

কাশ্মির প্রিমিয়ার লিগ (কেপিএল) যাতে অনুমোদন না পায়, সে লক্ষ্যে আইসিসিকে চিঠি দিয়ে অনুরোধ করেছে ভারতীয় ক্রিকেট নিয়ন্ত্রক সংস্থা (বিসিসিআই)। বিভিন্ন গণমাধ্যমের সূত্রে এ গুরুত্বপূর্ণ তথ্য জানা যায়।
বিসিসিআই ইতোমধ্যে দলগুলোতে নিযুক্ত পূর্ণ সদস্যদের সাথে যোগাযোগ করে টুর্নামেন্টে না থাকার ব্যাপার বারণ করেছে। বিষয়টি নিয়ে পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড (পিসিবি) অসন্তুষ্টি জানিয়েছে।
কেপিএলে ড্রাফটে অংশ নিয়ে খেলার ব্যাপারে নিশ্চিত হওয়া দক্ষিণ আফ্রিকার সাবেক ক্রিকেটার হার্শেল গিবস টুইট করে জানিয়েছেন, যদি তিনি কেপিএলে খেলেন, তাহলে তাকে ভারতে আর কোন ক্রিকেটীয় কার্যক্রমে অনুমতি দিবে না বলে বিসিসিআই হুমকি দিয়েছে। বিসিসিআই-এর এমন কার্যক্রমকে ‘হাস্যকর’ বলে আখ্যায়িত করেছেন গিবস।
‘পাকিস্তানের সাথে ভারতের রাজনৈতিক ঝামেলা মিশ্রণ করে বিসিসিআই-এর এমন কার্যক্রমকে সম্পূর্ণ উদ্দেশ্যহীন বলে মনে করি আমি। তারা আমাকে কেপিএলে না খেলার ব্যাপারে রুখতে চায়। এছাড়া ভারতে কোন ক্রিকেটীয় কাজ করতে দেবে না বলেও হুমকি দিয়েছে। হাস্যকর,’ টুইটারে জানান গিবস।
কাশ্মিরকে একটি বিতর্কিত এলাকা বলে চিঠিতে উল্লেখ করে আইসিসিকে জানিয়েছে বিসিসিআই। স্বাধীনতার সময় থেকে কাশ্মির নিয়ে এখনও লড়াই চলছে ভারত ও পাকিস্তানে।
২০১২-১৩ সালের পর থেকে আর কোন দ্বিপক্ষীয় টুর্নামেন্টে খেলেনি এ দুইটি দেশ। সর্বশেষ টেস্ট সিরিজ হয়েছিল ২০০৭-০৮ সালে। যদিও আইসিসির ইভেন্টগুলোতে একে অপরের সাথে খেলেছে তারা। যদিও কেপিএলের এ ঘটনা নিয়ে আইসিসি কেমন সাড়া দেয়, তা বেশ চমকপ্রদ হতে পারে। যদিও ইতোমধ্যে টুর্নামেন্ট আয়োজনের ব্যাপারে সবুজ সংকেত দিয়েছে তারা।
সম্প্রতি পিসিবি জানিয়েছে, খেলার মধ্যে ব্যস্ত থাকায় তাদের কেন্দ্রীয় চুক্তিবদ্ধ ক্রিকেটাররা এ টুর্নামেন্টে অংশ নিবেন না। বর্তমানে ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরে আছে পাকিস্তান ক্রিকেট দল। সেখানে ৪টি টি-টোয়েন্টি ম্যাচের পাশাপাশি ২টি টেস্টে অংশ নিবে। এরপর আফগানিস্তানের সাথে ওয়ানডে সিরিজ রয়েছে তাদের।
কেপিএলের ছয় দলে অবসরপ্রাপ্ত আন্তর্জাতিক ক্রিকেটাররা আছেন। এরা হচ্ছেন- ম্যাট প্রায়র, মন্টি পানেসার, ফিল মাস্টার্ড, টিনো বেস্ট, তিলাকারত্নে দিলশান এবং হার্শেল গিবস। যদিও একাধিক ক্রিকেটার বিতর্ক এড়াতে নিজেদের সরিয়ে নিয়েছেন।