

সিনিয়রদের ভীড়ে বাংলাদেশের ক্রিকেটে জুনিয়রদের অস্ত্বিত্ব নিয়েই সাম্প্রতিক সময়ে প্রশ্ন উঠে গেছে। জুনিয়রদের দায়িত্ব নেওয়ার এখনই মোক্ষম সময়ও বলছেন ক্রিকেট বিশ্লেষকরা। তবে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে প্রথম ওয়ানডেতে সে কাজটাই করেছে লিটন দাস, আফিফ হোসেন, মেহেদী হাসান মিরাজরা। যা মুগ্ধ করেছে টাইগার দলপতি তামিম ইকবালকে।
টপ অর্ডারে তামিম ও সাকিব আল হাসানের পর মিডল অর্ডারে মোহাম্মদ মিঠুন, মোসাদ্দেক হোসেনরা ব্যর্থ হয়েছিলেন। বাংলাদেশ ৭৪ রানেই হারিয়েছে ৪ উইকেট। সেখান থেকে ওপেনার লিটন দাসের দুর্দান্ত এক সেঞ্চুরি, মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ ৩৩ রান করে জুগিয়েছেন যোগ্য সঙ্গ। শেষদিকে আফিফের ৪৫, মিরাজের ২৬ রানে ২৭৬ রানের বড় সংগ্রহ টাইগারদের।
ব্যাটসম্যানদের গড়ে দেওয়া ভীত কাজে লাগিয়ে বোলাররা এনে দিয়েছেন ১৫৫ রানের বিশাল জয়। যেখানে সাকিব অবশ্য দিয়েছেন নেতৃত্ব, নিয়েছেন ৫ উইকেট। দলের কঠিন সময়ে লিটন, আফিফ, মিরাজদের এমন কার্যকরী ভূমিকায় মুগ্ধ টাইগার দলপতি।
আগামীকাল (১৮ জুলাই) দ্বিতীয় ওয়ানডের আগে আজ বিসিবির পাঠানো এক ভিডিও বার্তায় তামিম বলেন,
‘একটা পর্যায়ে খুব বিপদে ছিলাম। একটা কথা সব সময় বলি, জুনিয়রদের পারফর্ম করতে হবে। এটা নিয়ে অনেক আলোচনা হয়। আমরাও বলেছি। কাল এক্ষেত্রে আদর্শ ম্যাচ ছিল। যেখানে লিটন বেশ দায়িত্ব নিয়ে একটা ইনিংস খেলেছে। আর সবসময় ১০০ বা ৫০ নিয়ে কথা বলা খুব সহজ। কিন্তু আমার কাছে ছোট ছোট অবদান খুব গুরুত্বপূর্ণ।’
‘আফিফের ইনিংসটি ছিল খুবই গুরুত্বপূর্ণ। সে ওই ইনিংসটা না খেললে ২৭০ রান করতে পারতাম না। ৩০-৪০ রান কম হতো। মিরাজের ২২-২৩ রানের ইনিংসও গুরুত্বপূর্ণ ছিল। রিয়াদ ভাই আউট হওয়ার পর আরেকটি উইকেট পড়ে গেলে বিপদ হতো। আমার কাছে মনে হয় এই ছোট ছোট অবদানের কৃতিত্ব দেওয়া গুরুত্বপূর্ণ। যেটা আমি পছন্দ করি।’
তবে দ্বিতীয় ম্যাচে সাকিবকে নিয়ে টপ অর্ডারে বিপর্যয় সামলাতে চান তামিম নিজেই। এমন পরিকল্পনা কাজে লাগলে নিচের দিকের ব্যাটসমায়নদের জন্য কাজটা যে সহজ হয়ে যায়।
তামিম যোগ করেন,
‘উন্নতির তো কোনো শেষ নেই। তবে কম রানে যদি তিনটা উইকেট পড়ে যাওয়া আদর্শ না। টপ অর্ডার থেকে আমি বা সাকিব যদি আরেকটু ভালো খেলি, তাহলে দল হয়তো এমন অবস্থায় পড়বে না। চেষ্টা করব যে পরের ম্যাচে এমন সুযোগ এলে কাজে লাগাতে। এছাড়া আমাদের বোলিং নিয়ে আমি খুবই খুশি।’