

ইংল্যান্ডের বিপক্ষে প্রথম টেস্টের জন্য অনুশীলনে কঠোর পরিশ্রম করেছে ভারতীয় বোলাররা। নটিংহ্যামে অনুষ্ঠিতব্য টেস্টে বোলাররা প্রয়োজনে ব্যাট হাতে ভালো রান করতে চান বলে জানিয়েছেন ভারতের সহ অধিনায়ক আজিঙ্কা রাহানে। বর্তমানে প্রতিযোগিতামূলক টেস্ট ক্রিকেটে বিপদের সময় লোয়ার অর্ডার ব্যাটসম্যানরাও গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখতে পারে অভিমত তার।
উপরের সারির ৬ জন ব্যাটসম্যান ভালো করলেও নিচের দিকের ব্যাটসম্যানদের ব্যর্থতায় সর্বশেষ অ্যাডিলেড ও সাউদাম্পটনে ২টি অ্যাওয়ে টেস্ট হারতে হয়েছিল ভারতকে। প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে বোলারদের মধ্যে শার্দুল ঠাকুর (১৬.৫৮) এবং উমেশ যাদবের (১৪.৩৮) ১০ এর উপর ব্যাটিং গড় রয়েছে।
সর্বশেষ ইংল্যান্ড সফরে ভারতের নিচের দিকের ব্যাটসম্যানদের রান করতে গলদঘর্ম হতে হয়েছিল। সেখানে ইংল্যান্ডের স্যাম কারেন ও ক্রিস ওকসরা অনায়াসে রান করেছিলেন। এমন দুর্বলতার জন্য সর্বশেষ অ্যাওয়ে সিরিজগুলোতে রবীন্দ্র জাদেজা কিংবা রবিচন্দ্রন অশ্বিনের মধ্যকার যেকোন একজনের সাথে একজন অতিরিক্ত সিমার অথবা একজন অতিরিক্ত দক্ষ ব্যাটসম্যান খেলেছিলেন। শেষ ৪ টেস্টে ৫ জন করে বোলার খেলেছিল তাদের।
‘ইংল্যান্ডে বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালের পর আমরা ডারহামে অনুশীলন করেছি। প্রতিদিন নেটে ব্যাটিং করেছে আমাদের বোলাররা। ব্যাটিং কোচের কাছ থেকে নিয়মিত পরামর্শ নিতো তারা। ১০-১২ মিনিট ব্যাটিং করতে চাইতো, যা দলের জন্য বেশ ভালো। ভারতের বাইরে আপনাকে যদি জিততে হয়, তবে দলগতভাবে আপনাকে খেলতে হবে। ৪ জন নাকি ৫ জন বোলার খেলবে, তা এখনও জানিনা। উইকেট দেখে আমাদের দলের একাদশ ঠিক করতে হবে। তবে আমরা এ বিষয় নিয়ে মোটেই চিন্তিত নই,’ বলেন রাহানে।
‘২০১৮ সালে হার্দিক পান্ডিয়া একদম ভিন্ন ধরণের পারফরম্যান্স দেখিয়েছিল। বর্তমানে শার্দুলও ব্যাটিং করতে জানে এবং অস্ট্রেলিয়ায় সে দারুণ পারফরম্যান্স করেছিল। বুমরাহ, শামি, ইশান্ত, সিরাজ এবং উমেশরা নেটে ভালো পরিশ্রম করছে। তারা অবদান রাখতে চায়। এমনকি ইনিংস শেষের দিকে ২০-৩০ রান করাটাও দলের জন্য কার্যকর। তারা নেটে ভীষণ পরিশ্রম নিয়ে কাজ করছে। আমরা আত্নবিশ্বাসী, তারা দলের জন্য ভালো ভূমিকা রাখবে।’
ভারত ইংল্যান্ডে প্রথমবার টেস্টে সিরিজে যেতে ২০০৭ সালে।
‘ভারত, অস্ট্রেলিয়া, দক্ষিণ আফ্রিকা ও নিউজিল্যান্ডের মত শক্তিশালী দেশগুলোর বিপক্ষে ঘরের বাইরের মাঠে খেলাটা চাট্টিখানি কথা নয়। আমি ভেবেছিলাম, ২০১৮ সালে আমরা ভালো ক্রিকেট খেলেছিলাম। তবে ফলাফল অনুকূলে আসেনি। বর্তমানে সিরিজে ম্যাচ বাই ম্যাচ অনুযায়ী ক্রিকেটের পরিকল্পনা করতে হবে। কেননা পয়েন্ট সিস্টেম গুরুত্বপূর্ণ। পুরো সিরিজের প্রতিটি ম্যাচে জয় দরকার। ফলাফল যাই আসুক, আমাদের উচিত প্রতিটি ম্যাচে সর্বোচ্চ চেষ্টা করা,’ জানান রাহানে।