

সিরিজের প্রথম টি-টোয়েন্টি পরিত্যক্ত হয়েছিল বার্বাডোসের বৃষ্টিতে। তবে গায়ানায় এসেই সিরিজে এগিয়ে গেল পাকিস্তান। বাবর আজমের দল ওয়েস্ট ইন্ডিজকে হারাল ৭ রানে। রিজওয়ানের ব্যাটিং রেকর্ড ও হাফিজের বোলিং স্পেলের সামনেই হেরে গেল স্বাগতিকরা। কাজে আসল না নিকোলাস পুরানের ঝড়ো ইনিংসও।
প্রথমে ব্যাট করে ১৫৭ রান তোলে পাকিস্তান। জবাবে ১৫০ রানে শেষ হয় ওয়েস্ট ইন্ডিজের ইনিংস। চার ম্যাচের সিরিজে ১-০ ব্যবধানে এগিয়ে গেল সফরকারী পাকিস্তান। স্পিন জাদুতে ম্যাচ সেরা হয়েছেন মোহাম্মদ হাফিজ। চার ওভার বল করে মাত্র ৬ রান দিয়েছেন তিনি। একটি মেডেন নেওয়ার পাশাপাশি শিকার করেন একটি উইকেটও।
The Spin King! An incredible four-over spell by @MHafeez22, 4-1-6-1 🙌🙌🙌#HarHaalMainCricket | #BackTheBoysInGreen | #WIvPAK pic.twitter.com/sHB6muai89
— Pakistan Cricket (@TheRealPCB) July 31, 2021
এর আগে টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে শুরুটা ভালো হয় পাকিস্তানের। মোহাম্মদ রিজওয়ান শারজিল খানকে সঙ্গে নিয়ে চালিয়ে যান ঝড়ো ব্যাটিং। তবে পাওয়ার-প্লের মধ্যেই জেসন হোল্ডারের বলে ক্যাচ দিয়ে ফিরেন শারজিল। ভাঙে রিজওয়ানের সাথে করা ৪৬ রানের জুটি।
এরপর বাবর আজমের সঙ্গেও ব্যাট হাতে অনবদ্য ছিলেন রিজওয়ান। এরমধ্যেই রিজওয়ান-বাবরের জুটিও পঞ্চাশ ছাড়িয়েছে। তবে রিজওয়ানের রান আউটে ভাঙে ৬৭ রানের জুটি। ফিফটির খুব কাছে থেকে হল না, ৩৬ বলে ৪৬ ইনিংসে প্যাভিলিয়নে যান রিজওয়ান।
কিন্তু সচল থাকেন বাবর আজম; ৩৮ বলে পূর্ণ করেন অর্ধশত রান। এরপর বৃষ্টি বাধা। বিরতির পর শুরু হয় পাকিস্তানের আসা-যাওয়া। ৫১ রানের ইনিংসে থামেন বাবর। শেষ ৪ ওভারে ৬ উইকেট হারিয়ে কেবল ২৩ রান স্কোরবোর্ডে যোগ করে পাকিস্তান। ১৫৭ রানে ৮ উইকেটে শেষ হয় পাকিস্তানের ইনিংস।
ওয়েস্ট ইন্ডিজের সফলতম বোলার জেসন হোল্ডার। ২৬ রান খরচায় ৪ উইকেট দখলে নেন তিনি। এছাড়া ডোয়াইন ব্রাভো ২ উইকেট শিকার করেন।
১৫৮ রানের টার্গেটে খেলতে নেমে শুরুটা ভালো হয়নি ওয়েস্ট ইন্ডিজের। প্রথম ওভারেই স্পিনার মোহাম্মদ হাফিজের বাজিমাত। আন্দ্রে ফ্লেচারকে বোল্ড করেন হাফিজ। ক্রিস গেইলও তিনে নেমে চেনা ছন্দে ছিলেন না। ২০ বলে ১৬ রান করে তিনি বোল্ড হন হাসান আলির বলে।
উইকেটে থিতু হয়েও ইনিংস বড় করতে পারেননি শিমরন হেটমেয়ার। মোহাম্মদ ওয়াসিমের বলে বোল্ড হওয়ার আগে ১৮ বলে ১৭ রান করেন হেটমেয়ার। ক্র্যাম্পের কারণে এভিন লুইস মাঠ ছাড়েন। ২টি চার ও ২টি ছয়ের সাহায্যে ৩৩ বলে ৩৫ রান করে তিনি যখন রিটায়ার্ড হন ওয়েস্ট ইন্ডিজের স্কোর তখন ১৪ ওভারে ৩ উইকেটে ৭৬।
এরপর নিকোলাস পুরান একের পর এক ছক্কা হাঁকান। তবে শেষরক্ষা করতে পারেননি। চারটি চার ও ছয় ছক্কার সাহায্যে ক্যারিয়ারের সেরা ৩৩ বলে ৬২ রান করে অপরাজিত থাকেন পুরান। ২০ ওভারে ৪ উইকেটে ১৫০ রানের বেশি ওয়েস্ট ইন্ডিজ আর এগোতে পারেনি। ৭ রান হারতে হয় স্বাগতিকদের।
পাকিস্তানের হয় বল হাতে হাফিজ, আফ্রিদি, হাসান, শাদাব, ওয়াসিম ১টি করে উইকেট দখলে নেন।
সংক্ষিপ্ত স্কোরঃ
পাকিস্তানঃ ১৫৭/৮ (২০ ওভার) শারজিল ২০, রিজওয়ান ৪৬, বাবর ৫১, ফখর ১৫, হাফিজ ৬; হোল্ডার ৪-০-২৬-৪, গেইলর ১-০-১১-০, ব্রাভো ৪-০-২৪-২
ওয়েস্ট ইন্ডিজঃ ১৫০/৪ (২০ ওভার) ফ্লেচার ০, লুইস ৩৫, গেইল ১৬, হেটমায়ার ১৭, পুরান ৬২*, পোলার্ড ১৩, হোল্ডার ০*; হাফিজ ৪-১-৬-১, আফ্রিদি ৪-০-৪৪-১, হাসান ৪-০-৩২-১, শাদাব ৪-০-১৪-১, ওয়াসিম ৩-০-৩২-১
ফলাফলঃ পাকিস্তান ৭ রানে জয়ী
ম্যাচ সেরাঃ মোহাম্মদ হাফিজ (পাকিস্তান)