

অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতে ৫ উইকেটে জয় তুলে নিয়ে পাঁচ ম্যাচ সিরিজে ২-০ ব্যবধানে এগিয়ে গেল বাংলাদেশ। লো স্কোরিং ম্যাচে লক্ষ্য তাড়ায় নেমে বিপর্যয়ে পড়ে বাংলাদেশ। ১২২ রান তাড়ায় নেমে ৬৭ রান তুলতে হারায় ৫ উইকেট। সেখান থেকে অবিচ্ছেদ্য জুটিতে দলকে জয় এনে দেন আফিফ হোসেন ও নুরুল হাসান সোহান। ম্যাচ শেষে অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের প্রশংসা কুড়িয়েছেন দুজনেই।
শুরুতে স্পিনারদের নিয়ন্ত্রিত বোলিং, পরে উইকেট শিকারে মেতে উঠেন দুই পেসার শরিফুল ইসলাম ও মুস্তাফিজুর রহমান। ৭ উইকেটে ১২১ রানে থামে আগে ব্যাট করা অস্ট্রেলিয়া।
১২২ রানের সহজ লক্ষ্য পেয়েও ৬৭ রান তুলতে নেই বাংলাদেশের ৫ উইকেট। জয়ের জন্য তখনো প্রয়োজন ৫২ বলে ৫৫ রান। দলের চাপ কমিয়ে যে কাজটা দারুণভাবে করেছেন আফিফ ও সোহান।
প্রথম ম্যাচেও দলের জয়ে আফিফের ২৩ রানের ইনিংসের ভূমিকা ছিল অনস্বীকার্য। আজ কঠিন পরিস্থিতিতে সোহানকে নিয়ে ম্যাচ শেষ করে আসেন এই বাঁহাতি। দুজনে শেষ পর্যন্ত অবিচ্ছেদ্য ছিলেন ৫৬ রানের জুটিতে। ঠান্ডা মাথায় খেলে ৮ বল আগেই লক্ষ্যে পৌঁছে দেন।
৩১ বলে ৫ চার ১ ছক্কায় আফিফ অপরাজিত ছিলেন ৩৭ রানে। জশ হ্যাজেলউডের করা ১৯তম ওভারে আপার কাটে জয়সূচক বাউন্ডারিটিও হাঁকান এই তরুণ। জিতেছেন ম্যাচ সেরার পুরষ্কারও। তাকে যোগ্য সঙ্গ দেওয়া সোহান অপরাজিত ছিলেন ২১ বলে ২২ রানে।
ম্যাচ শেষে পুরষ্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ প্রশংসায় ভাসায় দুজনকে, ‘এটা দারুণ ব্যাপার যেভাবে আফিফ ও সোহান দাঁড়িয়ে গিয়েছে এবং শেষ পর্যন্ত টেনে নিয়েছে। বেশ পরিণতবোধ দেখিয়েছে। তাদের (অস্ট্রেলিয়াকে) ১২০ এর আশেপাশে আটকে রাখতে বোলাররা দারুণ ভূমিকা রেখেছে। ব্যাটে-বলে সাকিব গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে, দেখিয়েছে কতটা মূল্যবান সে।’
‘শুরুতেই বেশ কয়েকটি উইকেট হারানো ড্রেসিং রুমে চিন্তার কারণ হয়ে এসেছিল, তবে আফিফ-সোহান যেভাবে ব্যাট করেছে তাতে আমাদের চাপ কিছুটা কমেছে, ড্রেসিং রুমে স্বস্তি ফিরে আসে।’
অজিদের ১২১ রানে আটকে দিয়ে জয়ের পথে কাজটা এগিয়ে দেন বোলাররা। স্পিনারদের কার্যকরী বোলিংয়ের সাথে মুস্তাফিজ-শরিফুল পসরা সাজিয়ে বসেন দারুণ সব স্লোয়ারের। দুজনে মিলে তুলে নেন ৫ উইকেট।
টাইগার দলপতি কৃতিত্ব দিয়েছেন বোলারদেরও, ‘এমন কন্ডিশনে মুস্তাফিজ সবসময় কার্যকর, শরিফুল বেশ ভালো বল করেছে, সব বোলারই দারুণ করেছে। আমরা প্রত্যেকটা ম্যাচকে আলাদা করে দেখছি, আমাদের এটা ধরে রাখতে হবে এবং নিজেদের সামর্থ্যের সবটুকু দিয়ে পারফর্ম করতে হবে।’