

অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে বাংলাদেশের ৫ ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ শুরু হচ্ছে আজ থেকে। টি-টোয়েন্টিতে অজিদের হারিয়ে প্রথম জয়ের স্বাদ পেতে মুখিয়ে আছে টাইগাররা। প্রথম ম্যাচের সেরা একাদশে ৭ ব্যাটসম্যানের সঙ্গে স্পিনার হিসেবে মেহেদী কিংবা নাসুম। মুস্তাফিজের একাদশে ফেরা প্রায় নিশ্চিত। জায়গা হারাতে পারেন তাসকিন, শরিফুলের যেকোন একজন।
বাংলাদেশ সময় সন্ধ্যা ৬ টায় মিরপুর শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে শুরু হবে ম্যাচটি। তবে ক্রিকেটপ্রেমীদের প্রত্যাশায় জল ঢালতে পারে প্রকৃতি। আবহাওয়ার পূর্বাভাসে, মৌসুমী বায়ু বাংলাদেশের ওপর সক্রিয় থাকায় মিরপুরে বিক্ষিপ্ত বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে।
অস্ট্রেলিয়ার গতি তারকা মিচেল স্টার্ক ও জশ হ্যাজেলউডকে শুরুতে সামলাবেন সৌম্য সরকার ও নাইম শেখ। তিন নম্বর পজিশনে আছেন সাকিব আল হাসানই।
অজিদের বিপক্ষেও তামিম, লিটন, মুশফিক নেই, অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ খেলবেন উপরের দিকেই। সোহান, আফিফ, শামীম বেশ ভালো ছন্দে আছেন। উইকেটরক্ষকের ভূমিকায় নুরুল হাসান সোহানেই আস্থা টিম ম্যানেজমেন্টের।
স্পিনার হিসাবে খেলবেন মেহেদী হাসান। ইনজুরি কাটিয়ে একাদশে মুস্তাফিজুর রহমানের ফেরাও একরকম নিশ্চিত। পেস অলরাউন্ডার হিসেবে থাকছেন মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন। তবে শরিফুল ইসলাম কিংবা তাসকিন আহমেদের যেকোন একজন থাকবেন সেরা একাদশে।
ম্যাচ পূর্ববর্তী ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশ অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ বলেন,
‘আমি ব্যক্তিগতভাবে বিশ্বাস করি টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটটাই এমন, আপনি যত উপরের র্যাংকিংয়ের দলই হোক না কেন নির্দিষ্ট দিনে যদি ভালো খেলতে পারেন তাহলে যেকোনো দলকেই হারাতে পারবেন। অবশ্যই হয়তোবা ওদের গুরুত্বপূর্ণ কিছু খেলোয়াড় আসেনি, একই সাথে আমরাও আমাদের কিছু গুরুত্বপূর্ণ খেলোয়াড়কে মিস করছি। লিটন, তামিম, মুশফিককে মিস করছি। এটা আমাদের দলের ও ক্রিকেটারদের জন্য বড় সুযোগ নিজেদের স্ট্যান্ডার্ড দেখানো যে আমরা ঘরের মাঠে ভালো একটা দল।’
‘সেরা সুযোগ কিনা (অজিদের হারানো) সেটা বলা এই মুহূর্তে কঠিন। তারা টি-টোয়েন্টিতে ভালো দল, ভালো ক্রিকেট খেলেই তাদের হারাতে হবে। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ব্যাপার হল আমরা আমাদের স্কিল কতটা ম্যাচে প্রয়োগ করতে পারি। পরিস্থিতি অনুসারে কতটা প্রয়োগ করতে পারছি সেটার উপর অনেক কিছু নির্ভর করে। আমার মনে হয় ভালো একটা সিরিজ হবে। আমরা জিম্বাবুয়েতে আলহামদুলিল্লাহ ভালো খেলেছি এবং আমাদের আত্মবিশ্বাসও আছে। এখন আমরা অপেক্ষায় আছি যেন নিজেদের সেরা ক্রিকেটটা খেলতে পারি।’
অজি অধিনায়ক ম্যাথু ওয়েডের বক্তব্য,
‘হ্যাঁ, অবশ্যই (বিশ্বকাপের প্রস্তুতি নেওয়া)। ওয়েস্ট ইন্ডিজেও এটা আমরা করেছি। প্রত্যাশিত ফলাফল আমরা পাইনি। তবে কিছু কিছু ব্যাপার আমরা পেয়েছি, যা দেখতে চেয়েছিলাম। মিচ মার্শ, অ্যাশটন টার্নারদের কাছ থেকে যা চেয়েছি, পেয়েছি। আরও কয়েকজন আছে, তারা দেখিয়েছে যে এই পর্যায়ে তাদের সামর্থ্য আছে।’
‘অবশ্যই আমরা এই সিরিজ জিততে চাই। প্রতিটি ম্যাচই আমরা সবসময় জিততে চাই। তবে এটা একটা সুযোগ সবাইকে দেখার যে বিভিন্ন ভূমিকায় তারা কেমন করছে, যাতে বিশ্বকাপের দল নির্বাচনের সময় বোঝা যায় কোন ভূমিকায় কে কেমন করছে। সেই সুযোগটি নিতে সবাই রোমাঞ্চিত। নানা জায়গায় নিজেদের তুলে ধরতে মুখিয়ে থাকবে অনেকেই।’
অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ওয়ানডে ও টেস্টে জয়ের স্বাদ পেলেও টি-টোয়েন্টিতে এখনও জিততে পারেনি বাংলাদেশ। টি-টোয়েন্টিতে এই পর্যন্ত মোট চারবার মুখোমুখি হয়েছে দুই দল (বিশ্বকাপ আসরে), চারটিতেই জয় অস্ট্রেলিয়ার। এবার প্রথমবারের মতো দ্বিপাক্ষিক টি-টোয়েন্টি সিরিজে মাঠে নামার অপেক্ষায় বাংলাদেশ-অস্ট্রেলিয়া)।
এর আগে ২০১৭ সালে বাংলাদেশ সফরে এসে দুটি টেস্ট ম্যাচ খেলেছিল অস্ট্রেলিয়া। সেবার প্রথম টেস্টে ৩০ রানে জেতার স্বাদ পায় বাংলাদেশ। পরের টেস্টে ৭ উইকেটে জয় পায় অস্ট্রেলিয়া।
বাংলাদেশের সম্ভাব্য একাদশঃ
সৌম্য সরকার, নাইম শেখ, সাকিব আল হাসান, মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ (অধিনায়ক), নুরুল হাসান সোহান (উইকেটরক্ষক), আফিফ হোসেন ধ্রুব, শামীম হোসেন পাটোয়ারী, মেহেদী হাসান, মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন, তাসকিন আহমেদ/শরিফুল ইসলাম ও মুস্তাফিজুর রহমান।
অস্ট্রেলিয়ার সম্ভাব্য একাদশঃ
বেন ম্যাকডারমট, জশ ফিলিপ, মিচেল মার্শ, অ্যালেক্স ক্যারি/ময়েসেস হেনরিকস, ম্যাথু ওয়েড (অধিনায়ক ও উইকেটরক্ষক), অ্যাশটন টার্নার, অ্যাশটন অ্যাগার, ড্যান ক্রিশ্চিয়ান, মিচেল স্টার্ক, অ্যাডাম জাম্পা ও জশ হ্যাজেলউড।