নটিংহামে রানবন্যার (দুই দল মিলে ৪৩৩) ম্যাচে জিতেছিল পাকিস্তান। লিডসে এসে জয় দেখেছে স্বাগতিক ইংল্যান্ড। বাবর আজমের দলকে ৪৫ রানে হারিয়ে সিরিজে সমতা এনেছে জস বাটলারের দল।
হেডিংলিতে টসে হেরে আগে ব্যাট করতে নামে ইংল্যান্ড। এদিন ইংলিশ একাদশে ইনজুরি কাটিয়ে ফেরেন জস বাটলার, মরগানের অনুপস্থিতে পান অধিনায়কত্বও। ওপেনিংয়ে নেমে ৩৯ বলে ৭ চার ও ২ ছক্কায় ৫৯ রানের ইনিংসও খেলেন তিনি। জেসন রয় (১০) ও ডেভিড মালান (১) ফেরেন দ্রুত।
চারে নেমে বিধ্বংসী এক ইনিংস খেলেন মইন আলি। ১৬ বলে ৬ চার ও ১ ছয়ে ৩৬ রান করেন মইন। আগের ম্যাচে সেঞ্চুরি হাঁকানো জিয়াম লিভিংস্টোনও কম যাননি। ২৩ বলে ৩৮ রান করেন তিনি।
১৯.৫ ওভারে ২০০ রান করে অলআউট হয় ইংল্যান্ড। পাকিস্তানের পক্ষে সর্বোচ্চ ৩ উইকেট নেন মোহাম্মদ হাসনাইন। ২ টি করে উইকেট নেন ইমাদ ওয়াসিম ও হারিস রউফ, ১ টি করে নেন শাহীন শাহ আফ্রিদি ও শাদাব খান।
বড় লক্ষ্য তাড়া করতে নামা পাকিস্তান শুরুটা খারাপ করেনি। বাবর আজম ও মোহাম্মদ রিজওয়ান ৫.৪ ওভারে ৫০ রান জমা করে। ১৬ বলে ২২ রান করা আউট হন বাবর আজম। রিজওয়ান থামেন ২৯ বলে ৩৭ রান করে।
এই দুই ব্যাটসম্যানের বিদায়ের পর আর ঠিক তাল মেলাতে পারেনি পাকিস্তান। সাতে নামা ইমাদ ওয়াসিম (২০) ও আটে নামা শাদাব খান (৩৬*) পরাজয়ের ব্যবধানই কেবল কমাতে পেরেছেন।
২০ ওভারে ৯ উইকেটে ১৫৫ রানে থামে পাকিস্তান। ইংল্যান্ডের পক্ষে সর্বোচ্চ ৩ উইকেট নেন সাকিব মাহমুদ। ২ টি করে উইকেট নেন আদিল রশিদ, মইন আলি। টম কারেন ও ম্যাট পার্কিনসন নেন ১ টি করে উইকেট।
অলরাউন্ড পারফরম্যান্সে ম্যাচসেরার পুরষ্কার জেতেন মইন আলি। সিরিজের তৃতীয় ও শেষ টি-টোয়েন্টি মাঠে গড়াবে আগামী ২০ জুলাই, ম্যানচেস্টারে।