

আগের ৪ ম্যাচে উইকেট সাকূল্যে ২ টি। তবে আজ (৩ আগস্ট) মিরপুরে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে জয় পাওয়া প্রথম টি-টোয়েন্টিতে নাসুম আহমেদ দেখা পেলেন ক্যারিয়ার সেরা বোলিং ফিগারের। ৪ ওভারে ১৯ রান খরচায় ৪ উইকেট নিয়ে দলের জয়ে রাখলেন অন্যতম ভূমিকা। ম্যাচ সেরার পুরষ্কার নিতে এসে জানালেন অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ ও সাকিব আল হাসানের পরামর্শেই হয়েছেন সফল।
১৩২ রানের সহজ লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে অস্ট্রেলিয়া গুটিয়ে গেছে ১০৮ রানে। যে পথে মূল ভূমিকাটাই বাংলাদেশের স্পিনারদের। ১৩ ওভারে ৭১ রান খরচায় স্পিনাররাই তুলে নেন ৬ উইকেট। বাকি ৪ উইকেট ভাগাভাগি করেন মুস্তাফিজুর রহমান ও শরিফুল ইসলাম।
স্পিনারদের মধ্যে সবচেয়ে সফল নাসুম ফেরান ওপেনার জশ ফিলিপ (৯), বাংলাদেশের জন্য হুমকির কারণ হয়ে দাঁড়ানো মিচেল মার্শ (৪৫), অধিনায়ক ম্যাথু ওয়েড (১৩) ও অ্যাশটন আগারকে (৭)। যদিও আগারের উইকেটে ছিল ভাগ্য, হিট আউট হয়ে ফিরতে হয়ে অজি বাঁহাতি ব্যাটসম্যানকে।
পাঁচ ম্যাচ টি-টোয়েন্টি সিরিজ বাংলাদেশ এগিয়ে গেল ১-০ ব্যবধানে। ম্যাচ শেষে নাসুম জানালেন নিজের বোলিং সম্পর্কে।
পুরষ্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে নাসুম বলেন, ‘আমাদের টার্গেট ছিল রান চেক দিয়ে ডট বল করা। আর ওটাই চেষ্টা করেছি, উইকেট পেয়ে গেছি। সাপোর্ট বলতে সাকিব ভাই, রিয়াদ ভাই দুজনেই অনেক সাপোর্ট করেছে। আমার সাথে অনেক কথা বলেছে যতক্ষণ আমি বল করছিলাম। আর আমি ওভাবেই প্রয়োগ করার চেষ্টা করেছি।’
ব্যাটসম্যানদের দেওয়া অল্প পুঁজির ম্যাচে বোলারদের জন্য চাপটা থাকে অনেক বেশি। এমন ম্যাচেও নির্ভার বোলিং করা সম্ভব হল কীভাবে এই প্রশ্নের জবাবে নাসুম জানালেন লক্ষ্যই ছিল ডট বল দেওয়া।
৪ ওভার বল করে ১২ বল ডট দেওয়া নাসুমের বোলিং ফিগারেও সেটার ছাপ দেখা যায়।
এই টাইগার বাঁহাতি স্পিনার বলেন, ‘ (চাপ) সেটা তো থাকেই। লক্ষ্যই ছিল ডট বল করার।’
ডট বল প্রসঙ্গে ম্যাচ পরবর্তী ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে আরেকটু বিস্তারিত যোগ করেন নাসুম, ‘যখন আমরা ১৩১ করেছি তখন নামার আগে রিয়াদ ভাই বলতেছিল আমরা এ রানেই ফাইট করবো, ডট বল করবো, যতটুক পারি চেষ্টা করবো জেতার জন্য। তো ওই ডট বলের চিন্তাই করছিলাম।’
‘যখন প্রথম দুটো বল করলাম ব্যাক অব লেন্থে তখন সাকিব ভাই আমাকে বলল এই উইকেটে আস্তে বলটাই ভালো এবং সামনে করলে ভালো হয়। তো ওটাই চেষ্টা করেছি।’
‘চারটা ওভার যে করেছি সবসময়ই সাকিব ও রিয়াদ ভাই আমার সঙ্গে কথা বলেছে। রিয়াদ ভাই বলছিল ওকে ওর মতো বল করতে দে। তো ডট বল করার চেষ্টাতেই সফল হয়েছি।’