (২)।
১২২ রানের লক্ষ্য তাড়ায় নামা বাংলাদেশ ৬৭ রানে ৫ উইকেট হারালেও ৮ বল ও ৫ উইকেট হাতে রেখে জয় পায় আফিফ হোসেন ও নুরুল হাসান সোহানের অবিচ্ছেদ্য ৫৬ রানের জুটিতে। আফিফ পরিস্থিতি সামল দিয়ে ৩৭ রানে ও সোহান ২২ রানে অপরাজিত ছিল।
ম্যাচ সেরার পুরষ্কার জেতা আফিফ ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে জানালেন বোলারদের সফল হওয়ার রহস, ‘মিরপুরে আমাদের হোম কন্ডিশনে অবশ্যই বোলিংয়ের একটা বাড়তি সুবিধা থাকে। আমাদের বোলাররা সেই সুবিধাটা খুব ভালোভাবে কাজে লাগাচ্ছে আমার মনে হয়। এ কারণেই আমাদের বোলিং ভালো হয়েছে। এছাড়া আমাদের বোলিং-ফিল্ডিং সব ভালো হচ্ছে বলে পুরোপুরি একটা ভালো টিম এফোর্ট হচ্ছে।’
‘উইকেটের যে কন্ডিশন ছিল, মুস্তাফিজ ভাই ও শরিফুল খুব ভালো অ্যাসেস করতে পেরেছে। উইকেটের কন্ডিশনের কারণে বোলিং করার কারণে তারা খুব ভালো বোলিং করেছে।’
শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ঘরের মাঠে ওয়ানডে সিরিজ জয়ের পর জিম্বাবুয়ে সফরে ৩ ফরম্যাটেই সিরিজ জয় আত্মবিশ্বাসী করেছিল টাইগারদের। এর আগে টি-টোয়েন্টিতে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে কোনো জয় না পাওয়া বাংলাদেস এবার তুলে নিল টানা দুই জয়।
পাঁচ ম্যাচ সিরিজটি এখন বাংলাদেশ না জেতাটাই হবে অস্বাভাবিক। বাংলাদেশের চাওয়া ম্যাচ ধরে ধরে এগোনো। পরের ম্যাচ জিতে সিরিজ নিজেদের করে নেওয়ার ব্যাপারে আশাবাদী আফিফ।
তরুণ এই ক্রিকেটার বলেন, ‘শেষ কয়েকটি সিরিজে আমরা ভালো ক্রিকেট খেলছি। শেষ জিম্বাবুয়ে সিরিজেও আমরা ভালো খেলেছি। তার আগে যে সিরিজ হয়েছে, সেটায়ও ভালো করেছি। ওই সিরিজগুলোর আত্মবিশ্বাস আমাদের সহায়তা করছে। এছাড়া সিনিয়ররাও আমাদের সহায়তা করছেন। খুব সুন্দর একটি দলীয় পরিবেশ তৈরি হয়েছে।’
‘অবশ্যই আমাদের প্রত্যেকটি ম্যাচ নিয়ে চিন্তা থাকে। আপাতত আমাদের চিন্তা থাকবে সামনের ম্যাচটা যেন ভালো খেলে জিততে পারি। জিততে পারলে সিরিজটি তো আমাদের পক্ষেই আসবে। চেষ্টা করব সামনের ম্যাচ জেতার।’